পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] মৃত্যু-দূত у е 9 তাহার মস্তকাবরণ প্রায় ঈডিথের মুখস্পর্শ করিল। সে বলিল, “তুমি যত আস্তেই কথা বল আমি শুনতে পাব।” ঈডিথ এমন অফুট নিম্নস্বরে কথা বলিতে লাগিল যে, মা, সিস্টার মেরী কিম্বা গুস্তাভসন কেহই তাহার ঠোটের কাপুনী পৰ্য্যন্ত লক্ষ্য করিলেন না। কেবলমাত্র জর্জ ও ডেভিড হল তাহার কথা শুনিতে লাগিল। সে বলিল, “আমি জানি না, তুমি আমার মনের অবস্থা বুঝতে পাৰ্বছ কি না । কিন্তু আমার একান্ত প্রার্থনা, আমাকে আর একদিন সময় দিতে হবে । আমার বড় দরকার। মৃত্যুর পূৰ্ব্বে একজনের সঙ্গে আমাকে দেখা কবৃতেই হবে-তাকে বোঝাতে হবে । তুমি জান ন। আমি কি অন্যায় করেছি। আমার নিজের বুদ্ধি আর কল্পনায় বিশ্বাস ক’রে কি ভুলটাই না করেছি তুমি যদি জানতে ! এই অন্যায়ের বোঝা মাথায় নিয়ে আমি ভগবানের দরবারে গিয়ে দাড়াব কোন মুখে !” সেই চরমদিনের বিচারভয়ে তাহার চক্ষু আয়ত হইল । একটি দীর্ঘনিশ্বাস লইয়া উত্তরের অপেক্ষ না করিয়া সে বলিতে লাগিল— “গোড়াতেই আমার বলা উচিত যে, ঘার কথা বলছি তাকে আমি ভালবাসি । তুমি কি বুঝতে পাৰ্বছ ? আমি তাকে ভালবাসি।” মৃত্যুধানের চালক উত্তর দিল, “কিন্তু সিস্টাবৃ— ? دعــ}bچGif সিস্টার ঈডিথ তাহাকে শেয করিতে না দিয়া বলিতে লাগিল— “একথা যখন বলছি তখন বুঝতে পাৰ্বছ আমার তাকে প্রয়োজন কতখানি। আমি যে ওই লোকটিকে ভালবালি এট। স্বীকার করা আমার পক্ষে সহজ নয়। আমি এই ভেবে বিশেষ লজ্জিত যে, আমি এত নীচমন হয়ে পড়েছি যে অন্যের বিবাহিত স্বামীকে ভালবেসেছি। এই দুৰ্ব্বলতার বিরুদ্ধে আমি অনেক যুদ্ধ করেছি কিন্তু জয়লাভ করিনি। আমি প্রতিদিন প্রতিমুহূৰ্ত্তে আহুভব করেছি যে, আমি এত হন যে পতিতাদের আদশ ও পথপ্রদর্শক না হয়ে আমি তাদেরই মত পতিত হয়েছি।” স্বত্যুদূত এক হাত দিয়া তাহাকে শান্ত করিবার জন্য - ۹ د س-۹هٔ د: তাহার ললাট স্পর্শ করিল এবং কোনো কথা না বলিয়া মেয়েটির ব্যথিত ইতিহাস শুনিতে লাগিল । “একজন বিবাহিত পুরুষকে ভালবাসাটাই আমার চরম মানি নয়, আমার সব-চাইতে দুঃখ এই যে, আমি ভালবেসেছি একজন দুৰ্ব্ব ত্তকে। আমি জানি না কেমন ক’রে তাকে আত্মসমর্পণ করলাম। হয়ত ভেবেছিলাম ওর মধ্যেও কিছু পদ গুণ চাপা প’ড়ে আছে । কিন্তু আমি বার বার প্রতারিত হয়েছি। আমি নিজে নিশ্চয় পাপী, নইলে এতটা বিপথে যাব কেন ! হায়-হায়, তুমি কি বুঝতে পাবুছ না, আমি একবার শেষ চেষ্টা ক’রে মরতে চাই। নইলে আমি শান্তি পাব না। মরার আগে আমি তার একটু পরিবর্তন দেখে যেতে চাই ।” জর্জ সন্ধিগ্ধভাবে বলিল, “কিস্থ, তুমি কি যথেষ্ট চেষ্টা করনি ?” সিসটার ঈডিথ চক্ষু বুজিয়া ভাবিতে লাগিল। ক্ষণপরেই সে চক্ষু মেলিয়া জর্জের দিকে চাহিল। কি যেন নূতন আশায় তাহার মুখ উদ্ভাসিত হইয়া উঠিল । “তুমি হয়ত ভাব ছ, আমি নিজের জন্য এত সব বলছি ব। দুঃখ করছি। অন্য সবারই মত তুমিও হয়ত ভাবছ ঘে, তার ব্যবহারে বিরক্ত হ’য়ে আমি তার ভালোমনের কথা ভাবছি না। না, আমি তারই কথা খাল ভাবছি ! খানিকক্ষণ পরেই পৃথিবীর সকল মায়ার বাধন কেটে আমি চলে যাব ; আমার নিজের জন্যে আর বিশেষ কিছু প্রয়োজন নেই। আজকে একটা ঘটনার কথা তোমায় বলছি—তাতে ক’রে বুঝতে পারবে আমি তার সঙ্গে দেখা কবৃতে এত ব্যাকুল কেন " সিসটাবু ঈডিথ আবার চোখ বুজিল এবং সেই অবস্থাতেই বলিতে লাগিল,— “আজকের বিকেলের ঘটনা । আমি স্পষ্ট করে বুঝিয়ে বলতে পারব না ঘটনাটা কি ক’রে সম্ভব হ’ল । এটা স্বপ্ন কি সত্য এখনো আমি ঠাহর করতে পারছি না। আজ বিকেলে আমি হাতে একটা টুকরী নিয়ে রাস্তায় বেরিয়েছিলাম, সম্ভবতঃ কোনো গরীব লোকের জন্যে খাবার নিয়ে চলেছিলাম। একটা বাড়ীর উঠানে গিয়ে দাড়ালাম—সে বাড়ীতে আর কখনো গেছি ব’লে মনে হয়