পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

լցՀօ উন্মোচক গবেষণায় সংস্কারের সীম৷ অতিক্রমণের দ্বার উন্মোচিত হইলে পূৰ্ব্ব-প্রাপ্ত সঙ্কীর্ণ জ্ঞানে বিপ্লব উপস্থিত হয়, সমগ্র বিজ্ঞান-শাস্ত্রে দৃষ্টি নবীন ভাবে ক্ষেপিত হয় ; বৈজ্ঞানিক বিধি উলটপালটের নিমিত্ত নুতন উদ্যম আরম্ভ হয় ; পরিশেষে বিভিন্ন ঘটনাবলী এরূপ উৎকৃষ্টতর বিধিসমূহে শৃঙ্খলিত হইয়া বিজ্ঞান-জগতের যুগান্তর স্বষ্টি করে যে, পূৰ্ব্ব-প্রচলিত বিজ্ঞানশাস্ত্র নিতান্ত নগণ্য দশায় পরিণত হইয়া পড়ে। যখন কোপানিকাসের মতবাদ প্রথম প্রচারিত হয়, সে-সময়ে বিজ্ঞান-শাস্ত্র নিতান্ত সঙ্কীর্ণভাবেই আলোচিত হইত। সহস্ৰ সহস্ৰ বৎসরের চেষ্টায় ও জগতের সমগ্র পণ্ডিতমণ্ডলীর চিন্তা ষে গতিবদ্ধ সংস্কারের বিরুদ্ধে পাদক্ষেপ করিতে পারে নাই, কোপার্নিকাস তাহা উন্মোচন করিয়া বদ্ধ জ্ঞানের সঙ্কীর্ণত হইতে উন্মুক্ত প্রাস্তর অবলোকন করিলেন। গ্যালিলিও ও কেপলার নূতন উদ্যমে তথায় উপস্থিত হইলেন। নিউটন অভিনব উপকরণ সাহায্যে বিধায়ক গবেষণায় নূতন পথ প্রদর্শন করিয়া তথায় নবযুগের বৈজ্ঞানিক ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত করিলেন । তার পর বৈজ্ঞানিকযুগে যে-বিপ্লব উপস্থিত হইল, বৈজ্ঞানিকবর্গের নিকট তাহার আলোচনা অনাবশুক । কিন্তু এখন আবার অবস্থার পরিবর্তন সাধিত হইয়াছে । বর্তমানে সে-সমস্ত বিপ্লব অতিক্রান্ত । এখন আর কোপার্নিকাসের উন্মোচনা ও নিউটনের বিধায়নায় আকাঙ্ক্ষার নিবৃত্তি হয় না। এখন মানব-চিন্তা চিরবাসভূমি ধরাধাম ছাড়িয়া আকাশে উডডীয়মান হইতে আরম্ভ করিয়াছে । সমগ্র সৌরজগৎ এমন-কি নক্ষত্রজগতের লীলাখেলা আয়ত্ত হইতে লাগিয়াছে। নূতন নূতন বিধায়ক গবেষণার স্বষ্টি হইতে লাগিয়াছে। কিন্তু আর যেন কেবলমাত্র নক্ষত্ৰ-মণ্ডলে বিচরণ করিয়া প্রাণের ক্ষুধা মিটে না । প্রাণ আরও কিছু চায়। আবার উন্মোচক বা গবেষণার দিকে দৃষ্টি পড়িয়াছে। আস্তিম (atom) নূতন আকারে প্রতিভাত হইল। অলক্ষাস্তিমে (electron) দৃষ্টি পতিত হইল। কিন্তু ইহাকে উন্মোচক গবেষণা বলা যায় না । ইহা কোপার্নিকাসের আবিষ্কারের eधंबांनॆी-छांक, »००० [ ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড মত নহে। ইহার চেষ্টা অনেকটা বিধায়ক-গবেষণাজাত। আক্ষিক প্রমাণে অম্লজান (oxygen) প্রভৃতি মৌলিক । পদার্থ (elements) প্রত্যক্ষীভূত হইলে তাহাদের ধৰ্ম্মগুলি । পৰ্য্যালোচনা করিয়া কতকগুলি বিধি প্রাপ্ত হওয়া গেল। মনীষী ডেণ্টন ইহার আবিষ্কৰ্ত্ত । ডেন্টনের বিধিগুলি পৰ্য্যালোচনা করা মাত্রেই আস্তিমের দিকে দৃষ্টি পড়ে। কোপার্নিকাসের মত-প্রচলিত সংস্কার দূর করিয়া डेक्षत्। খুজিয়া বাহির করিতে হয় নাই । | মূলকণা (molicule), আস্তিম, অলক্ষান্তিম প্রভৃতি | স্বক্ষ পদার্থই আবিষ্কৃত হইত না কেন, বিভিন্নজাতির বলে (force) বিধিগুলি একভাবেই রহিয়াছে। নিউটনের। গতি-সম্বন্ধীয় বিধিত্রয় মাধ্যাকর্ষণ (gravity) তত্ব বৈদ্যুতিক ( electrical ) আকর্ষণ তত্ত্ব প্রভৃতি সমাধানের কোন স্থযোগই উপস্থিত হইতেছে না। এসমস্ত যেন আরও গোড়ার কথা । অথচ আমর দেখিতেছি, একমাত্র গুরুত্ব (mass) ঘটিত পরিমাণ অনুযায়ীই এই বিভিন্ন প্রকার বলের ক্রিয়া নিৰ্ব্বাহ হয়। গুরুত্ব কাহাকে বলে তৎসম্বন্ধে আমরা কিছুই জানি না। তবে উপরোক্ত বিধিগুলির অালোচনায় এই বুঝি থে মাধ্যাকর্ষণ, তাড়িতাকর্ষণ ও বিভিন্ন গুরুত্বের মধ্যে পরস্পর ঘাত-প্রতিঘাত-জনিত বলের ক্রিয়া যেন কোন নির্দিষ্ট একই প্রকারের মৌলিক তত্বের উপর নির্ভর করিতেছে। সেই তত্ত্ব পাওয়া গেলে অলক্ষান্তিম প্রভৃত্যি গঠন-প্রণালী নিরূপিত হইবে এবং তদ্বারা শক্তি ( energy ) ও গুরুত্ব জিনিষটা কি অবধারিত হওয়া আলো, তাপ, তড়িৎ, রসায়নিক ( chemical ) সংযোগ প্রভৃতির মূল, তত্ত্বগুলি গণিতের উপর নির্ভর করিয়াই সমাপ্তি হইবে। সমগ্র বিজ্ঞান-জগতে পুনরায় বিপ্লব সাধিত হইয়া নূতন আকারে বিজ্ঞান-শাস্ত্রের গঠন আরম্ভ হইবে । কিন্তু এই মৌলিক তত্ত্বে উপস্থিত হওয়ার উপায় কি ? উপায় উদ্ভাবনের দুরূহত্ব সামান্ত নহে। কারণ আক্ষিক প্রমাণের উপরই বৈজ্ঞানিক তত্ত্বের আবিষ্কার নির্ভর করে। যাহা আক্ষিক প্রমাণ দ্বারা গৃহীত হয় নাই, তাহার উপর সম্পূর্ণ নির্ভর করা যায় না। মূলকণা