পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্ট্রিয়ার নারীসংঘ মাদাম টুল ভাইগ ভিল্টারলিট্জ (সালসবুর্গ) অখ্রিস্থায় সংঘবদ্ধ নারীপ্রচেষ্টার মূলে অনেকগুলি কারণ আছে ; আর্থিক ও সামাজিক কারণই তাহার মধ্যে অন্যতম। রাজনৈতিক ক্ষেত্রে অষ্ট্রিয়ার পুরুষের নিজেদের অধিকার প্রসারিত করিতে যেমন চেষ্টা করিতেছিল নারীরাও তেমনই তাহীদের ক্ষমতার বৃদ্ধি করিতে উন্মুখ হুইয়াছিল। সোসিয়ালিষ্ট দল নরনারীর সমান অধিকারে বিশ্বাস করে এবং তাহারাই প্রধানত নারীর এই আত্মপ্রসারে সাহায্য করিয়াছে । এই সোসিয়ালিষ্ট, দলের সঙ্গে ক্যাথলিক সংঘের ভাবগত যোগ আছে ; সুতরাং ধৰ্ম্মসমাজ হইতে অষ্ট্রিয়ার নারীসংঘ কোনো বাধা গায় নাই ; বরং বড় বড় নারী প্রতিষ্ঠান ধৰ্ম্মসংঘের তত্ত্বাবধানেই কাজ করিতেছে । মহাযুদ্ধের পর যে-বিপ্লবে বিনা রক্তপাতে অষ্ট্রিয়ার রিপাবলিকের ( সাধারণতন্ত্র ) প্রতিষ্ঠ হইল তাহাতেই নারীর ভোটে ও পালামেণ্টে নিৰ্ব্বাচিত হইবার অধিকার লাভ করিল। পালামেণ্টে এখন অনেকগুলি নারীসদস্য আছেন। নারীরা পুরুষদের মত সকলরকম চাকরী, ব্যবসায় ও শিক্ষালাভ করিতে পারেন । চিকিৎসা, আইনব্যবসায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ও সাধারণ শিক্ষালয়ের অধ্যাপন—সকল ক্ষেত্রেই নারীরা কাজ করিতেছেন । স্বাস্থ্য, দরিত্রসেবা এবং অসহায় শিশু ও মাতাদের সাহায্যার্থ সরকারী যেসকল বিভাগ আছে তাহা প্রায় সমস্তই নারীদের দ্বাং পরিচালিত । কুড়ানো ছেলেদের আশ্রম পরিচালন এবং সমিতির সাহায্যে আত্মীয় স্বজনত্যক্ত অসহায় বালকবালিকাদের লালন-পালনের ভারও নারীদের উপর ন্যস্ত। কিন্তু কতৰগুলি বিষয়ে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ভিতর মতভেদ থাকতে এই প্রতিষ্ঠানগুলি যথাযথ উন্নতি লাভ করিতে পারিতেছে না। দৃষ্টান্তস্বরূপ বলা যায় যে, ক্যাথলিক সম্প্রদায় বিবাহ-বন্ধনচ্ছেদে বিশ্বাস করেন না ; অথচ . বর্তমানে সমাজের এমন অবস্থা হইয়াছে যে, অনেক স্থলেই মাতা ও সস্তানের মঙ্গলের জন্য ইহার প্রয়োজন ঘটিয়া থাকে । শাস্তিবাদীদের ( Pacifist ) প্রতি সাধারণের মন এখনও বিরুদ্ধভাবাপন্ন। গবর্ণমেণ্ট অবশ্য দায়ে পড়িয়া শান্তিবাদী ; কারণ সৈন্যদল বলিয়া এখানে বিশেয কিছু নাই ; তাহ ছাড়া আমেরিকার “রূক্লকস্ ক্লানের” মত উৎকট ন্যাশন্যালিষ্ট দল অষ্টিয়ায় বিশেষ সহানুভূতি পায় না । সুতরাং শান্থিবাদীদের প্রভাব অচিরে বিস্তারলাভ করিবে অtশ করা গিয়াছিল ; কিন্তু ক{ৰ্য্যত তাহ ঘটে নাই । শান্তি ও স্বাধীনতার প্রসারের জন্য যে wiggifts atářko (The International League of Women for Peace and Liberty) #63 offs করিতেছে তাহার প্রভাব অষ্ট্রিয়ার সইরে সইরে কতকটা অতুভূত হইলেও মফস্বলে প্রবেশ করিতে পারে নাই । যে-সকল নারী গত দশ বৎসর ধরিয়া নারীপ্রচেষ্টার অধিনেত্রীরূপে কাজ করিতেছেন তাহদের মধ্যে অষ্ট্রিয়ার রিপাবলিকের প্রেসিডেন্টের অশীতিবর্ষীয়া মাত মাদাম মারিয়ান হাইনি অন্যতম ; মাদাম ফুর্থ নারীদের ভোটের জন্য বহু পরিশ্রম করিয়াছেন ; মাদাম সোয়াজবিশ্ববিদ্যালয়ে নারীর প্রতিষ্ঠা বিষয়ে কাৰ্য্য করিয়াছেন ; কুমারী ফেডবৃন কুলি-মজুরদের আনন্দ বিতরণ ও শিক্ষাদান চেষ্টায় এবং দুঃখী ও দুঃস্থ শিশুদের মানসিক উন্নতি বিধানে নিযুক্ত আছেন। অষ্টিয়ার নর-নারীর মধ্যে রাষ্ট্রীয় সাম্য প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। অধিকাংশ নারীই ঘরের রাহিরে কোনো