পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

to e8 প্রবাসী—ভাদে, OLL [ ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড না। সম্পূর্ণ অপরিচিত জায়গা। আশেপাশে মস্ত মস্ত উচু বাড়ী এমন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন আর মুন্ধর যে বেশ षश्|१ (जालिका १ाप्ौ द'tलं षट्न श्'ज ।। षभि षाङ् হ’য়ে ভাবতে লাগলাম যে, খাবার নিয়ে সেই সমৃদ্ধপল্লীতে আমি এলাম কেন । হঠাৎ দেখলাম একটা প্রকাগু বাড়ীর দেওয়াল ঘেসে একট। ছোট কুড়ে ঘব । সম্ভবতঃ মুরগী রাখার ঘর হিসেবে সেট তৈরী হয়েছিল ; কিন্তু সম্প্রতি সেটাতে যে মানুষ বসবাস করছে তা স্পষ্ট বুঝতে পারলাম, দেয়ালে কাগজের আর কাঠের টুকরো পেরেক দিয়ে ঠোক ; গোটা দু’তিন ছোট্ট জানলা। ছাদে লোহার পাতের দুটো চিমনী ; তার একটা দিয়ে অল্প অল্প ধোয়া বের হচ্ছিল ; ঘরে নিশ্চয়ই লোক আছে । সম্ভবতঃ ওইটাই আমার গন্তব্য স্থান। একটা খাড়া কাঠের সিড়ি বেয়ে একটা পায়রার খোপের মত ঘরের সামনে এসে দাড়ালাম। দরজা খোলাই ছিল । ভেতরে মামুষের গলার আওয়াজ পেয়ে, দরজায় ডাকাডাকি না ক’ের ভেতরে ঢুকে গেলাম। “ঘরের মাঝখানে তিনটি স্ত্রীলোক গভীরভাবে কি যেন আলোচনা করছিল—আমাকে কেউ লক্ষ্য করলে না। আমি তাদের নজরে পড়বার অপেক্ষায় একপাশে দেওয়াল ঘেসে দাড়িয়ে থাকুলাম। আমার মনে হ’ল কোনো বিশেষ উদ্দেশ্য-সাধনে আমি সেখানে গেছি। ঘরখানার দুরবস্থা দেখে মনে হ’ল যেন কোনো খামার-বাড়ী। মানুষের বাসস্থান এমন বিশ্ৰী হ’তে পারে না। আসবাব পত্রের বিশেষ কোনো বালাই ছিল না -একথানি চৌকীও ন। এককোণে শতচ্ছিন্ন একটা তোষক পাত। ছিল ; শোবার বিছানা হ’তে পারে । চেয়ার একটাও ছিল না, একট। সস্তা দেবদার কাঠের ভাঙা টেবিল এককোণে প’ড়ে ছিল । "তিনজনের একজনকে হঠাৎ চিনৃতে পারলাম, সে ডেভিডের স্ত্রী। বুঝলাম কোথায় এসেছি। আমি যখন হাসপাতালে ছিলাম তখন ওরা নিশ্চয়ই বাসা বদলেছে। কিন্তু ওদের অবস্থা এমন খারাপ হ’ল কি ক’রে কিছুতেই সেটা ঠিক করতে পারলাম না। আসবাবপত্র সব গেল কোথায় ? মুন্দর স্বন্দর ফুলের টবগুলি নেই। সেলাই য়ের কলটিই বা গেল কোথায় ? আরো সমস্ত জিনিষ যা ডেভিডের বাড়ীতে দেখেছি ব’লে মনে পড়ছিল ভ; একটাও সেখানে ছিল না। . “ডেভিডের স্ত্রীকে দেখে চমকে উঠলাম—যেন হতাশার প্রতিমূৰ্ত্তি ; লজ্জানিবারণ করবার মতন বস্ত্রও তার ছিল না। গত বছর শীতের সময় তাকে যেমন দেখেছি এখন তার অনেক পরিবর্তন হয়েছে। দৌড়ে গিয়ে তাকে বুকে ধ’রে তার খবর জানবার জন্তে আকুল আগ্রহ হ’ল, কিন্তু দুটি অপরিচিত সন্ত্রান্ত মহিলা তার সঙ্গে গভীর মনোযোগের সঙ্গে কি আলোচনা করছেন দেখে চুপ ক’রে দাড়িয়ে থাকুলাম ; গুরুতর কিছু যেন ঘটেছে মনে হ’ল । ব্যাপারটা অবিলম্বে বুঝে নিলাম ; ডেভিডের ছেলে দুটিকে কোনো অনাথ আশ্রমে পাঠাবার ব্যবস্থা হচ্ছে ; বাপের ধৰ্ম্মার ছোয়াচ 6থকে তাদিকে বাচাতে হবে । “আমি ঠিক বুঝতে পারলাম না দুটি ছেলের কথ। হচ্ছে কেন । আমি জানতাম, ডেভিডের তিন ছেলে । অল্পপরেই কারণ বোঝা গেল। ডেভিডের স্ত্রীকে র্কাদূতে দেখে দয়ালু মহিলাদের একজন অত্যন্ত সহানুভূতি দেখিয়ে বললেন যে, আশ্রমে তার ছেলেদের প্রায় বাড়ীর মতনই যত্ব হবে। ডেভিডের স্ত্রী বললে, ‘ডাক্তার, আমি তা জানি। আমার এই দুৰ্ব্বলতা ক্ষমা করুন। ছেলেদের অন্য কোথাও না পাঠালে আমাকে এর চাইতে বেশী কাদতে হবে। আমার কোলের ছেলেটিকে এরই মধ্যে ইণসপাতালে পাঠাতে হয়েছে। তার কষ্ট বথন. দেখি তখন মনে হয় এদুটিকে যদি কেউ দয়া ক’রে আমার কাছ থেকে সরিয়ে নিয়ে যান আমি স্থখী হব এবং তার কাছে কৃতজ্ঞ থাকব ।’ * “ডেভিডের স্ত্রীর কথা শুনে অম্লতাপে আমার মন, ভরে গেল। ডেভিড হল তার স্ত্রীর ও ছেলেদের কি সৰ্ব্বনাশটাই না করেছে । আর এর জন্তে আসলে দায়ী আমি । আমিইত পরামর্শ দিয়ে ওকে স্বামীর সঙ্গে বাস করতে বাধ্য করেছি। ঘরের এক কোণে দাড়িয়েদাড়িয়ে আমি কাদতে লাগ লাম। আশ্চর্ঘ্যের ব্যাপার এই যে, ঘরের আর তিনজন আমাকে লক্ষ্য করলে না। “ডেভিডের স্ত্রী দরজার দিকে এগিয়ে যেতে যেতে,