পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ե Փ8 প্রবাসী—ভাদ্র, ১৩৩৩ { ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড হইয়াছে। দাশগুপ্ত-মহাশয়,ভারতীয় মিষ্টিসিজমের ক্রমোন্নতি সম্বন্ধে পর পর ছয়টি বক্তৃত। দিবেন, মনস্থ করিয়াছেন। এই বক্তৃতা-সমূহে তিনি ভারতের নৈতিক ও ধৰ্ম্মগত জীবনের সকল দিকের প্রাধান্য প্রচার করিবেন। ইহ{ লক্ষ্য করিবার বিষয় যে, এই ংগ্রেসের কাৰ্য্যতালিকায় ইহুদী ও আরবীয় দর্শনের স্থান আছে, ভারতীয় দর্শনের স্থান নাই । দাশগুপ্ত-মহাশয়ের প্রধান কাজের অন্যতম হুইবে, এক্ট কংগ্রেসকে ভারতীয় দর্শন গ্ৰগণ করানো এবং কংগ্রেসের আলোচনfয় ভারতীয় দর্শনকে যোগ্য স্থান দেওয়া। দাশগুপ্ত-মহাশয়কে শিকাগোতে ৪ ভারতীয় দর্শন সম্বন্ধে পর পর কয়েকটি বক্তৃতা প্রদানের জন্য নিমন্ত্রণ করা হইয়াছে । ইয়র্কের ইন্টারন্যাশন্যাল ইনসটিটিউটু তাহাকে দিয়াছে যে, আমেরিকার অনেক প্রধান প্রধান বিদ্যালয়, প্রাচ্যের দূত হিসাবে তাহার নিকট প্রাচ্যের বাণী শুনিতে ইচ্ছা করে । ভগবতীয় সভ্যতা ও ধৰ্ম্মের ম: ব্ৰ জগতের সমক্ষে প্রতিষ্ঠিত করাই দাশগুপ-মহাশয়ের উদেখা ; কারণ, এইখানেই ভারত সকল দেশ অপেক্ষা উচ্চে । দাশগুপ-মহাশযের আশ এক্ট, ভারতের মহান ঋষিগণ-ব্যাপাত উদার ও গভীর বাণী যদি প্রতীচ্য দেশ গ্রহণ কবে তা হা হইলে জগতের সমস্ত জাতিকে উন্নয় ৪ মিলিচ কবিলার পক্ষে ভাগষ্ট হইবে যথার্থ শক্তি। পশ্চিমের নিকট ভারতের বাণী গুচলেছে— বিশ্বজনীন শাস্তি, মৈত্রী ও কলr"ণ ; ই শান্তি, মৈত্রী ও কল্যাণ ভারতীয় দর্শন ও ধৰ্ম্মসভ্যতার আদশ অল্প সরণেই লাভ করা যাইবে । সংবাদ বিশ্বহক্টতে চিন্তা, ইউরোপে রবীন্দ্রনাথ বিগত ১৫ই মে তারিখে রবীন্দ্রনাথ, তাহার পুত্র রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর, পুত্রবধু, নন্দিনী, গৌরগোপাল ঘোষ ও ত্রিপুরার রাজকুমার ব্রজেন্দ্রকিশোর দেববৰ্ম্মণের সমভিব্যহারে বোম্বাই হইতে ইউরোপে যাত্র করেন । ৩০শে মে তারিখে তিনি নেপলস-এ পৌছিয়াছেন । জুন মাসের ১লা রোমে পৌঁছিয়া কবি মুসোলিনীর সহিত সাক্ষাৎ করেন । মুসোঙ্গিনী তাঙ্গকে সদর অভ্যর্থন করেন। অধ্যাপক ফমিকি ও ডক্টর টুচাঁকে প্রচুর পুস্তকোপহার সহিত শাস্তিনিকেতনে প্রেরণ করিয়া মুসোলিনী ভারত ও ইতালীর মধ্যে সভ্যতার আদানপ্রদানের পথ প্রশস্ত করিয়া দেন বলিয়। মুসোলিনীকে কবি ধন্থাগাদ প্রদান করেন । ইতালীয় সংবাদপত্রসমূহ কবির ইতালী পরিদর্শন সম্বন্ধে সোল্লাস প্রতিবেদন প্রকাশ করে । ফ্যাসিষ্ট, আন্দোলনের প্রধানতম মুখপত্র টিবিউন কবির সহিত নিউ- “ সাক্ষাতের এক দীর্ঘ বিবরণ ও তাহার হস্তলিথিত বাণী ( রোম, ২রা জুন ) প্রকাশ করে। সে-বাণী এই— “ইতালীর মৃত্যুহীন আত্মা অগ্নিস্নান হইতে চিরোজ্জল আলোকে উদ্ভাসিত হইয়া উখিত হইবে, এই স্বপ্ন আমি দেখিতেছি ।” দুই-চারিখানি সংবাদপত্র, রবীন্দ্রনাথ ও র্তাহার প্রচারিত ভারতীয় জীবনের দার্শনিকত্ব সম্বন্ধে একটু zif EzrH-Efq coliqi Ft H I La Voce Republican ( ৪ঠা জুন ) পত্রিকা লেখে—“ইউরোপীয় সভ্যতা সম্পূর্ণরূপে গতিশীল আর ভারতীয় সভ্যতা সম্পূর্ণরূপে -স্থিতিশীল ও দ্বৈতবাদমূলক। ঠাকুর-মহাশয়ের এই দুই সভ্যতার মিলনের যে-ধারণ তাহ। সৰ্ব্বৈব আকাশ-কুসুম মাত্র ।” ইতিহাসের প্রাচীন অধ্যাপক সেনেটর কিয়াপেলি স্বীকার করেন না ধে, ইউরোপ প্রাচ্যের দর্শন গ্রহণ করিবে — “ঠাকুর-মহাশয় মুসোলিনীর সহিত সাক্ষাৎ করিয়াছেন ! কী ভীযণ বৈপরীত্য ! ধ্যানগত ও কৰ্ম্মময়—দুইটি জীবন মূৰ্ত্ত দেখিতে চাহিলে ঠাকুর ও মুসোলিনী অপেক্ষ দুইটি বিভিন্ন সভ্যতার যোগ্যতর প্রতিনিধি মিলিবে না । যে-দেশ জগতে তাহার পথ কাটিয়া লইবে, যে-দেশকে দ্বিধাহীন প্রচণ্ড কৰ্ম্মে আত্মনিয়োগ করিতে হইবে এবং সেই হেতু, কল্পনাজীবীর ভাবজাত আলস্য ও ধ্যানগত কৰ্ম্মহীনতা পরিত্যাগ করিয়া ঘে-দেশকে চরিত্র শক্তি ও অদম্য ইচ্ছাশক্তি লাভ করতে হইবে সেই দেশ-বাসী আমরা আত্মোৎসর্গ ও ত্যাগের বাণী আওড়াইতে পাবি না।" কবি ও র্তাহার সঙ্গীগণকে রোমের ফোরাম, কলোসিয়ম, কারাকালা ব্যথস, প্রভৃতি ঐতিহাসিক স্থান-সমূহ দেখান ट्ध्र । ৭ই জুন তারিখে রোমে কবিকে রোমবাসীর পক্ষ হইতে সম্বৰ্দ্ধনা করা হয় । ইতালীর ইনটেলেকচুয়্যাল ইউনিয়নের তত্ত্বাবধানে ৮ই জুন তারিখে কবি “শিল্পকলার অর্থ" (Meaning of Art) সম্বন্ধে একটি বক্তৃত করেন । সেনেটর লুংসাত্তি কর্তৃক পরিচালিত শান্তি-উদ্যান (Gardens of Peace) as to fosso of "fairs: করেন। ইহা কবির শান্তিনিকেতন বিদ্যালয়ের আদর্শে পরিচালিত ; ইহা দেথিয় কবি অত্যন্ত প্রীত হন। ১০ই জুন তারিখে রোম বিশ্ববিদ্যালয় কবিকে বিপুল অভ্যর্থনা করে। ইহাতে রেক্টর অধ্যাপক ডেল ভেকিও ও অধ্যাপক ফরমিকি ভারতবর্ষের দূত কবিক সাদর বক্তৃতায় অভিনন্দিত করেন। ডক্টর ভেরা চেতা নামে সংস্কৃত পরীক্ষায় উপাধিপ্রাপ্ত এক ছাত্রী কবিকে মাল্য