পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

aes్చ দায়ী হইতে পারেন না এবং তজ্জন্ত তাহাদিগকে কোনরূপ দও দান করাও সঙ্গত নহে। ইহাই দেশ-কাল-প্রচলিত প্রথা এবং হ্যায়শাস্ত্রানুমোদিত রাজধৰ্ম্ম । এযাবত কোম্পানী এই ভাবেই কাজ করিয়া তাসিরাছেন যে, যখনই কোন পদপ্ত ব্যক্তি অন্তীয় ও অনুচিত কর্য্যের জঙ্ক দোষী সাব্যস্ত হইয়াছেন, তখনই উহার স্ত্রী ও সন্তানসস্তুতির জন্য মাসর্থীরায় স্বব্যবস্থ করা হইয়াছে । কিন্তু আমীর বেলায় সে নিয়মের ব্যতিক্রম হইল কেন জানি না । এপর্যান্ত সসম্মানে সাধারণ গলে জীবন যাপন করিবার উপযুক্ত কোন ব্যবস্থাই আমার জন্য করা হয় নাই יין প্রথম পরের স্তীয় সরকার বাহাদুর এপত্রপানিও অগ্রাহ্য কবেন । স্বsরং তাঙ্গার নিজের ১• • শক্ত ও দেীতিনীদিগের • • • শত টাকার উপরই উহাকে তাঞ্জীবন নির্ভর কবিতে হইয়াছিল। এইরূপে লুৎফ-উল্লিস ৩৪ বৎসর যাবত বৈধব্য-দশায় দীরণ 5ঃখকষ্ট্রে জীবন অতিবাহিত করিয়া সিধাজের সমাধি পাশ্বেই শেষ আশ্রয় গ্রহণ করেন। স্বামী-প্রেমের অতু্যচ্ছ্বল নিদর্শন স্বরূপ আজিও খোশবাগে তাহার সমাধি বিদ্যমান রহিয়াছে । (ইসলাম-দর্শন, চৈত্র ১৩০০ ) গ্রাম্যবিদ্যালয় সম্বন্ধে কয়েকটি কথা অনেক স্থলে দেখা যায়, ছত্রের রীতিমত স্কুলে উপস্থিত হয় না এবং সেই কারণে পাঠোন্নতিও সন্তোষজনক হইতে পারে না । এই বিঘ্ন দূর করিবার জন্য নিম্নোক্ত উপায় অবলম্বন করিয়া দেখা যাইতে °fU# l (ক) প্ররোচনা দ্বারা ছাত্র সংগ্ৰহ করিয়া স্কুলের প্রতি তাহদের এমন আকর্ষণ জন্মাইতে হইবে যেন ছেলের নিজ হইতেই স্কুলে প্রত্যহ আসিবার জন্য ব্যাকুল হইয় উঠে । (খ) স্কুল-কম্পাউণ্ড এবং স্কুল গুচ্ছ এমন চিত্তাকর্ষক করিয়৷ তুলিবার প্রয়োজন যে, ছাত্রের অবসব-সময়েও অন্যত্র না গিয়া যেন এইখনেই আtসিয় গেল বা বিশ্রাম করে । (গ) প্রথম শিক্ষার্থীদের প্রতি তাধিকতব মনোযোগ দেওয় অবশ্যক। কোন-কোন অভিজ্ঞ শিক্ষকও নীচের দিকে মনোযোগ অল্প দেন ও মনে করেন প্রয়োক বৎসর একটি ছেলে দ্বারা বৃত্তি আনিতে পারিলেই তাহার কৃতিত্বের প্রমাণ হইল। বাস্তবিক মনে এরূপ উদ্দেশ্ব রাখা ভুল। (ঘ) শিক্ষালাপের ফল এমন হওয়া উচিত যে, বঙ্গর স্কুল ছাড়িয়া সংসারে প্রবেশ করিলে, তাহারা যেন অশিক্ষিতদের অপেক্ষ অধিকতর স্বথে স্বচ্ছদে থাকিতে পারে ; তাহারা যেন অধিকতর স্বাস্তাবান, চরিত্রবান, কৰ্ম্মক্ষম ও স্ববিবেচক হইতে পারে। বাঙ্গাল বিদ্যালয়ে পড়া শেষ কবির চাষে প্রবুও হইলে, তাহীদের ক্ষেত্রের ফসল অন্ত লোকের ফসল অপেক্ষ ভাল হওয়া উচিত ; কারবারে গেলে, তাহদের কারবার ভাল চলা উচিত ; তাছাদের ভদ্রতা শীলতা প্রভৃতি গুণ থাকা উচিত। স্কুল-গৃহ নিৰ্ম্মাণ ও রীতিমত মেরামত করিয়া রাখা এক সমস্যা। সীমান্ম মেরামত ছেলেদের সাহায্যে নিজেরাই করিয়া নেওয়া মন্দ নয় । ইহাতে ছেলের শ্রমের মর্য্যাদা শিক্ষা করিয়া নিপুণ গৃহস্থ হইতে পারে, শিক্ষক মহাশয়কে তাহদের একজন সহকৰ্ম্মী মনে করে ও তৎপ্রতি আকৃষ্ট হইতে পারে। বেঞ্চের অভাব একটি সমস্তা। এজঙ্ক চাটাইর স্থ্যৰস্থ করার বিষয় অনেক ক্ষেত্রেই বলা হয়। অনেক স্থলেই হস্ত প্রবাসী-ভাদ্র, ১৩৩৩ [ ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড সম্পাষ্ঠ কাজের মধ্যে চাটাই বুনন শিক্ষা