পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পুরাকালের প্রকাও জন্তু এখন পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় হাতী যতটা উচু, কাধের উচ্চতায় ইহারাও ততখানি ছিল । পিছন দিকের উচ্চতা ১৩ ফুটের কম নয়। ইহাদের দেহ দৈর্ঘ্যে ১২ ফুট, চারিটি পা, তাহাতে পাচটি করিয়া নখ ; পা-গুলি থাবার মত, গলা ঠিক রাজহাসের মত লম্ব, কিন্তু তাহার চেয়ে মোট ও শক্ত ; দেহের তুলনায় মাথা ছোট, তাহ৷ দৈর্ঘ্যে ২ ফুট। চোখ পাখীর মত মাথার দুই পাশে । মুখের সন্মুখ দিকে সরু সরু ঘনসন্নিবিষ্ট দাত, চিরুনির মত । মাথা ও গলায় দৈর্ঘ্যে প্রায় ২৪ ফুট। ল্যাজটি মোট হইতে সরু হইয়া গিয়াছে ; তাহা প্রায় ৫০ ফুট লম্বী । বৈজ্ঞানিকগণ মনে করেন, ইহারা জল ও স্থল উভয় স্থানেই বাস করিত এবং জলে মুখ ডুবাইয়া জলজ উদ্ভিদ উপড়াইয়া খাইত। পায়ের থাবা হয়ত এই কাজে লাগিত ; আর গাছগাছড় দাতে করিয়া চাপিয়া ধরিত ও চালুনির মত দাতের ফাক দিয়া জল বাহির হইয়া যাইত । শত্রুর ভয়ে ইহারা হয়ত প্রবাসী—ভান্দ্র, ත ථෙව් [ ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড জলে আশ্রয় লইত এবং নিশ্বাসের জন্য লম্বা গলার সাহায্যে জলের উপর নাক জাগাইয়া রাথিত । কি করিয়৷ যে এই জানোয়ার পৃথিবী হইতে লুপ্ত হইল তাহ ঠিক করা শক্ত। বৈজ্ঞানিকগণ একট। আশ্চৰ্য্য অতুমান করেন এই যে, এই জানোয়ারই ক্রমবিবৰ্ত্তনে পার্থীর আকার ধারণ করিয়াছে, অর্থাৎ ইহার পাখীদের অতিবৃন্ধ পিতামহ । 한 কবি কৃষ্ণচন্দ্র পদ্যপাঠের কবি কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদারের বাড়ী ছিল সেনহাটি গ্রামে। সেনহাটা পূৰ্ব্বে যশোহর জেলার মধ্যে ছিল, এখনও খুলনার দৌলতপুর পল্লীর পাশে অবস্থিত । র্তার রচিত ছোট ছোট কবিতাগুলি যেমন রসে ভরা আঙ্গরের মতন মধুর, তার জীবনের ছোট ছোট ঘটনাগুলিও তেমনি হিত-কথার অমৃত-রসে পরিপূর্ণ । > তিনি এক সময়ে যশোহর জেলার স্কুলের প্রধান পণ্ডিত ছিলেন । যে ক’টি টাকা পেতেন তাতে র্তার ংসার কোনপ্রকারে চলে যে’ত। কিছুদিন কাজ করবার পর প্রধান শিক্ষক মহাশয় একদিন গেজেটে দেখলেন, মজুমদার মহাশয়ের ১০টি টাকা বেতন বৃদ্ধি হয়েছে। পরে দেখা হতেই প্রধান শিক্ষক মহাশয় কৃষ্ণ চন্দ্রকে বললেন,—“আপনার ভাগ্য ভাল, আজ দেখছি, এমাস হ’তে আপনার ১০টি টাকা বেতন বৃদ্ধি হয়েছে।” “কে বললে ?” “আজ আমি গেজেটে দেখেছি। এই দেখুন না ...”