পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

哆 & 愉溢 W S BD BBB SgBBSB BBB BBBB BBBD D DBBBD BBB DDBBB BB BBB BBS B BBBB BBB BBBB BB BBBB BBBB BBBS DDBBS BB BB BB D DBBDD BDDBS BBBS BBB BBD DDDBBSggES আখ পৃষ্ঠার অনধিক ওয়া আবখ্যক । পুস্তক-পরিচয়ের সমালোচনা বা প্রতিবাদ না-ছাপাই আমাদের নিয়ম। ছাতনা ও চণ্ডীদাস দেড় বছর আগে একবার ছাতনায় বেড়াতে গিয়েছিলাম। রাজপথের ধারে ছাতনার পুরানো “বাসলী” মন্দিরের ভগ্নাবশেষ দেখে ছাতনার রাজবাড়ীতে উপস্থিত হলাম। বাজবাড়ীতে, রাজবংশের ইতিহাসঙ্গ শীরামকিঙ্কর সিংহ মহাশয়ের সঙ্গে দেখা হ’ল । তার সাহায্যে রাজদপ্তরে একখানি হাতে-লেখা থাত দেখতে পাই । খাতাতে গুটি আষ্ট্রেক পাতা আছে। তাতে পয়ার এবং ত্রিপদী ছন্দে ব্রাহ্মণ নগরের ছত্রিন নগরে পরিণতি, হামির উত্তরের রাজ্যভিষেক, বেণের পুটুলিতে বাসলীর রাজবাড়ী আগমন, ইত্যাদি বিষয়ের বর্ণনা পাওয়া যায়। ঠাতে চণ্ডীদাসের পরিচয়ের সম্বন্ধে লেখা ছিল। “অকস্মাৎ দৈবদেশ শ্রবণে করে প্রবেশ দেবীদাস পড়িয়াছ ভ্ৰমে । 歌 实 歌 寧 প্রিয় ভক্ত তুমি মম চণ্ডীদাস নিরুপম দুটি ভাই কেহ নহে উন। s: 寧 家 আছে এক কুলাঙ্গার জঘন্য অাঁচার তার চণ্ডীদাস নামে মাত্র ভাই । আছে এক কলঙ্কিনী রাণী নামে রঞ্জঙ্কিনী সেই তার তরী জর জ্ঞান । মানে না সমাজ প্রথা শুনে না কাহারে কথা স্মরে মুখে মাত্র রাধা নাম ॥ সমুদ্র গোঁড় সমাজ গোত্র শ্রেষ্ঠ ভরদ্বাজ হরে মিশ্র কুলের সন্তান । পুত্র হইল দুই জন উদ্ধব পদ্মলোচন ।” ईऊािं শুনেছিলাম যে, মূল পুথি আনন্দময়ী চতুষ্পাঠীর অধ্যাপক মহাশয়ের কাছে আছে । সে-সময়ে তাকে পত্র দিভে পারিনি। সম্প্রতি স্তকে যে চিঠি দিয়েছিলাম তার উত্তরে তিনি লিখেছেন যে, এই লাইন কটি তিনি অন্য পুথিতে দেখেছেন। তার কাছে যে-পুপি আছে তা দেবীদাসের ছেলে পদ্মলোচন শৰ্ম্ম কর্তৃক ১৩৮৭ শকাব্দে বিরচিত। পুথি সম্বন্ধে কোনও সন্দেহের কথা উঠতে পারে না, কেননা চণ্ডীদাসের কাল সম্বন্ধে আমাদের যা মোটামুটি জানা আছে তাতে এইটুকু জানতে পারা যায় যে, চণ্ডীদাস বিদ্যাপতির সমসাময়িক । বিভিন্ন প্রমাণে জানতে পারা যায় যে, বিদ্যাপতি চতুর্দশ শতাব্দীর শেষ ভাগ হ’তে পঞ্চদশ শতাব্দীর প্রায় মধ্যভাগ পৰ্য্যস্ত বর্তমান ছিলেন । ছাতনার যে-রাজার সময়ে বাসলী দেবীর প্রতিষ্ঠা হয় তার নাম “উত্তর হামির” । ইনিই ছাতন রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা। ছাতনার রাজবংশের ইতিহাসঞ্জ রামকিঙ্কর-বাবুর কাছে শুনেছিলাম এবং —সম্পাদক । ] রাজবাড়ীর খাতার মলাটে লেখা দেখেছিলাম যে, উত্তর হামির বর্তমান