১ম সংখ্যা ] ছাত্রী-আবাস ও স্কুল । এর নাম দেওয়া যেতে পারে মেয়ে-উপনিবেশ । ১৫০ বা ২০০ ছাত্রী নিয়ে এক-একটা কেন্দ্র করে তাদের থাকবার ও পড়বার ব্যবস্থা করা হয়। (২) শিল্প-কাজ – 驗 (ক) পোষাক তৈরী করবার ব্যবসা । (থ) টুপী তৈরী করবার ব্যবসা ; এবিষয়ে ওস্তাদ ফরাসী মেয়েরা। এটা খুব কঠিন কাজ। কোন জিনিষের, কি আকারের, কোন রঙের টুপী হবে তা ঠিক করে’ চারদিকে সামঞ্জস্য ও সঙ্গতি বজায় রেখে টুপী তৈরী করা সহজ নয়। এবিষয়ে সমস্ত নতুন-নতুন নক্স ফরাসী মেয়ের উদ্ভাবন করে এবং পরে সেগুলি আর-সমস্ত দেশে ছড়িয়ে পড়ে। (গ) কাপড়ের যাবতীয় কাজ শেখ বার স্কুল। এসব জায়গায় তুলে, পশম, রেশম, লিনেন, সিল্ক, সব-রকম কাপড়ের জিনিস তৈরী হয় । সে-সে মেয়ে যা-ত-রকম করে’ শিখেই জিনিষের দোকান দিতে পারে না । '으এইজন্য বিদ্যালয়ে পড়তে হয়, পরীক্ষা দিতে হয়, সার্টিফিকেটু নিতে হয়, মিউনিসিপালিটির লাইসেন্স নিতে হয় । তা’র পর সে দোকান খুলে জিনিস বিক্রয় করবার অধিকার লাভ করে। এসব জিনিসের ক্রেতার ও অভাব হয় না । বড়বড় দোকান থেকে তৈরী পোষাক আনলে খরচ বেশী পড়ে। এদের কাছে সস্তায় ক্রেতা সহজেই মেলে । (৩) বৈজ্ঞানিক ও টেক্নিক্যাল কাজ – (ক) চিকিৎসা-বিষয়ক ব্যবসা বা চিকিৎসা-বিজ্ঞানের সহযোগিতা। ইহা গৃহস্থালী কাজের অন্তর্গত স্বাস্থ্যনিবাসের কাজের অনুরূপ নয়। ইহা খাটি বিজ্ঞান-সম্মত অত্যন্ত টেকনিক্যাল কাজ । বড়-বড় চিকিৎসালয়ে থেকে হিস্টলজি, ব্যাক্টরিওলজি, র্যণ্ট গেন-যন্ত্র চালানো প্রভৃতি কাজে মেয়েদের সহায়তা করতে হয় । এদের সাধারণ নাম সহযোগিনী । ● (খ) ধাতুরসায়ন বিদ্যা বা মেটালার্জি। খনিজ তু ঝাড়, বাছ, মাপ, ফোটে তোলা প্রভৃতি যাবতীয় 'জ এদের করতে হয়। (গ) খাটি রসায়নের কাজ, যথা খাদ্যদ্রব্যে খাদ্য পাওয়া যায় বলে’ এদের আধুনিক জাৰ্ম্মান নারীর আখিক প্রচেষ্টা HI শক্তির পরিমাপ করা, তাদের অতৃপাত স্থির করা ইত্যাদি যাবতীয় রাসায়নিক পরীক্ষা । (ঘ) বড় বড় এঞ্জিনিয়াবৃদের অফিসে কাজ ; মাপা, ছবি-আঁকা, নক্সা কর প্রভৃতি সমস্ত টেকনিক্যাল কাজ এদের করতে হয় । (৪) সমাজ-সেব। – আমাদের দেশে অনেক সমাজ-সেবক দেশহিতৈষী আছেন, তারা কোন ও পারিশ্রমিক না নিয়ে নিঃস্বার্থভাবে সমাজের সেব{ উকিলি, ডাক্তারি, বা এঞ্জিনিয়ারির মতন এটা ও একটা ব্যবসার মধ্যে দাড়িয়ে গেছে । এই ব্যবসাকে তিন ভাগে ভাগ করা যেতে পারে । (ক) স্বাস্থ্য-বিষয়ক । চত| ডাক্তারি বা স্বাস্থ্যনিবাসের গুহিণীপনার মতন নয়। ইহার সাধারণ নাম নাসি দেওয়া যেতে পারে । এই বিদ্যার জন্য ভিন্ন স্কুল আছে । কোনো বিশেষ ব্যাধির নাসিং-এর জন্যে একএকজন শিক্ষিত হয় । যে কলেরার নার্লিংএ পারদর্শিতা লাভ করেছে তা’কে নিউমোনিয়া রোগের শুশ্রীষায় নিযুক্ত করা হয় না। এক-এক রোগের জন্যে আলাদাআলাদা সাটিফিকেটু আছে । সার যে-রোগের সার্টিফিকেটআছে সে সেট রোগের শুশষ করবার অধিকারিণী । অন্যথায় জেল পর্য্যন্ত হ’তে পারে। (খ) শিশুবিষয়ক । কিণ্ডারগার্টেন, শিশু-কেন্দ্র, শিশুভাগ ইত্যাদির জন্যে স্বতন্ত্র পরীক্ষার ব্যবস্থা আছে । (গ) অর্থবিষয়ক –বীমা, টেকনিক্যাল বিদ্যা, ব্যাঙ্কিং, ব্যবসা, বাণিজ্য ইত্যাদি বিষয়ক কাজে সাহায্য । এই সমাজ-সেবার বিদ্যালয় ১৯১৪ সালে গোটা জাৰ্ম্মানীতে মাত্র ১২টি ছিল, আজি হয়েছে ৪০টি । অর্থ-উপার্জনের এই যে, তিন ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করা গেছে তা’র সুযোগ লাভ করবার অধিকার হয় মাধ্যমিক শিক্ষালাভের পর । অর্থাৎ প্রত্যেকেই আরো আমাদের বি-এ বা বি-এসসি ডিগ্রীতে যে-বিদ্যা লাভ হয় তা আগে আয়ত্ত করে তা’র পর এইসব টেক্নিক্যাল বিষয় শিক্ষা করে । সে-সব শিক্ষা হ’লে প্রত্যেককেই কোনো-না-কোনো জায়গায় অন্ততঃ ২৩ বছর অ্যাপ্রেন্টিস করেন । কিন্তু জাৰ্ম্মানীতে
পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।