পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ն 5 HՀԳյլ ] সাইকেলে আর্য্যাবর্ত ও কাশ্মীর ۵ سال ঘণ্টার শব্দ শুনে গরু দু'টি কিছু মাত্র দ্বিরুক্তি না ক’রে রাস্তা ছেড়ে মাঠের ওপর দিয়ে ঘুমন্ত গাড়োয়ানকে নিয়ে छू निल । রাত ২ টার সময় আরাঙ্গাবাদে পৌঁছলাম । তখন চাদ ডুবে গেছে—অন্ধকারের জন্তে কি রকম সহর কিছু বুঝতে পারলাম না। থানা ছাড়িয়ে চলেছি, এমন সময় পুলিশ পেট্রোলের সঙ্গে সাক্ষাৎ হ’ল । এদের হাতে রিভলভার, কোমরে তলোয়ার ঘোড়ায় চ’ড়ে ডিউটি ক’রে ফিবৃছে। মিলিটারী কায়দায় চ্যালেঞ্জ ক’রে দাড়াতে বললে । নাম ধাম লিখিয়ে এদের হাত থেকে নিস্কৃতি পেয়ে অন্ধকারে এক গাছতলায় ব’সে সঙ্গে-আন খাবার নিঃশেষ কবৃতে লাগ লাম। মাইল কয়েক পর বাতানা নদীর নীচু পুলের ওপর গিয়ে পড়লাম । এই পুলটি ফন্তুর পুলের অনুরূপ। ওদিক থেকে এক সারি মাল বোঝাই গরুর গাড়ী আসছিল। সাইকেলের ঘণ্টা শুনে ও আলে। দেখে সামনের গাড়ীর গরু দুটি ঘুমন্ত গাড়োয়ান ও মাল ভৰ্ত্তি গাড়ী শুদ্ধ পুল থেকে নদীতে লাফিয়ে পড়ল । নদীতে বিশেষ জল ছিল না, আর নীচু পুল থেকে পড়ার জন্যে বিশেষ কিছু ক্ষতি বোধ হয় হয়নি। এর রাত্রে ঘুমিয়ে গাড়ী চালায় ব’লে কেবল তারা নিজেদের নয় অন্যান্য পথিকদেরও বিশেষ অসুবিধায় ফেলে। এ রকম ঘটনা আমরা পরে আরও দেখেছি। রাস্তা বেশ সমতল ও সোজা। দূরে শোন ইষ্ট ব্যাঙ্ক ষ্টেশনের আলো হঠাৎ আকাশের গায়ে ফুটে উঠল। আমাদের চোখও ঘুমে জড়িয়ে আসছে। মরুভূমির মরীচিকার মতন ষ্টেশন এই আসে আসে ব’লে নিস্তব্ধে গাড়ী চালাচ্ছি। ঘণ্টাখানেক এইভাবে যাওয়ার পর শোন নদীর জলের শব্দ শুনতে পেলাম। ক্রমেই জলের শব্দ বাড়তে লাগল ; আমরাও নদীর কাছে এসে পড়েছি ব’লে সাইকেল থেকে নেমে হেঁটে চলতে স্বরু করলাম। কিন্তু অনেকক্ষণ ইটার পরও যখন নদীর দশন পাওয়া গেল না তখন আবার গাড়ীতে উঠলাম। নদীর ধারে এসে খবর নিয়ে জানা গেল এখানে পারের কোন বন্দোবস্ত নেই। গ্র্যাও ট্রাঙ্ক রোডে কেবল শোনের ওপরই রেলের ছাড়া আর কোন পুল নেই। নদীর ধারের রাস্তা দিয়ে মাইল খানেক সাইকেল চালিয়ে ঠিক ভোর ৪॥০ টার সময় শোন ইষ্ট ব্যাঙ্ক ষ্টেশনে এসে উঠলাম। বৰ্হি থেকে আজ আমরা ৯১ মাইল এলাম। কলকাতা থেকে মোট ৩৪৯ মাইল আসা হ’ল । ২৯শে সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার—সকাল ৮টার গাড়ীতে শোন পার হওয়ার জন্যে টিকিট ক’রে ফেললাম। ষ্টেশন মাষ্টার মহাশয় টুরিষ্ট ব’লে সাইকেলগুলি না বুক করলেও চলতে পারে বললেন। কিন্তু ওপারের বিহারী ষ্টেশন মাষ্টার কৰ্ত্তব্যের জন্য পুরাপুরী সেলামী আদায় ক’রে ছাড়লেন। শোনের পুল লম্বায় দেড় মাইলেরও বেশী । ভারতবর্ষের মধ্যে বেশ একটা বড় পুল। এই সময়ে নদীতে খুব অল্প জল, সবই প্রায় চড়া, কিন্তু বর্ষা র সময় বড় ভীষণ হ’য়ে ওঠে। পুলের ওপর ব দিকে সরু ফুটপাথ দিয়ে এপার থেকে ডিহরি যাওয়া যায়। গ্র্যাণ্ড ট্রাঙ্ক রোডের শেষে নদীর ওপর বরাবর ওপার পর্য্যস্ত বঁধি আর মাঝে-মাঝে ফাক আছে । জল কম থাকলে বাধের ওপর দিয়ে যাওয়ার বন্দোবস্ত থাকে। বর্ষার সময় বা নদীতে জলে বেশী থাকুলে রেলের পুল ভিন্ন অন্ত কোন গতি নেই। বৈল। প্রায় ৯টার সময় ডিহীরিতে শ্ৰীযুত মণীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপ্যtধায়ের বাড়ীতে আতিথ্য গ্রহণ করা গেল। বেলা প্রায় ৫টার সময় আবার বেরিয়ে পড়লাম । বেশ স্বাস্থ্যকর জায়গা ব’লে ডিহীরির প্রতিপত্তি আছে । সহরের মধ্যে কিন্তু আবর্জন ও ধূলার অভাব নেই। নদীর ধারটাই যা একটু ভাল ব’লে মনে হয়। ওপারের পাহাড়ের শ্রেণী ক্রমে অদৃশ্য হ’য়ে যাচ্ছে, শাল পলাশ মহুয়ার বনও মিলিয়ে গেছে। রাস্তার দু' পাশে যতদূর দেখা যায় কেবল ধুধু মাঠ । সন্ধ্যার সময় সসারামে এসে পৌছলাম । এখান থেকে ডান দিকে আর যাবার রাস্ত । প: ডুমরাও ও বক্সার যাওয়া যায়। এখানকার লোক সংখ্যায় বেশীর ভাগই মুসলমান । সহরটির পুরান ধরণের বাড়ী ও রাস্তাঘাট দেখলে মুসলমান আমলের সংর বলে চোখে ঠেকে। গ্র্যাও ট্রাঙ্ক রোডের ওপর এ-রকম ধরণের সহর এই প্রথম । রাস্তার বাধারে জ্যোৎস্নার আলোতে দূরে শের সার সমাধি দেখা গেল। আজও সমস্ত রাত বাইক কবুব মনে