পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

و ماهی. শ্রীরাধা চিত্রে ফুটাইয়৷ তুলিয়াছেন। এচিত্রের তুলনা নাই । প্রেমের যখন অহুভূতি আরম্ভ হইতে থাকে, তথন সাধক প্রেমাম্পদকে কি ভাবে গ্রহণ করিবেন, কিছুই ঠিক করিতে পারেন না। "মধুর” সম্বন্ধেই কবির ভগবৎ প্রেমের বিকাশ হইল – এই জ্যোৎস্নায়াতে জাগে আমার প্রাণ ; পাশে তোমার হবে কি আজ স্থান ? দেখতে পাব অপূৰ্ব্ব সেই মুখ, রইবে চেয়ে হৃদয় উৎসুক, বারে বারে চরণ ঘিরে ঘিরে ফিরযে আমার অশ্রুম্ভর গান ? ভক্ত ভগবানের এই সম্বন্ধটি বড়ই মধুর। অন্তর ব্যাকুল হইলেই অন্তরস্থ পুরুষ জাগিয় উঠেন। অমনি চিদাকাশে বিদ্যুৎ-স্ফূরণ হইতে থাকে। সাধক ক্ষণে ক্ষণে র্তাহাকে পান, আবার হারাইয়া ফেলেন। যখন পান তখন হৃদয় অসহ পুলকে পূর্ণ হইয়া উঠে ; আবার যখন তিনি অস্তৰ্হিত হন, হৃদয় বিষাদ-ক্লিষ্ট হইয় পড়ে। কবি তাই দুঃখের সহিত গাহিলেন— “মাঝে মাঝে তয দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না, কেন মেঘ আসে, হৃদয় আকাশে তোমায়ে দেখিতে দেয় না।” ক্ষনেক আলোকে, আঁখির পলকে যখন তাহাকে দেখিতে পান, অমনি ভয় হয়, পাছে র্তাহাকে হারাইয়া ফেলেন । কবি বুঝিলেন তাহাকে “আঁখিতে অধিতে” রাখিতে হইলে অনন্ত প্রেম চাই –“এত প্রেম আমি কোথা পাব নাথ তোমারে হৃদয়ে রাখিতে ” প্রেম-সাধনার প্রথম অবস্থায় কবি দেখিলেন তাহাকে জোর করিয়া ধরিয়া রাখা যায় না। ভক্তের সহিত তাহার এ কোন লীলা? এমন “ আড়াল দিয়ে” চলিয়া গিয়া ভক্তপ্রাণে ক্লেশ দিবার আবশ্যকতা কি ? কবি ভাবিলেন তাহার হৃদয় কঠিন । তাহার চরণ রাখার তাহা যোগ্য নয়। কিন্তু নিৰ্ব্বাক স্বামীর করুণার “হাওয়া’ লাগিলে পাষাণ হৃদয় কি গলিবে না ? তাহার সাধনা নাই, কিন্তু তাহার কৃপামৃতধারায় নিরস জীবনকুঞ্জ কি সরস হইয়। নব নব পুপ ফুটাইয়া তুলিবে না ? কিন্তু প্রেমাম্পদ ভক্তের সম্মুখ হইতে এই যে সরিয়া ●बांगैी-फ़्रॉम, $రిలిe [ ২৬শ গঞ্জ, ১ম খণ্ড সরিয়া যান, কবি স্বল্প অনুভূতি বলে তাহার অর্থ হৃদয়ঙ্গম করিয়াছেন :– “এ যে তব দয়। জানি জানি হায় । নিতে চাও বলে ফিরাও আমায় পূর্ণ করিয়া লবে এ জীবন তবে মিলনেরই যোগ্য করে।” প্রেমের অনুভূতি যতই গভীরতর হইতে থাকে, ততই মিলনের জন্য প্রাণ আকুল হইয়া উঠে । ভক্ত একমুহূৰ্ত্ত তাহার বিরহ সহ করিতে পারেন না –“মুখ ফিরিয়ে রব তোমার পানে, এই ইচ্ছাটি সফল কর প্রাণে ।” জীব মায়া মোহ ও সংসার-বাসনার প্রেরণায় নিত্য-বস্তুর দিকে চিত্ত ফিরাইবার অবসর পায় না। মন প্রতিনিয়ত বর্হিজগতে ধাবমান । মোহের আলোকে সে ‘বাহির’কে নানারঙে রঞ্জিত দেখিয়া তাহাকেই পরম প্রিয়বস্তু করিয়া রাখিয়াছে । বস্তুর অস্তরে প্রবেশ করিবার শক্তি হারাইয়াছে, তাই বস্তুর স্বরূপ অবগত হইতে পারে না। যিনি বস্তুর স্বরূপ জ্ঞাত হইয়াছেন, তিনি আর বাহ্যজগতের মোহে মুগ্ধ হ’ন না । তিনি বস্তুর অন্তর অনুসন্ধান করিতে থাকেন, ও তাহার মধ্যে অনিৰ্ব্বচনীয় শক্তিসম্পন্ন অথও চৈতন্যপুরুষের অস্তিত্ব উপলব্ধি করেন। তখন তিনি দেখেন সেই সত্য পুরুষই নিফল সৌন্দর্ঘ্যের কারণ, তিনি তাহার অপার সৌন্দর্য্য নিথিল ক্ৰষ্টিতে প্লাবিত করিয়া প্রত্যেক দৃশ্ববস্তু এমন নয়নাভিরাম করিয়াছেন, পত্রপুষ্পময়ী প্রকৃতি রাণীর সর্বাঙ্গে সেই চিরস্কন্দরের স্বৰ্গীয় স্বযম অসামান্তরূপ লাবণ্যে ফুটিয়া উঠিয়াছে। ফলতঃ তিনিই সকল সৌন্দর্ঘ্যের আকর । কবি স্বক্ষ অন্তর্দৃষ্টিবলে সেই চিরস্থদের সত্যপুরুষের যেদিন দর্শন পাইলেন, সেদিন জাগতিক সৌন্দ্রর্য্যকে তুচ্ছ জ্ঞান করিলেন। প্লেমের উৎস মুক্ত হইল, কবি প্রিয়তমকে নিবিড়ভাবে উপভোগ করিতে চাহিলেন । কেবল র্তাহার দিকে “চাহিয়া” থাকিতে সাধ — কেবল থাকা, কেবল চেয়ে থাক, কেবল আমার মনটি তুলে রাখা । সকল ব্যথা সকল আকাজগর সকল দিনের কাজেরি মাঝখানে । কিন্তু তাহাকে এরূপভাবে পাওয়া তাহার করুণার উপরই নির্ভর করে. বিষয়বস্তুকে পূর্ণরূপে বিস্তুত হইতে