পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] গ্রামগুলি এখন জলে ডুবিয়া গিয়াছে। শীঘ্ৰ যে এই জল নিষ্কাশিত করা যাইবে এমন জাশা নাই। গ্রাম-বাসীদের দুর্দশার সীমা নাই। প্রত্যহ শত শত গৃহ পড়িয়া যাইতেছে। ব্যারাম দেখা দিখেছে। কলেরা ইতিমধ্যেই আরম্ভ হইয়াছে । শতকরা ৮০ জন লোক খাইতে পাইতেছে ন। এই বৎসর এখানে কোন শস্তই পাওয়৷ যাইবে না, বরং অন্যান্ত প্রকার ভীষণ ক্ষতিরও সম্ভাবন ৷ ঘাটাল বস্ত সাহায্য কমিটি দুঃস্থ লোকদের মধ্যে দুইদিন চাউল, ডাল বিতরণ করিয়াছেন । কিন্তু এই সাহায্য প্রচুর নহে। আসাম—- ভয়ানক বৃষ্টির দরুন চিন্ত নদীর জল বাড়ির আসামের নান স্থানে বস্ত হইয়াছে। রেল লাইন ভাসিয়া গিয়া একস্থান হইতে অন্যত্র যাইবার পথ বন্ধ হইয়াছে। তৃতীয় শ্রেণীর রেলযাত্রীদের কথা— রেলে তৃতীয় শ্রেণীর যাত্ৰাদিগকে সকল সময়েই কিরূপ অস্ববিধ ভোগ করিতে হয়, তাহ! কাহারও অবিদিত নাই। সেই অসুবিধা দূর করিবার জন্ত সকল যাত্রী সঙ্ঘবদ্ধ হইয়। কাজ না করিলে এ-বিষয়ে সাফল্যলাভের কোন সম্ভাবনা নাই । এই উদ্দেষ্ঠে কলিকাতায় একটি “তৃতীয় শ্রেণী যাত্রী সমিতি” গঠনের জন্ত উদ্যোগ আয়োজন চলিতেছে। এই আয়ােজন সম্পূর্ণ করিবার জন্ত সত্বর কলিকাতার একটি সভা আহবান করা হইবে । বঙ্গে বিধবা-বিবাহ— পাবনার হিমাইতপুরের প্রমথনাথ হালদার, সম্প্রতি র্তাহার স্বজাতীয় একটি বিধবা বালিকাকে বিবাহ করিয়াছেন । এই অনুষ্ঠানে প্রায় ৪ শত লোক যোগদান করিয়াছিল। সম্প্রতি চিখলিয়াতে এবং সাগরকান্দর কাপালিকদের মধ্যে কয়েকটি বিধবা-বিবাহ হইয়। গিয়াছে। মৈমনসিংহে টাঙ্গাইল হিন্দু সভার উদ্যোগে বিগত মাসে টাঙ্গাইলের উপকণ্ঠে সুরঞ্চ ও পয়ল গ্রামে দুইটি বিধষ বিবাহ সুসম্পন্ন হইয়ছে। টাঙ্গাইলের ব্রাহ্মণ, কায়স্থ, বৈদ্য প্রভৃতি বংশীয় বহু সন্ত্রান্ত ভদ্রলোক উভয় বিবাহে উপস্থিত থাকিয়া বর ও বধূকে আশীৰ্ব্বাদ ও সভ্যসৌষ্ঠবাদি করিয়াছেন। স্বরঞ্চ গ্রামে শ্ৰীমানূ রাধানাথ দাস মালীর সহিত শ্ৰীমতী কৃষ্ণকুমারী দাসীর বিবাহ হইয়াছে, রাধানাথের বয়স ৩৪.