পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] م-عمحبیبیسی-ع পরাবিদ্যা ৭৩৩ প্রত্যাবৰ্ত্তন করে না । [ ৪৩২ কোট বৎসরে এক কল্প হয় ; কল্পাস্তে—ভূ:, ভুবঃ ও স্বলোক ধ্বংস হইয়া যায় এবং মহলোক অধিবাসীশূন্ত হয়। ৭২০০ কল্প মহাপ্রলয় হয় ; তখন সংলোক অবধি বিনষ্ট হইয়া যায়। ] ধিনি ব্রহ্মজ্ঞানী অর্থাৎ আত্মার স্বরূপজ্ঞান লাভ করিয়াছেন, প্রাণাত্যয়ে তাহার উংক্রাস্তি হয় না। ব্ৰহ্ম সৰ্ব্বময় ; সেই ব্রহ্মে তিনি সম্যক অনুপ্রবিষ্ট হইয় তাহাতে একত্ব লাভ করেন। অর্থাৎ, তিনি ব্রহ্মই ছিলেন,–মাত্র অজ্ঞানাবরণে স্বরূপ অপ্রকটিত ছিল, এক্ষণে অজ্ঞান তিরোহিত হওয়ায়—যে ব্ৰহ্ম সেই ব্ৰহ্মই হইলেন। স্বতরাং ব্ৰহ্মজ্ঞানীগণের অর্চিরাদি গতি নাই । [ ন তস্য প্রাণা উংক্রামন্তি অত্রৈব সমবনীয়স্তে ॥ বেদান্ত। ব্রহ্মবিদের প্রাণ উংক্রান্ত হয় না, এইখানেই বিমান হইয়া যায়। ] এইবার অবরোহণ-প্রণালী কিরূপ তাহ দেখা যাউক । মে-জীব জন্মান্তর গ্রহণ করিতে আইসে, সে চন্দ্রলোক হইতেই অবরোহণ করে । তৎকালে সে ভূতস্বক্ষ্মে পরিবেষ্টিত হইয়া সপ্রাণ, সেন্দ্রিয়, সমনস্ক, অবিদ্যা ও পূৰ্ব্বজন্মের সংস্কার এবং অনুশয়বিশিষ্ট হইয়াই অবতীর্ণ হয়। ঘূতভাণ্ডের স্নেহের মত,-পূর্বকথিত ভুবলৌকিক ছায়াচিত্রের ধ্বংসাবশেষ কিছু তাহাকে আশ্রয় করে ; উহা কৰ্ম্মফল ভোগের বীজস্বরূপ। মানবের পূৰ্ব্বজন্মের চিন্ত পর জন্মের প্রবৃত্তিতে, আকাজক্ষা সামর্থ্যে, চেষ্টন প্রতিষ্ঠায়, লোভ চৌর্য্যপরায়ণতায়, পরদুঃখকাতরতা দানশীলতায়, ভূয়োদর্শন জ্ঞানে এবং ক্লেশসহকারে ভূয়োদর্শন ( বা অমুভূতি ) বিবেকে পরিণত হয়। আমরা পাতঞ্জলে এই মৰ্ম্মে দেখিতে পাই,—জাতিদেশকালব্যবহিতানামপ্যানন্তৰ্য্যং স্মৃতিসংস্কারয়োরেকরূপত্বাৎ ॥—অর্থাৎ, বৰ্ত্তমান কালে, দেশে ও জন্মে যে-সকল সংস্কারাপন্ন হওয়া যায়,-তৎসমুদায় পুনর্জন্মের জন্য অব্যক্তভাবে সঞ্চিত থাকে। স্বলোক হইতে অবরোহণ করিয়া জীব প্রথমে আকাশ প্রাপ্ত হয় ; ক্রমশ: বায়ু, অভ্র, ধূম, মেঘ এবং তাহা হইতে বৃষ্ট্যাদিরূপে ভূপৃষ্ঠে নিপতিত হইয়। শস্যাদি মধ্যে অনুপ্রবিষ্ট হয়। পরে, কৰ্ম্মফলবিধাতৃদেবগণের কর্তৃত্বে ঐসমস্ত শস্যাদিভোক্তার শরীর-মধ্যে প্রবিষ্ট হইয়া রেতঃকণা সমাশ্রয়পূর্বক নারীর জরায়ুমধ্যে গমন করে। তখন জীবের অধিষ্ঠানবশত: ক্রমবিকাশশক্তি প্রভাবে রেতঃ দেহে পরিণত হয় – ভোক্ত রধিষ্ঠানান্তোগায়তননিৰ্ম্মাণমন্যথা পুতি ভাব প্রসঙ্গাৎ ॥—সাংখ্য । ভোক্তার অধিষ্ঠান বশতঃই স্থূলদেহ নিৰ্ম্মিত হয় ; তদভাবে রেতঃ–শবের ন্তায় বিকৃত হইয়া যায়। ] মুণ্ডকশ্রুতির-“সোমাই পর্জন্য ওষধয় পৃথিব্যাম্"-ইত্যাদি উক্তি দ্বারা পূৰ্ব্বোক্তরূপ অবরোহণ-প্রণালী সমর্থিত হয়। — পুৰ্ব্বকৃত কৰ্ম্ম প্রভাবে সে উপযুক্ত দেহ প্রাপ্ত হয় । পঞ্চাগ্নিবিদ্যায় উক্ত হইয়াছে যে দিব, পর্জন্য, পৃথিবী পুরুষ ও ঘোষিং এই পঞ্চাগ্নিতে শ্রদ্ধা, সোম, বৃষ্টি, অন্ন ও রেতঃ—এই পঞ্চ আস্থতি দ্বারা জীবদেহের উৎপত্তি । তবে, যে-সকল জীব মৃত্যুর পর চন্দ্রলোকে নত হয় না, তাহাদের পুনর্জন্মের জন্য পঞ্চমাহুতির ব্যবস্থা নাই ; যথা—কীট, মশকাদি । অমুশয়ী জীবের আকাশাদিভাব শীঘ্র অতিক্রাস্ত হয়, কেবল শস্যাদিভাব শীঘ্ৰ যায় না। এই “শস্যাদিভাব” দ্বারা বুঝিতে হইবে যে, জীব ঐসমস্ত বায়ুর ন্যায় সংশ্লেষ মাত্র প্রাপ্ত হয় ; ঐসব তাহার মুখ্য দেহ হয় না বা তৎসমুদায়ের মুখদুঃখভাগী হয় না অর্থাং সে সত্য সত্য ব্রীহিযবাদি হয় না,—উহাতে সংশ্লিষ্ট হয় মাত্র ।