পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] তখন পাশেল-বাবুর কাছে গেছে। এদিকে নবীনের দুঃবুদ্ধি বই ত না, সে গিয়ে পার্শেল-বাবুকে চুপিচুপি টিপে দিয়ে দয়াকে বলছে কি না, দ্যাধ দয়া, পার্শেল পাঠাতে এক টকা খরচ তার চাইতে ও রে পাঠিয়ে দিবি কিছু খরচ নেই ? দয়া জানে তারে খবর আসে ; খবর মায়। সে পাগল মানুষ স্বচ্ছন্দে তারে পাঠাতে ব’লে rিলে। পার্শেণ-বাধ বলেন, “বেশ, আমি এখুনি পাঠিয়ে দিচ্ছি, তুমি পাচ ছদিন পরে এসে জেনে যেগু । দয়া তাই বিশ্বাস ক’রে নিয়েছে। তারপর এখন দু’মাস পরে 4র নfংনী এসেছে, তাকে সন্দেশের কথা জিজ্ঞেস কবৃতেই সে বলছে, সন্দেশ-টন্দেশ কিছুই পায়নি। কাল তাই দয়া পাশেল-বাপুর কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করেছে, ‘হ্য। বাবু, সন্দেশ যে এক হাড়ী পাঠিয়েছিলাম, আমার লাতিনের ঠেয়ে ত কই যায়নি ?” পার্শেল-বাবু এদিকে সেই সন্দেশ নিজেরা খেয়েছে আর নবীনের সঙ্গে খুব ভাব বলে অৰ্দ্ধেক নবীনদের বাড়ী পাঠিয়েছে। নবীনের দিদি টিদি সৰ্ব্বাই খুব থেয়েছে। এখন দয়া গিয়ে পার্শেল-বাবুকে জিজ্ঞেস করতেই পার্শেলবাপু মাথা চুলকুতে চুলকুতে বলেছে, “হ্য। দয়, পাশেলের ই;ড়ীট। সত্যিই তোমার নাতনীর কাছে পৌছোয়নি। তারে যেতে যেতে এক জায়গায় হঠাৎ তারেরই একট। গাটে ধাক্ক থেয়ে ভেঙে মাটিতে প’ড়ে গেছে। এমন ত সিংহলে বাঙ্গালী কলাধ্যাপক শ্ৰীযুক্ত মণীন্দ্রভূষণ গুপ্ত ዓv»ፃ হয় না, তবে কেন হ’ল তা বুঝতে পারলাম না।” দয়া তখ খুনি কপাল চাপড়ে ব’লে উঠল “আ আমার কপাল, মুখের জিনিস লাতিন আমার খাতি পেলে না, বাবু। অ-ঠিক হইছে, আমারই দোষ, বাবু আমরি দোষ, হোক ক্যানে বামুনের পরসাদ এটো জিনিস ত বটে, তাতিই হাড়ী ভাঙিছে, এতক্ষণকে আমি বুঝছি।" দয়ার বোঝবার সঙ্গে-সজে পাৰ্শেন-বাবুও খুব বুঝলেন। এদিকে নবীনের দিদির কানে এসেও খবর পৌছেছে তাতেই গলি যা দিচ্ছে তা কি বলব। জাত-জন্ম সব গেলে জাটকু উীরপোদের এটে। পাতের মেঠাই খাইয়ে ধৰ্ম্ম-কৰ্ম্ম সব গোয়ালে গা ৷”— এই ব’লে চেঁচাচ্ছে আর ডুব দিচ্ছে । আমি যেই বলেছি, ‘গঙ্গা নাইতে যাও গো, পুকুরে নেয়ে কিছু হবে না, তখন আমাকে শুদ্ধে। গাল দিচ্ছে।” কাহিনীটি শুনে শেষ পৰ্য্যন্ত সেবা, প্রিয় ত আর না হেসে থাকুতে পারলে না। কিন্তু খাবার তার পদ্যপাঠের ছড়া তা গুড়ালে—“লোভে পাপ পাপে মৃত্যু ঘটিবে নিশ্চয়—কেমন বাবু সন্দেশ থাবার সথ । পাগলীকে ঠকাতে গিয়ে নিজেরাই ঠকূলে- ” পরচর্চায় সময় নষ্ট হয় দেখে প্রিয় আলোচনা বন্ধ করবার জন্যে জয়াকে ধম্কে উঠল—“কতখানি বেলা হলো জয়ী কখন বাসন কোসন পুত্বে আনবি বলত ? সষ্ট, তুই এদের শীগগীর পড়িয়ে নে, আমি ওঁকে খ। বার দিয়ে আসি ৷” ( -મન: ) সিংহলে বাঙ্গালী কলাধ্যাপক শ্ৰীযুক্ত মণীন্দ্রভূষণ গুপ্ত শ্ৰী জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস শ্ৰযুক্ত মণীন্দ্রভূষণ গুপ্ত দেড় বৎসরাধিক হইল, সিংহলের আনন্দ কলেজের কলাধ্যাপক হইয় নব্য বঙ্গীয় চিত্রকলার ভিতর দিয়া জাতীয় শিক্ষা-সভ্যতার প্রচারে সাহায্য করিতেছেন । কলম্বোব এই কলেজ-কর্তৃপক্ষগণ ভারতীয় চিত্রকল। শিক্ষা দিবার জন্য বিশ্বভারতীর নিকট একজন শিক্ষক চাহিয়া পাঠাইলে, মণীন্দ্র-বাবু মনোনীত হইয়ছিলেন । চিত্রকলা এবং নব্যভারতীয় কলারীতি সম্বন্ধে তাঙ্গর আদশ যে কী তাহ। ত{ঙ্গর লিপিত একটি সুন্দর প্রবন্ধে সম্প্রতি প্রবাসার পাঠকগণ জানিতে পারিয়াছেন । শৈশবকাল হইতেই চিত্রের প্রতি তাহার স্বাভাবিক একটা ঝোঁক ছিল । তাঁহারই ফলে, শাস্তিনিকেতনের ব্রহ্মচৰ্য্যবিদ্যালয়ে আস্থরিক যত্নের সঠিত অধ্যাপক অসিতকুমার হালদার-মহাশয়ের নিকট চিত্রশিল্প শিক্ষারম্ভ করিয়া তিনি বিশ্বভারতীর কলাভবনেই তাহার সমাপ্তি করেন।