পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ম সংখ্যা ] শ্ৰীযুক্ত অজিত ঘোষের প্রাচীন চিত্র-সংগ্ৰহ ৮২৭ , সন্দেহ নাই। নাণীরক্ষা সমিতির নিবেদন এই যে, আপনার মোকদম পরিচালনে যথোপযুক্ত অর্থদান করির দুৰ্ব্বত্তসহায়তা করিবেন । {ার খাদির প্রসার— দি প্রতিষ্ঠানের প্রচার-বিভাগের সৌজন্তে প্রাপ্ত বিবরণ হইতে যায় ৪— ত মে মাসে থtfদ-প্রতিষ্ঠান মোটের উপর ১৭,৯৮১ টাকার থাদি করিয়াছে। জুন মাসের বিক্ররের পরিমাণ ১৫,৬৯৬ টাকা । ১৯২৪ সালে উক্ত দুই মাসের বিক্রয়ের পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৩৮৫৪ টাকা এবং ৬৫২৯ টাকা এবং ১৯২৫ সালে ছিল যথাক্রমে ১৮২৭ • টাকা এবং ১৩৪২২ টাকা । ১৯২৪ সালে জানুয়ারী হইতে জুন এই ছয় মাসে মোটের উপয় তাহার। ২৪২১৬ টাকার খাদি বিক্রয় করিয়াছিলেন । ১৯২৫ সালে উক্ত ছয় মাসের বিক্রয়ের পরিমাণ ছিল ৭১৬১৬ টাকা, এবৎসর উক্ত কয়মাসে সেই পরিমাণটা উঠিয়াছে ১২০৫-৬ টাকাতে। এই ঠিন বৎসরের প্রত্যেক মাস ভিন্নভাবে হিসাব করিলেও দেখা যায়—যtংলায় খাদির বিক্রয় সমষ্টিগতভাবে যেমন বাড়িয়া চলিয়ছে—মাসিক হিসাবেও তেমূনি বাড়িয় চলিয়াছে । உாற শ্ৰীযুক্ত অজিত ঘোষের প্রাচীন চিত্র-সংগ্ৰহ শ্রী রমেশ বসু ত হাভেল সাহেব “ভারতীয় ভাস্কৰ্য্য ও চিত্রকলা" ম পুস্তক প্রকাশ ক’রে প্রাচ্য শিল্পের ইতিহাসে এক ন্তর এনে দিলেন । এর আগে ভারতীয় প্রাচীন শিল্প স্ক যে-সব ধারণা চলিত ছিল সেগুলি সব ওলট-পালটু য় গেল। ক্রমে শিল্প-সমালোচকের উক্ত শিল্পের মাহাত্ম্য কার করতে লাগলেন, আর শিল্প-সংগ্রাহকেরাও প্রাচীন রতীয় নিদর্শনগুলির আদর কবৃতে স্বরু ক’রে দিলেন । রতীয় শিল্প-ব্যাপারে শ্ৰীযুত হাভেলের আগ্রহ ও তার তে যেসব চমৎকার চিত্র প্রকাশিত হয়েছিল, এ দুটি তি অজিত ঘোষের মনে খুব প্রভাব বিস্তার করেছিল । আগে থেকেই এর বই কিনবার বাতিক ছিল এবং দিন লণ্ডনের কোনো বইয়ের দোকানের তালিকায় নি দেখতে পান যে, “ভারতীয় ন’ খানা প্রাচীন চিত্র” ক্ৰী হ’বে ব’লে লেখা রয়েছে। তখনই তিনি সেগুলি নবার জন্যে চিঠি দেন । এই ছবিগুলির পার্শেল এলে নি দেখে খুব আনন্দ পেলেন, কারণ, কতকগুলি ছবির ছনে কোনো বিদেশীর হাতে লেখা ছিল ‘আকুবুর', মঙ্গ’ ইত্যাদি অদ্ভুত ধরণের নাম । ছবিগুলি দেখেই নি বুঝতে পারলেন যে, ন’খানার মধ্যে সাতখানা ছবি ল বাদশাদের ছবি ও প্রাচীন মুঘল চিত্রকলার উৎকৃষ্ট দর্শন, আর বাকী রাধা ও কৃষ্ণের রাজপুত চিত্র। #রূপে হঠাৎ কয়েকখানা ভাল ছবি থেকেই এই সংগ্রহের ধন হ’য়েছিল। গত প্রায় পচিশ বছর ধ’রে এই সংগ্ৰহ ‰ ጠ ቀ• গারও বেড়ে উঠেছে । আজকালকার নাম-কর। বিশেষজ্ঞদের মতে এই সংগ্রহটি প্রাচীন ভারতীয় চিত্রের একটি বৃহত্তম ও উৎকৃষ্টতম সংগ্রহ ত বটেই, কিন্তু ভারতীয় সকল রকমের চিত্রের কথা বলতে গেলে এর তুলনা পাওয়া ভার। - চিত্র সংগ্রহ করায় শ্ৰীযুত ঘোষের আগ্রহের সীমা নেই— তিনি প্রাচীন চিত্র ও পুথি সংগ্রহের জন্যে দেশের নান। স্থানে সম্ভবপর ও অসম্ভপর বহু জায়গাতেই খোজ করেছেন, আর কত জায়গায় কত রকমের অদ্ভূত ঘটনা ঘটেছে। কোনো জায়গায় তিনি কিছু পাবেন ব’লে আশা ক’রে গিয়েছেন । কিন্তু প্রথম বারে যেয়ে নিরাশ হ’য়েই ফিরে এসেছেন, আবার কোন এক ঝোকের বশে বারে বারে—হয় ত তৃতীয় বা চতুর্থ বারে—সেই একই জায়গায়ই যেয়ে এমনসব জিনিষ পেয়েছেন যাতে এর ধৈর্য্য ও অধ্যবসায়ের পুরস্কার আশাতীত ভাবেই হয়েছে । একথা বললে হয় ত বেশী বলা হবে না যে,যারা ভারতীয় চিত্র সংগ্রহ করেছেন, র্তাদের মধ্যে শ্ৰীযুত ঘোষের মতো আর কারো শিল্পের উৎপত্তিস্থলগুলি-সম্বন্ধে এত বেশী ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা সঞ্চিত হয়নি। বরাবর একটি দিকে লক্ষ্য রেখে ইনি সংগ্রহে হাত দিয়েছেন, সেটি এই—ভারতীয় প্রাচীন শিল্প আলোচনা ও উপভোগ করতে গেলে যে-সব নিদর্শন সব-চেয়ে বেশী কাজে লাগবে সেইগুলিই সংগ্রহ করা— দেখে দেখে তার মনে এদিকে একটি সংস্কার জন্মে