পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৪৪

৬ষ্ঠ সংখ্যা ) । জীবনদোলা । Aషి গৌরী অভিমানক্ষুব্ধ স্বরে বলিল, “তবে কেন বাবা, যে কি হইয়াছে পরিষ্কার তাহা না বুঝিলেও, এইসকল কেন...” গৌরী মুখে আর কথা যোগাইতেছিল না। প্রশ্নে পিতার হৃদয়ে সে যে একটা নিষ্ঠুর আঘাত হরিকেশব'ঝিয়া বলিলেন, “নাই বা পৰ্বলে ম৷ তুমি করিতেছে তাহার মুখের চেহারাই গৌরীকে তাহ বলিয়া লোহ সিঁদুর। তাতে কি তোমার কিছু কষ্ট হয় ? আর দিতেছিল। যা গয়না কাপড় তুমি পরতে চাইবে, আমি সব আনিয়ে সে বালিকা হইলেও পিতার প্রতি তাহার মায়ের মত দেব। ওগুলো তোমার পরুবার দরকার নেই।” কেমন একটা স্নেহের ভাব ছিল । তাহাকে এতটুকু গৌরী বলিল, "না বাবা, তুমি জান না, লোকে যে ব্যথা দিয়াছে মনে করিতে তাহার চক্ষে জল আসিত। আমাকে ঠাট্ট করে। বিয়ে হ’লে পবৃতে হয় ।” সে সজল চক্ষে হরিকেশবের মুখের দিকে চাহিয়া বলিল, হরিকেশবের মুখে শেষ কথাটা বাধিতেছিল, তিনি কি “বাবা, আমি আর তোমায় বিরক্ত করব না, ওকথা করিয়া বলিবেন যে, সেই তরুণ শৈশবের দেখা অপরিচিত- আর জানতে চাইব না। চল বাবা, আমরা বেড়িয়ে প্রায় একটি বালকের তিরোধানে তাহার জীবনমুকুল সমাজের আসি ।" - চক্ষে চির-অভিশপ্ত হইয়া গিয়াছে ? আপন জন ও প্রিয়- ছোট মেয়েটির সাম্ভনা দিবার ভঙ্গীতে হরিকেশবের জনের মৃত্যুতে মানুষ গভীর বেদনা পায়, জীবনের সর্বমুখ সমস্ত হৃদয় যেন ব্যথার স্বরে র্কাপিয়া উঠিল। কচি মেয়ে · · -স্বেচ্ছায় বিসর্জন করে, তারপর আবার ধীরে ধীরে কেমন অনায়াসে নিজের ভাব । ঠেলিয়া ফেলিয়া পিতার শোকের অন্ধকার ভেদ করিয়া জীবন-যাত্রাপথে হাসিয়াই ব্যথিত অস্তরের সেবায় ঝুকিয়া পড়িয়াছে, যেন তিনিই ধোগ দেয় ; কিন্তু অচেনা মানুষের অজানা মৃত্যুতে শিশু আর সে-ই তাহার জননী। সে-ই যে তাহার বেদনার শিশুকেও যে চির-সন্ন্যাসের বোঝা বহিয়া অপমান ও মূল একথা তাহাকে বলিতে তাই তাহার সঙ্কোচ হইতেলাঞ্ছনায় আজীবন কৃত্রিম শোকের অভিনয় করিয়া যাইতে ছিল । তবু প্রাণপণ শক্তিতে সমস্ত সঙ্কোচ ও বেদনার হয়, তাহাকেই ধৰ্ম্ম বলিয়। মানিতে হয়, সে কথা তাহার বাধা ঠেলিয়। ফেলিয়া তিনি বলিলেন, “না আমার ম. এই আদরিণী অভিমানিনী বালিকাকন্যাকে তিনি মণি, তুমি ত আমায় বিরক্ত করনি। তোমার কথা ? কি করিয়া বুঝাইবেন! সে-কথা যে র্তাহার মন বুঝে তোমার জানতে চাওয়া ত স্বাভাবিকই। আমি যদি তা ' না, স্বীকার করে না। কিন্তু তাহাকে যে আজ শেষ তোমার কাছ থেকে লুকিয়ে রাখি, তাহ’লে সেটা আমারই ' कथाप्ने बनिएउ३ इंहेब्द। অন্যায় হবে । তোমার যা ইচ্ছে হয় আমাকে জিজ্ঞেস । হরিকেশব বলিলেন, “ষ্ঠ্য মা, বিয়ে হ’লে যে পৰ্বতে কর, আমি তার যেমন জানি জবাব দেবই । সত্যকে হয় তা আমি জানি ; কিন্তু...কিন্তু যাদের বিয়েব সব ঢাকা দিয়ে রেখে কোনো লাভ নেই।” শেষ হ’য়ে গেছে, তার ওসব পরে না যে, মা লক্ষ্মী !” গেীরীর বিস্ময় ক্রমশই বাড়িয়া চলিতেছিল। তাহার কথাটা বলিয়াই হরিকেশবের মুখ পাংশুবর্ণ হইয়া গেল। জীবনে কি যে একটা বিরাট গণ্ডগোল পাকাইয়া মা বাবা তিনি গৌরীকে দুই হাতে জড়াইয়া বুকের ভিতর চাপিয়া সবাইকে এমন রহস্যময় করিয়া তুলিয়াছে ভাবিয়া সে ধরিলেন। গৌরী নিৰ্ব্বাকু বিস্ময়ে কিছুক্ষণ র্তাহার মুখের কুল-কিনারা পাইতেছিল না। সে সে ঠিক আর BBB BBBB BBBS SBB BB BB BBBS BB BBBB BBB BB BBBB BBB BB BBB BB কি ? বিবাহ ত মানুষের চিরকাল ধরিয়া হয় না ; দুই না। কিন্তু কি অভিশাপ অথবা রহস্য যে তাহাকে BB BDD BB BBS BBS BBS SSL SSBBBS BBB BBB BB BBB BBB BBB BDD HBB অর্থ যে অন্ত, গৌরী তাহ বুঝিল । পিতার ব্যথিত বিষণ্ণ ছিল না। সে ভয়ে ভয়ে বলিল, “বাবা, যিয়ে শেষ হ’য়ে মুখ দেখিয়া অর্থটা পরিষ্কার করিয়া জিজ্ঞাসা করিতে যায় কি করে আমি বুঝতে পারি না। সে কথা বলতে গৌরীর কেমন ভয়-ভয় করিতেছিল। তাহার নিজের কি তোমার বষ্ট হবে ?”