পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] আত্মার জড়তা আছে কত তীর ভর,— দেখায়ে সুখের লোভ, হৃদয়ে বাড়াতে গেণভ, নরের দেবত্বটুকু করিবারে ক্ষয়,— বাড়াতে ধরার ভার অাছে কত কিছু আর, এই ভালবাসা পুনঃ নহিলে কি নয় ? তাই বলিতেছেন এ নয়, যে ফুলে ফল নাই, সে ধারার সাগর-কামনা নাই, সেই পরিণামঙ্গীন আত্মবিস্তৃত হৃদয়াবেগ সত্য বস্তু নয় । আমি ভাবি ভালবাসা ভাল হইবার আশ, পরের ভিতরে পেয়ে ভালর সন্ধান, তার ভালটুকু নির সঞ্জীবিত রাপি ঠিয় আপনার ভাল যাহা, সব তীরে দান ; তাহারে নিকটে আনি, অথবা নিকটে জানি, পূর্ণ করা জীবনের যত শূন্য স্থান যেটুকু তাহার বাকী ছিল ‘একদিনের ছুটতে তাঙ্গ শেষ করিয়াছেন। এখানে উপেক্ষিত হৃদয় একটিবার আনন্দ-যজ্ঞে যোগ দিতে চাহিতেছে, শুধু একদিনের জন্য অবসুন্ন প্রাণ সকল নিয়মের বাহিরে আপনার প্রেম রচিত স্বৰ্গপণ্ডে ভুলের শাস্তি ভুলিতে চাহিতেছে, অতৃপ্ত ক্ষুধ মনে বিদ্রোহ জাগাইতেছে—সবি বুঝি ছেড়ে বুঝি ভঙ্গে । যদি একদিন শুধু জীবনে ছুটী পাই, জগতের সীমা শেষে দুইজন মিলে যাই ; বিধাতার আঁখি ছাড়া দ্বিতীয় নাহি কেহ, সন্ধ্যারূপে ঘিরে রবে দুজনে তার স্নেহ, জানিব দ্বজনে দোহে, জগৎ কিছু নয়, কিসের বা অভিমান—সন্দেহ লাভ ভয় ? মাঝখানে কিছু নাই, মিলিত হিয়৷ দুটি, যত আবরণ বাধ সহসা গেছে টুটি ; কোথায় দুজনে দোহে খুলিয়া দিব প্রাণ– চিরতরে ভুল ভ্রাস্তি করিতে অবসান।

  • * * * ঝেড়ে ফেলি প্রেম হতে উপেক্ষা পাংগুজাল ছিড়ে ফেলি একটানে মাঝের অন্তরাল।

কিন্তু তাহা হইবার নহে। শুধু নিজের হৃদয়কে বিচারক ও বিধাতাকে সাক্ষী করিয়া চলিবার অনেক বাধা, অনেক বিপদ। সংসারের সকল সম্বন্ধ হইতে প্রেমকে বিচ্ছিন্ন করিলে তাহাতে মঙ্গল থাকে না । তাই কি জানি নীতির ডর কাহার ছুটে যায় কৰ্ত্তব্য কঠিন বৰ কাছার টুটে ধার। কাব্যপরিচয় ৬৭ যদি জগতের গ্রস্থে লেখাজোপা না থাকে, ডুলারে বিপথে যদি কাহারেও না ডাকে, . এ স্বথ না কাড়ে যদি কাহারে স্বথ-ভাগ, এ প্রেম হৃদরে কারো না রেখে যায় দাগ, ধরণীর রীতিনীতি অক্ষত রাখি যায়, তবে গো মিলন সুখ চাহি এ ধরায় । সে আশ মিটিবার নয়, তাই সে দিন হবে না হয়, জীবনে নাই ছুটী. নিতান্তই পর হোক আত্মীয় মোরা দুটি ।

  1. 4t; oftefits of: The Statue and the Bust কবিতায় এ প্রসঙ্গ অন্যভাবে সমাপ্ত করিয়াছেন। আধুনিক নরনারী হয়ত বলিবে মানুয়ের স্বস্ট বাধাকে ভগবানের অভিপ্রায় বলিয়া কেন মনে করি ? কোথায় এর অপরাধ ? কিন্তু সমাজ যেমনই হোক তাহা হইতে আপনাকে পৃথকৃ করিয়া কবি দেখেন নাই। জীবনের প্রতি সম্বন্ধের দায়িত্ব তিনি অনুভব করিয়াছেন, তাই এই অনাত্মীয়তার ব্যথা শেষ হইবার নহে, বস্তুতঃ তাহার কাব্যে আপাত দৃষ্টিতে রক্ত মাংসের কিছু উপেক্ষ যেন झुछे झ्म्न । झुलएक পূজা করিতে গিয়া তিনি যেন মূল একবারে ভুলিয়াছেন । c<f«Γβ απ 3fèfAVG* Summum Bonume 3 তরুণীর প্রথম চুম্বনের অনন্ত মধু, কোথায় টেনিসনের “লান্স লট ও. গৃহনিভির এর সেই প্রাণভর প্রাণ-আকুল-করা চুম্বন যাহাতে দুইটি হৃদয় আপনাকে নিঃশেষ করিয়া দিয়াছে, কোথায় সে মৌন অতুরাগ যাঙ্গতে দেহ-মনে স্কুল-স্বল্প বিলীন হইয়া, রাখিয়া গিয়াছে একটি সৰ্ব্বগ্রাসী চিরঅতৃপ্ত

ক্ষুধা । ভালবাসার এদিকটা বর্ণনা করার শক্তি যে তার ছিল না তাহা আমার মনে হয় না। বস্তুতঃ তাহার রচনায় যে অসীম সংযমের শক্তির মিতব্যয়িতার ও স্বল্পভাষিতার পরিচয় পাই, তাহাতে মনে হয়, যাহা তাহাকে এদিকে অগ্রসর হইতে দেয় নাই, সেটি তাহার নারীমুলভ সংযম ও শুদ্ধশীলতা । তাই পূর্ণ মিলনেও যে ছবি ফুটিয়া উঠিয়াছে সে : মোরে প্রিয় কর না জিজ্ঞাসা, কুথে আমি আছি কিনা আছি । ডরি আমি রসনার ভাষা ; দোহে যবে এত কাছাকাছি,