৩৫ বৎসর এবং কৃষ্ণকুমারীর বয়স ১৮১৯ বৎসর। লে ১• বৎসর বয়সে বিধবা হইয়াছিল। পয়ল গ্রামে খ্ৰীযুক্ত ঈশানচন্দ্র তিলকদাস শ্ৰীমতী এলোকেশী দাসীর পাণিগ্রহণ করিয়াছেন। ঈশানচন্দ্র ঐ গ্রামের একজন সমৃদ্ধ গৃহস্থ। তিনি দ্বিতীয় পক্ষে এই বিধবাকে বিবাহ করিলেন। এলোকেশীর বয়স ১৯২০ বৎসর, সে ১২ বৎসর বয়সে বিধবা হইয়াছিল। কৰ্ম্মী বালক बब्रिलांज cखलां★ cशोब्रनौ शांनांब्र पत्रषैौन, मांशंछिब्र। 3ांभ निदानैौ, কতিপয় বালক একত্র হইয়া, গ্রামেয় মধ্যস্থ সাধারণের গমনাগমনের রাস্তাগুলি, নিজ হাতে বাধিতে আরম্ভ করিয়াছে। যে যে স্থানগুলি তাহার এই অল্পদিনের মধ্যে সুগম্য রাস্তায় পরিণত করিয়াছে ; এযাবৎ উহা মমুষ্য চলা-চলের অযোগ্য ছিল। লোকালবোর্ড বা ডিষ্ট্রক্টবোর্ডের মুখের দিকে না চাহিয়৷ বালকগণ যে আপন বাহুবলের পরিচয় দিতে উৎসাহিত হইয়েেছ, এজন্ত তাহার দেশবাসীর কৃতজ্ঞতার পাত্র। দেশ-বিদেশের কথা tశిet মুসলমানের মহামু ভবতা – সহযোগী সঞ্জীবনীতে প্রকাশ–রংপুর জেলার অধীন বামনডাঙ্গ এষ্টেটের উত্তরাধিকারিণা স্বনীতিবালা দেবী তাহার পিতার মৃত্যুর অব্যবহিত পরে রিক্ত হন্তে লোকের দ্বারে দ্বারে পিতৃদত্ত সম্পত্তির উদ্ধার কল্পে যখন ঘুরিতেছিলেন, তখন সেই ১৯০৪ সালে বদাম্ভবর আল| মহম্মদ বক্স ইস্পাহানী নামক জনৈক মুসলমান বণিক স্বনীতিবালার স্বত্ব মামলা করিয়া স্থির রাখিবার জন্ত ২৩ হাজার টাকা কঞ্জ দিয়াছিলেন । ঐ-টােক স্বদে আসলে গত মে মাস পৰ্য্যন্তু ১ লক্ষ ২২ হাজার টাকা হইয়াছিল। সুনীতিবাল বর্তমানে যখন টাক পরিশোধ করিতে যান সেই সময় এই মহাত্মার পুত্র লক্ষাধিক টাকা ত্যাগ করিয়া কেবলমাত্র সামান্ত বিশ হাজার টাক গ্রহণে সুনীতিবালার দেন শোধ গণ্য করিয়৷ ভগবানের বিশেষ আশীৰ্ব্বাদ-ভাজন হইয়াছেন। এই মহানুভব মুসলমান বণিকের আদর্শ বৰ্ত্তমান সময়ে হিন্দু-মুসলমানের চক্ষু উল্মীলিত করুক। হিন্দু সমাজ সংস্কার— সম্প্রতি বঙ্গীয় ব্রাহ্মণ সভার উদ্যোগে একটি সভায় ব্রাহ্মণ পণ্ডিতগণ সমবেত হইয়াছিলেন। ঐ সভায় নিম্নলিখিত কয়েকটি প্রস্তাৰ গৃহীত হয়। (১) যদি কোন হিন্দু স্ত্রীলোককে কেহ চুরি করিয়া লইয়া যায় কিংবা জোর করিয়৷ অত্যাচার করে বা সতীত্বনাশ করে, তবে তাহাকে শরীর শুদ্ধির জন্য প্রায়শ্চিত্ত করাইal সমাজে গ্রহণ করা যাইবে । এইসকল ব্যাপারে ভক্তি-সহকারে গঙ্গাস্নান করিলেও শুদ্ধির পক্ষে যথেষ্ট মনে করা যাইবে । ( ২ ) যদি শালগ্রামশিলা চক্ৰ পৰ্য্যস্ত ভগ্ন হয়, তবে ইহা কোন এক নদীতে বিসর্জন দিয়া আর-একটি নুতন স্থাপন করিতে হইবে। যদি চক্র না ভাঙ্গিয়া থাকে, তবে বিসর্জনের কোন দরকার নাই । যদি প্রতিষ্ঠিত দেব-বিগ্ৰহ ভগ্ন হয়, তবে তাছাও পুৰ্ব্বোক্তরূপে বিসর্জন দিয়া শাস্ত্রানুসারে আবার নুতন দেব-বিগ্রহ স্থাপন করিতে হইবে । সঙ্গতিপন্ন হিন্দুদের পক্ষে প্রায়শ্চিত্ত অবগু করণীয়। (৩) কেবল ‘কলম’ পাঠ করা হিন্দুর পক্ষে পাপ নহে। যদি কোন হিন্দুকে জোর করিয়া অন্ত জাতির কেহ ভাত কিংবা অন্ত কোন নিষিদ্ধ বস্তু খাওয়াইয় দেয়, তবে তাহাকে প্রায়শ্চিত্তান্তে সমাজে গ্রহণ করা হইবে। ( a ) যদি কেহ উপরোক্ত প্রস্তাবসমূহের শাস্ত্রীয় আদেশ চান, তবে বঙ্গীয় ব্রাহ্মণসভা হইতে বিনামূল্যে জাহ দেওয়া হইবে। বাঙ্গালার জেল জেল কমিটির অমুমোদনামুলারে বাঙ্গালার জেল-সমুহের ১৯২৫ मांप्लग्न ब्रिtथां दाश्ब्रि श्ब्रltए । उांशप्ऊ cछष्णब्र छैब्रठि-मूलक थप्नक কাজ করা হুইয়াছে বলিয়া জেল-বার্ষিক বিবরণীতে প্রকাশ পাইয়াছে । গবর্ণমেন্ট বিভিন্ন বয়সের বালক কয়েদীদিগের জন্ত পৃথক্ প্রতিষ্ঠান স্থাপন করিয়া শিক্ষা দেওয়ার বন্দোবস্ত করিতে মনস্থ করিয়াছেন। তাহাদিগকে সাধারণ কয়েদীদের মত রাখা হইবে না। এই প্রস্তাব কার্ধ্যে পরিণত করার জস্ব আলীপুরের জুভেনাইল জেলখানাটকে পুনর্গঠন করিয়া টেক্‌নিক্যালু ও সাধারণ শিক্ষার ব্যবস্থা করা হইবে। টেক্‌নিকেল বিভাগে শিক্ষিত একজন কৰ্ম্মচারীকে স্বপারিন্টেণ্ডেণ্ট নিযুক্ত করা হইয়াছে। বঙ্গীয় শিশু আইনানুসারে শীঘ্রই উক্ত জুভেনাইল জেলকে সংশোধনাগার বলিয়৷ ঘোষণা করা হইবে। ঐ স্থানে কলিকাতা ও সহরতলী এবং হাওড়। অঞ্চলের ১২-১৫ বৎসর বয়স্ক যালক অপরাধাদিগকে গ্রহণ করা হইবে। তার পরে ১৯২৭ সনে, ১৬টি হইতে ২১ বৎসর বয়স্ক যুবক-অপরাধীদিগের রাখার জন্ত একটি পৃথক বাড়ী তৈয়ার করিয়া ইংলণ্ডের বোষ্ট্যাল বিদ্যালয়ের আদর্শে তাহাদিগকে শিক্ষণ দেওয়া হইবে। বার বৎসর বয়সের অনধিক বালক কয়েদীদের জন্ত শিল্প-বিদ্যালয় স্থাপন করা হইবে।