পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা } নিজের ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে নিজে সজাগ হয়ে ভাবতে শেখে ” তরঙ্গিণী বলিগেন, “ঐ কচি মেয়েটাকে তুমি এরি মধ্যে কি লড়াই করাতে চাও? ওর কি সেই বয়স হয়েছে ?” - যে তরঙ্গিণী একদিন ঘর ছাড়িয়া বাহির হইবার শোকে সকল আঘাত ও দ্বন্দ্বের ভিতরই শিশু গৌরীকে রাখিয়া দিতে তর্ক তুলিয়াছিলেন, আজ উদ্যত আঘাত দেখিয় তাহারই মাতৃহৃদয় কিশোরী কন্যার বেদনার ভয়ে বারবার পিছাইয়া যাইতেছিল। তিনি আবার বলিলেন, “হঁ্যাগ, আর ছ'মাস ছুটি নিয়ে চল না আর-কোনে দিকে বেড়াতে যাই । মেয়েটাকে এদিকে সেদিকে ঘুরিয়ে ভুলিয়ে-ভালিয়ে কি আর রাখা যাবে না ? মিথ্যে বললে যদি কিছু না বাধে এখন না হয় ব’লে দেব "তোর বিয়ে হয়নি।’ আহা বড় ছোট আছে। ঘর ছেড়ে যখন ওর জন্তেই বেরিয়েছি, তখন যায় বাহান্ন তীয় তিপান্ন। আর একটু ডাগর করে নিয়ে চল, দেশে ফিরলে আপনি সব বুঝবে, আপনি সামলে চলবে, আমাদের আর কিছু বলতে হবে না।” হরিকেশব বলিলেন, “তার বিয়ের কথা সে নিজেই যখন ভোলেনি, তখন তুমি তাকে মিথ্যা করে বোঝাবে কি ক’রে ? বিশেষত তার এখন এতটা বয়স হয়েছে যে, বাড়ী গিয়েই সে আপনার প্রকৃত অবস্থাটা বুঝতে পারবে। তখন যদি নিজের বাপ-মাকে সে মিথ্যাবাদী মনে করে, তাহ’লে কি তাদের প্রতি তার শ্রদ্ধা থাকৃবে, না, তাদের কথা শুনে সে চলতে পারবে ?” - তরঙ্গিণী বলিলেন, “বাপ মা যে প্রাণের দায়ে মিথ্যে বলেছে এইটুকুই যদি মেয়ে না বুঝল, তবে মেয়ে আমাদের এতদিনের ভালবাসার বুঝল কি ?” হরিকেশ্য হাসিয়া বলিলেন, “হ্য, সে কথা তুমি ঠিক বলেছ বটে ; কিন্তু লোকের কাছে আচমকা ঘা খাওয়ার cथरक, आंख शृथन cन निरण थान्ड ब्लॉईंटरु उर्थन আমাদের স্নেহম্পর্শের ভেতর দিয়ে সত্যের পরিচয় পাওয়াই কি ভাল নয় ?” -متنگه জীবনদোলা Myፃፃ তরঙ্গিণী অগত্য স্বামীর কথাই মানিয়া লইয়া বলিলেন, “যাই দেখিগে, মেয়েট একলা একলা ঘুরে আবার কি সব মাথ-মুণ্ডু ভাবনার ঘোট পাকাচ্ছে। তোমার কাছেই এনে দি, যদি কিছু বলে ত বুঝিয়ে দিও।” জ্যোৎস্নায় ছাদ ভাসিয়! যাইতেছিল। ছাদের উপর একছড়া যুঁই ফুলের গড়ে’র মতন গৌরীর নধর পেলব কিশোর গেীর তন্তু ঘুমে এলাইয়া পড়িয়াছিল। সারাদিনের চিন্তীয় ক্লিষ্ট তাহার মুখখানি চাদের আলোয় আরো পাণ্ডুর দেখাইতেছিল। তাহারই উপর ঠোঁটের কোণে একটুখানি মান হাসি ফুটিয়া উঠিয়াছে, যেন সারাদিনের ভাবনার একটা কিনারা পাইয়। সে নিশ্চিন্ত হইয়াছে । বাস্তবে সে নিজের জীবনের রহস্যটা ঠিকমত উদঘাটন করিতে পারিতেছিল না ; কিন্তু স্বপ্ন কোনো চাবির বাধী মানে না, সে সৰ্ব্বত্র আপনার গতি স্বচ্ছন্দ করিয়া লয় ; গৌরীকে সে অনায়াসেই সকল সমস্যার মীমাংসা করিয়া দিয়াছে । * গেীরীর শ্রাস্ত নিশ্চিন্ত মুখের দিকে তাকাইয়া তরঙ্গিণীর তাহাকে ডাকিয়া তুলিতে ইচ্ছা করিতেছিল না ; এতটুকু মেয়ে সারাদিন ভাবনায় ভাঙিয়া পড়িয়াছিল; ৷ এতক্ষণে ঘুমাইয়া মুক্তি পাইয়াছে, উহাকে আজ আর ঐ সকলের ভিতর টানিয়া লইয়া গিয়া কাজ নাই। মা তাহাকে ভূমিশয্যা হইতে ডাকিয়া তুলিলেন, "গৌরী, নীচে ভৰি চল। ভিজে ছদটায় পড়ে আছিস, হস নেই, অস্থখ করবে যে ” একেবারে কচি মেয়ের মত ঠোঁট ফুলাইয় চোখ কচলাইয়া গৌরী উঠিয়া বসিল । ঘুমের ঘোরে তাহার সমস্ত ভাবনা-চিন্তা সে ভুলিয়া গিয়াছিল। ভাল করিয়া চোখ না মেলিয়াই মা’র হাত ধরিয়৷ সে আধ-ঘুমস্ত অবস্থায় নীচে নামিয়া ভিতরের বারান্দায় আপনার ছোট থাটখানিতে শুইয়া ঘুমাইয় পড়িল । 崇 崇 粥 崇 ঘুম হইতে উঠিয়া গৌরী সবে খাটে পা জুলাইয়া বসিয়া চোখে-জড়ানো তন্দ্রার শেষ রেশটুকু উপভোগ করিতেছে ; তখনও গত সন্ধ্যার ভাবনাগুলা তাহাকে ঘিরিয়া ধরে নাই ; স্বপ্ন তাহার মনে কি-একটা রঙীন