পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] A SASAMeMA AeMMMAeAAA AAAA SAAAAAMAAA AAAA AAAA AAAA AAAA MM মা বলিলেন, “অনেক মেয়ে পরে, অনেকে পরে না। তুই যদি পৰ্বতে চাস ত তোর বাবাকে জিজ্ঞেস ক’রে দেখ ব তোর পরতে আছে কি না।” গৌরী আজ এইরকম আধ-ঢাকা উত্তরে সস্তুষ্ট হইতে পারিতেছিল না । সে বলিল, “কাদের পরতে আছে আর কাদের পরতে নেই, তুমি কি জান না ?” মা হতাশ হইয়া পড়িলেন। তিনি কি বলিবেন ? এ মেয়ের আজ হইয়াছে কি ? কে ইহার মাথায় অকস্মাৎ এসব প্রশ্ন ঢুকাইয়া দিল ? তিনি তাহার শেষ স্বত্রটি অবলম্বন করিয়া আবার বলিলেন, “তোর বাবার কাছে ভlল ক’রে জেনে বলব।” গৌরী অসহিষ্ণু হইয়। বলিল, “ঐ মেয়েটি ত বললে ধাদের বিয়ে হয়েছে তাদের সিদূর পরতে হয় ।” মা না পারিয়া বলিলেন, “হ্যা, তা বিয়ে হ’লে অনেকে পরে বটে ।” গৌরী বলিল, “আমার ত বিয়ে হয়েছে।” ম৷ বলিলেন, “কে বললে তোর বিয়ে হয়েছে ?” গৌরী বলিল, “কে আবার বলবে? আমার মনে আছে । সেই যে কত বাজনা বাজল, বর এল, কত রাত পৰ্য্যস্ত গোলমাল হ’ল । তারপর তোমার কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে আমাকে শ্বশুরবাড়ী নিয়ে চ'লে গেল । সেখানে তোমরা কেউ যাওনি । আমি কতদিন ধ’রে কান্নাকাটি করলাম, তারপর আবার আমায় পাঠিয়ে দিলে তোমার কাছে יין স্বামীকে না জিজ্ঞাসা করিয়া গৌরীকে পরিষ্কার কোনো উত্তর দেওয়া উচিত কি না তরঙ্গিণী বুঝিতে পারিতেছিলেন না। কিন্তু কিছু ত একটা বলিতে হইবে । তিনি বলিলেন, “হ্যা, সে ছেলেবেলা তোকে নিয়ে আমরা একটা ছেলেখেলা করেছিলুম বটে। তার জন্যে তোকে এখন অত ভাবতে হবে না। তারা তোকে আমার কাছ থেকে আর কেড়ে নিয়ে যাবে না।” তরঙ্গিণী কন্যাকে বিচ্ছেদভয় হইতে মুক্তি দিয়া এসব প্রশ্ন থামাইয়া দিবার চেষ্টায় ছিলেন, কিন্তু গৌরী ইহার ভিতরেও নূতন একটা প্রশ্ন খাড়া করিয়া তুলিল। সে বলিল, “বিয়ে হ’লে সবাই ত শ্বশুরবাড়ী যায় ; ময়নার ত هي مسعده لا ج SAASA SAAAAS AAAA S AAAAA AAAA MAAA SS S SAAAAAA AAAA SAAAAA AM MAA AAAAS জীবনদোলা AA SAMAAA AAAA AAAA SAAAAA AAAA SAA AA ASASASA AAA AAAA SAAAA SAS A SAS AAA AAAAS AAAA S AAAAA AA SSS SSAAAS bጫ¢ عبید یہ** --مہ ۔ ، بی ۔بہ- • - -- سی۔ --- یہ جم۔ ام- یہ "عیا۔ مھ"مد কত পরে বিয়ে হয়েছে, সে ত শ্বশুরবাড়ীতে গিয়ে রয়েছে ; তা হ’লে আমাকে কেন নিয়ে যাবে না ?” তরঙ্গিণী দেখিলেন তিনি যতই হেঁয়ালি করিয়া কথার উত্তর দিন না কেন, “বিবাহ হয় নাই’ পরিষ্কার না বলিলে গৌরী বিবাহট মানিয়াই লইবে । অথচ বিবাহ হয়নি একথা পরিষ্কার বেলিতেও তাহার ভয় হইতেছিল, কি জানি যদি তাহাতে আবার নূতন-কিছু গোলমাল বাধে । তিনি বিবাহ-বিষয়ক প্রশ্নের আর কোনও উত্তর ন৷ দিয়া বলিলেন, “আমরা তোমাকে নিয়ে যেতে বারণ করেছি তাই নিয়ে যাবে না । ছেলেমামুষ তোমার তা নিয়ে আত মাথা ঘামাবার কি দরকার ? বড় হও, তার পর সব বুঝবে। যাও মা লক্ষ্মী, ওসব কথা এখন ভাব তে. হবে না, একটু ছাদে বেড়িয়ে এসগে। নদীর ধারে কেমন জ্যোৎস্ন' উঠেছে, ছাদ থেকে ভারি স্বন্দর দেখাবে ।” গৌরী অগত্যা উঠিয়া চলিয়া গেল। যমুনার জলে চাদের আলো পড়িয়া হাজার চাদের মালা ঝিকমিক্‌ করিতেছিল। .মিশন-কলেজের ছেলেরা ও দূরের কোনো কোনো সৌখীন বাৰু ডিঙ্গি নৌকা ভাড়া করিয়া নদীর জলে জ্যোৎস্নাবিহার করিতে বাহির হইয়াছিলেন । সহস্ৰ চাদের মালায় জড়ানো জলের ঢেউয়ের উপর নৌকা গুলি কালো মীনার কাজের মতন মাঝে মাঝে ভাসিয়া উঠিতেছিল। ছেলেদের বঁাশী ও গানের শব্দ নদীর নিস্তব্ধ দুই কুলে বহুদূর পর্য্যস্ত ছড়াইয়া পড়িতেছিল। 'গৌরীর কিন্তু এসব দিকে আজ মন ছিল না। তাহার ভাবনা আরো দ্বিগুণ বাড়িয়া গিয়াছিল। মা তাহার একটা প্রশ্নেরও পরিষ্কার উত্তর দিলেন না কেন ? তাহার জীবনে কি-এমন রহস্য আছে যাহা তিনি তাহার নিকট হইতে এমন করি। লুকাইয়া রাখতে চাহেন ? কেনই বা চাহেন ? এসব কথা যতই সে ভুলিতে চেষ্টা করিতেছিল, ততই নানা প্রশ্নে তাহার মস্তিষ্ক আকুল হইয়া উঠিতেছিল। তাহার মনে পড়িয়া গেল, এই তীর্থভ্রমণের আগে এমনি আরো একদিন তাহাকে নানা হেঁয়ালির মধ্যে পড়িতে হইয়াছিল । সকলে তাহাকে ময়নার নিকট হইতে