পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

عنوانا মাঝখানে ভাষা কেন চাই বুঝাবার আর কিছু নাই ? হাত মোর বাধা তব হাতে, শ্রাস্ত শির তব স্বন্ধোপরি, জানি না এ কুস্নিগ্ধ সন্ধ্যাতে অশ্র কেন উঠে আখি ভরি । দুঃখ নয়, ইহা দুঃখ নয় এইটুকু জানিও নিশ্চয়। কেন কথার আড়াল ? নারী-হৃদয়ের পরিচয় কি কথায় মেলে? তা’র আত্ম-সমর্পণ বুঝাইবার বিশেষ ভাষা ভগবান তাঁহাকে দিয়াছেন। অভাবের আর্বত, প্রতীক্ষার দীর্ঘত, পরাজয়ের ব্যথা, প্রত্যাখানের অপমান সবই তা’র নিরুদ্ধ অশ্রর কোমলতায় মধুর। প্রকাশের বাহুল্য নাই । তাই কামিনী রায়ের কবিতায়, সে সুরে রক্ত চঞ্চল করে, ধমনী উদ্দাম হয়, তাহা নাই । আচে যেন গোধূলি-কোমল দূরাগত নদীতীরের উদাস করা করুণ বাশী, যাহা আভাসেই ব্যক্ত । হেনরি মাদকতা ইহাতে নাই, আছে রজনীগন্ধীর নম্র সৌরভ । এ ফুলের প্রতি পাপড়িটির সৌন্দর্য্য বর্ণনা করি এত স্থান এ-প্রবন্ধে নাই। তবু আরও দুএকটির উল্লেখ না করিয়া পারিলাম না । “পদধ্বনিতে” কবি আপনার মন হইতে পলাইবার স্থান খুজিতেছেন । যেথা পদধ্বনি নাই, কোথা সেই স্থান ? সেথায় বাধিব আমি ঘর, স্বষ্টির আরম্ভ হতে প্রলয় অবধি পশে নাই, পশিবে ন নর। শব্দহীন, জলহীন, সন্ধ্যাহীন দেশে ভুলি যাব এক চিন্তা—“ঐ আসিছে সে ।" ge আবার ‘এসো একবারে’ একটিবার শেষ দেখার জন্য কি ব্যাকুল, কাতরতা। -न शंरेष्ठ धूळूब खेषांद्र এসে তুমি, এসে একবার । • ‘ফিরিবে না’ কবিতায় অমোঘ অদৃষ্টের, করুণাহীন কৰ্ম্মফলের কি কঠিন চিত্র । নিকটে আছিল যবে দেখিলে না চেয়ে, দুরে গিয়ে জাজ তারে চাই, প্রবাসী-বৈশাখ, ১৩৩৩ [ २७* छां★, sञ थ७ ভাসাইয় দিলে তরী, চলিয়াছে ধেয়ে, ফিরিবে না ঘটনা প্রবাহ । আর ফিরিবে না তরী, ফিরায়ে না মুখ,− চলে যাও, যথা চলেছিলে ভুলে যাও যারে তুমি দিয়াছিলে দুখ, স্নেহ যার পায়ে দলেছিলে যৈদিকে চলিয়াছিলে চল সেই দিক্‌, ইতস্ততঃ কর’ন! আবার, ভুল যদি ক’রে থাক, ভুলে থাকা ঠিক, ভুল হ’তে ভুলেতে যাবার নাহি কাজ ।...••• 来 箏 来 錄 ভুলে একে একে কত বর্ষ হয়েছে তে পার, এ-যাত্রীর আর যত ভুল চুক থেকে এক ভুল করুক উদ্ধার। এরই পাশে “আধ ঘুমে অটল, বিশ্বস্ত, প্রতীক্ষার কি করুণ, কি মধুর ছবি । সে ফিরিবেষ্ট, শুধু ভয় এতদিনে যদি না চিনিতে পারে । তুমি যে ফরিবে তাহ জানিতাম মনে, সে বিশ্বাস চিরদিন আছিল নিশ্চয়, ; চিনিতে পরিবে কিন পুনঃ এই জনে আমার আকুল প্রাণে ছিল এই ভয় । বিরহ সন্তাপে সখে, সব শুকাইল আমার সৌন্দর্য্য, অতি সামান্ত যা ছিল । বসন্ত শেষে ঝরা ফুলের শুকানো মালায় যদি পুরাতন কথা মনে না পড়ে আজ এই বড় দুঃখ, তুমি ফিরে এসে আমায় হেরিলে রূপে আরও হীনতর, তবু তো এসেছে তুমি আমি অনিমেষে দেখিতেছি শতগুণে তোমারে সুন্দর কর বাড়াইলে আমি পাই তব কর,— তোমার সান্নিধ্যে পুর্ণ আমার অন্তর। ‘আমি অনিমেষে দেখিতেছি শতগুণে তোমায় সুন্দর’, ইহার মধ্যে একটি যেন গোপন কামনা ফুটিয়া উঠিয়াছে। তোমার রূপ ত ফুরায় নাই। আমার কাছে তুমি আরো সুন্দর। যা তোমাকে আমার কাছে এত সুন্দর করিয়াছে, এত প্রতীক্ষার পরে সেই সোনার কাঠিতে তোমার চোগে আমার যৌবন আবার জাগিবে না ? তা’র পর প্রথম-যৌবনের সদ্যপ্রবুদ্ধ হৃদয়ের সব গোপন কথা=