রাজার উৰ্দ্ধতন একবিংশ পুরুষ। বর্তমান কাল-গণনার মতে এক পুরুষে ২৫ বৎসর ধরলে উত্তর হামির চতুর্দশ শতাব্দীর শেষভাগ কিম্বা পঞ্চদশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে বর্তমান ছিলেন বলা যেতে পারে। কাজেই ছাতন রাজপরিবারের ইতিহাস হতে আমরা চণ্ডীদাসকে বিদ্যাপতির সমসাময়িক বলতে পারি। সত্যকিঙ্কর-বাবু আমাকে ব্যক্তিগত ভাবে যে-পত্র দিয়েছেন তাতে তিনিও উত্তর হামির ১৩৫ • হতে ১৩৭৫ শকের মধ্যে বর্তমান ছিলেন এরূপ উল্লেখ করেছেন। চণ্ডীদাসের ভ্রাতুপুত্র পদ্মলোচন শৰ্ম্ম৷ ১৪৬৫ খৃঃঅব্দে পুথি রচনা করেছিলেন, সুতরাং আমরা উীর খুল্লতাতের পঞ্চদশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে বর্তমান থাকবার সম্বন্ধে নিসংশয় হতে পারি। সত্যকিঙ্কর-বাবু যে-ইষ্টকের কথা বলেছেন, তাতে উল্লিখিত আছে "শী ছাতন নগরের ঐউত্তররায়।” অবশ্য মন্দির-চত্বরে বহুবিধ রকমের ইট পাওয়া যায়। শুনলাম তার পাঠ উদ্ধারের চেষ্টা চলছে, কাজেই সে সম্বন্ধে বর্তমানে নীরব থাকাই যুক্তিসিদ্ধ। ছাতনার বাসলী যে তন্ত্রোক্ত বিশালাক্ষী নয় রামকিঙ্কর-বাবুও সেবিষয়ে আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। মধ্যযুগের বাংলায় বৌদ্ধ তন্ত্রের পাশাপাশি হিন্মুক্তস্ত্রর মতও গড়ে উঠছিল; কাজেই বৌদ্ধ দেবদেবী ও হিন্দুর দেবদেবীর নামের ও পুজা-পদ্ধতির মধ্যে পার্থক্য ক্রমশঃই দূর হয়ে আসছিল। বাঁকুড়া প্রভৃতি জেলায় যে এক সময়ে বৌদ্ধ প্রভাব খুবই বেশী ছিল তা শুধু ছাতনার বাসলী ঠাকুর কিম্ব স্থানীয় আচার ব্যবহার দ্বারা ছাড়া অন্য বিষয়ের দ্বারাও প্রমাণিত হয়। বাঁকুড়া সহরের অনতিদূরে দারকেশ্বর নদের পরপরে “সোন। তাজলের” দেউল নামে এক ভগ্ন মন্দির আছে। মন্দির কত দিনের তাই। অনুমানের আশ্রয় ভিন্ন অন্য উপায়ে বলবার উপায় নেই। শ্ৰীযুক্ত অবিনাশচন্দ্র দাস মহাশয় একে বাংলার সর্বাপেক্ষ পুরাতন মন্দির বলেছেন। এই মন্দির-দ্বারের দক্ষিণ পার্থে ভূমি হতে প্রায় দশ হাত উদ্ধে" ভূমিস্পর্শ মুদ্রায় উপবিষ্ট বুদ্ধ-মূৰ্ত্তি দেখতে পাওয়া যায়। স্বতরাং মন্দিরের সঙ্গে বৌদ্ধ ধর্মের কিছু সম্বন্ধ ছিল ব’লেই মনে হয়। বঁকুড়ার নানা স্থানে অনেক দেবায়তন ও বহু পুরাকীর্দুির এখনও সন্ধান হয়নি ; হ'লেও প্রকৃত ঐতিহাসিকের দৃষ্টি তৎপ্রতি আকৰ্ষিত হয়নি। আশা করি সুধীগণ এই দিকে লক্ষ্য করবেন। শ্ৰী প্রভাতকুমার চট্টোপাধ্যায় ভক্তিপরীক্ষা শীর্ষক গল্পের প্রতিবাদে আপত্তি গত আষাঢ় মাসের প্রবাসী পত্রিকায় ভক্তিপরীক্ষ-কল্পে অধ্যাপক শ্ৰীঅমৃতলাল শীল মহাশয় মুসলমান সমাজের পুর্বপুরুষ ভক্তবীর ইব্রাহিমের