দেওয়া হয়। যদি এইসকল কাজের সময় ঐগুলির ব্যবহারিকতার প্রতি লক্ষ্য রাখা হয়, তবে নিজেদের প্রস্তুত চtটাইছেই বালকের বসিতে পারে । যে-সকল বিদ্যালয়ে বাগানের উপযুক্ত ভূমি আছে, সেখানে ছেলেদের সাহায্যে শিক্ষক বাগান প্রস্তুত করিবেন । ইহার উৎপন্ন ফসল ছেলেরাও ভোগ করিবে । গণিত—স্থল সংখ্যার সাহায্য অনেক স্থলেই নেওয়া হয় না। প্রত্যেক নুতন নিয়ম শিক্ষাদানের প্রারস্তে ঐ নিয়মসংক্রান্ত মানসাঙ্ক অনেকগুলির সমাধান বালকদের দ্বার করান দরকার। তার পর সহজ সহজ অঙ্ক শ্লেটে বা কাগজে কষিতে দেওয়া উচিত। এমন দৃষ্টান্ত বিরল নহে যেখানে লক্ষ, কোট পর্যন্ত সংখ্যার গুণ ও ভাগ অঙ্ক প্রথম শিক্ষার্থীদিগকে দেওয়া হয় ও তাঁহাতে ছাত্রের ভয় পায় । বানান শিক্ষ—ধ্বনির সহিত বানানের সম্বন্ধ-জ্ঞান জন্মাইবার চেষ্টা করা উচিত। এইজন্ত পুস্তকে প্রাপ্ত শব্দের অনুরূপ বাহিরের শব্দের আলোচন। অবশ্যক। শীত' শব্দটি পুস্তকে আছে ইহা শিখাইয়l, তাহার প্রয়োগ শিক্ষার উদ্দেশ্যে, পীত’ গীত’ ‘নীল’ প্রভূতি এবং জ্ঞান' শব্দের সঙ্গে ‘অজ্ঞান" সংজ্ঞা প্রজ্ঞ" প্রভৃতি শব্দের আলোচনাতে উপকার ইয়। এইরূপ দেখা গিয়াছে যে, ছেলে আকার যোগ শিথিয়াছে, তাপস বাজার’ ‘পাহাড় কামার’ প্রভৃতি শব্দ জিজ্ঞাস করিলে একেবারে দিশাহt:t হইয় পড়ে। চিত্রাঙ্কণ—পেন্সিলের উপর অযথা জোর দেওয়া হয়, অগ্রভাগ সর করিয়৷ কাট হয় না। কাজ দিবীর পুৰ্ব্বে পেন্সিল প্রভৃতি ঠিক কাটা আছে কি ন| দেখিয় দেওয়া উচিত। প্রথম কয়েক দিন একটু দেখিলেই পরে ছেলের সতর্ক হইবে। অঙ্কিত চিত্রের অশুদ্ধি সংশোধন করা আবশ্যক । সাহিত্য—অধীত গল্পের বা প্রবন্ধের মৰ্ম্মোপলব্ধি যাঙ্গতে বালকবালিকার কবিতে পারে তৎপ্রতি লক্ষ্য রাখা কৰ্ত্তব্য। দেখা যায়, শব্দার্থ শিক্ষা মন্দ হয় নাই, কিন্তু বিষয়সংক্রান্ত কিছু জিজ্ঞাসা করিলে ‘শ্রেণী' নিরক্তর । শিক্ষক পাঠ আরম্ভ করিবার পূৰ্ব্বে তাহার সারমর্শ্ব সম্বন্ধে শ্রেণীতে আলোচনা করিয়া পরে পাঠ আরম্ভ করাইবেন ও উক্ত বিষয়ে কথোপকথন করিবেন । আবৃত্তি—কবিতা আবৃত্তির সময় ছেলের ঝড়ের বেগে বলিয়া যায়। ইহা শিক্ষক মহাশয় প্রথম হইতেই বারণ করিবেন এবং সুস্পষ্ট আবৃত্তির দৃষ্টান্ত নিজে দিবেন। বস্তুশিক্ষ—এবিষয়টি যেভাবে সাধারণতঃ শিক্ষা দেওয়া হয়, তাহাতে উদ্দেশু সিদ্ধ হইতে পারে না । প্রত্যেক ছেলে নিজে বিশেষ করিয়৷ পৰ্য্যবেক্ষণ করিয়৷ তার পর তাঁহার বিবরণ-লিপি প্রস্তুত করিবে । শিক্ষক তাহাদিগকে এই কার্য্যে পরিচালিত কারবেন। আদর্শ লিপি—অদশের অমুকরণে অক্ষর গঠন হয় কি না তৎপ্রতি লক্ষ্য রাখা আবশ্বক। প্রত্যেক পংক্তি লিখার পর, অাদর্শের সঙ্গে তুলন। করা দরকার। এক পংক্তি বারংবার লিগিলেই অক্ষর ঠিক হইবে না। অক্ষর-গঠনের প্রয়াস থাক প্রয়োজন। এক স্থানে দেখিয়াছি, "ভক্তিভরে করযোড়ে ডাক ভগবানে” বাকাটি ৩ মাস কলি লিথান হইয়াছে, কিন্তু অক্ষরের অবস্থ৷ “যথাপুৰ্ব্বং তখ। পরমূ” । এমন-কি, এরূপ দেখিয়াছি, প্রথম দিনের কাজের জন্ত ১• এর মধো ৩ দেওয়া হইয়াছে, কিন্তু এই একই বাক্য এক মাস কাল লিখার পর • পাইয়াছে। অনেক স্থানেই লিখা খারাপ হইবার কারণ, অমুপযুক্ত কলম ও খারাপ কালি। এইগুলি প্রখম প্রথম শিক্ষৰ লক্ষ্য করিলেই ছেলেরা সতর্ক হইবে। প্রত্যেক