পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা] श्रृंद्रीब्र शठन b*>。 একটা ঘন কালে মেঘ সকালের আকাশের সমস্ত আলো ঢাকিয়া ফেলিয়া আকাশের শেষ প্রাস্ত পৰ্য্যস্ত তাহার সহস্ৰ বাহ ছড়াইয়া ঝুলিয়া পড়িয়াছিল। বৃষ্টি আসিতে আর দেরী নাই। হরিকেশব আপনাকে সাম্‌লাইয়া গৌরীর হাত ধরিয়া বলিলেন, "বৃষ্টি আসছে। চল মা,ঘরের ভেতর যাই।” * গৌরী পুতুলের মত পিছন পিছন উঠিয়া দাড়াইল ; তাহার পর বাবার গা ঘোঁসিয়া সরিয়া আসিয়া বলিল, “হ্যা বাবা, আমাকে আর কি-কি করতে নেই ব’লে দেবে ? সে-বাড়ীতে আর ত আমায় কেউ নিয়ে যাবে না। আমি তোমার কাছেই থাকুব, তুমি আমাকে সব শিখিয়ে দিও ; আমি ঠিক তোমার কথা শুনে চলব।" হরিকেশব কন্যার মুথ চুম্বন করিয়া বলিলেন, “তোমার যা ইচ্ছা করবে সবই করতে আছে মা । কেউ তোমায়ু মান করবে না। তোমার যদি বিয়ে না হ’ত, তাহলে তুমি যেমন থাকতে ঠিক তেমনি থাকবে। আমরা তোমার ছোটবয়সে ভুল ক’রে যা করেছি, তার দায় ত তোমার নয় ; তুমি বড় হ’য়ে ভাল ক’রে লেখাপড় শিখে যা ভাল মনে করবে ঠিক তাই কোরো। তাহলেই আমার সকল দুঃখ দূর হয়ে যাবে। আমি জানি তুমি তখন আপনিই সব করতে পারবে। যতদিন না বুঝবে ততদিন তোমার কিছু ভাববার দরকার নেই। তুমি যেমন আছ তেমনি থাক । ছেলে মানুষের কাছে যার কোনো অর্থ নেই, তার বোঝা ত তার বইবার কথা নয় ।” গৌরী সকল কথা বুঝিল না ; কিন্তু বুঝিল যে পরের মুখ চাহিয়া কি করিতে আছে কি করিতে নাই ভাবিলে তাহার চলিবে না, নিজে তাহাকে পথ খুজিতে হইবে। সে পথ খোজায় পিতা যে তাহার সহায় হইবেন, এবং বাহিরের আক্রমণ হইতে তাহাকে রক্ষা করিবেন এটাও তাহার অন্তরাত্মা তাহাকে বলিয়া দিল । ( ক্রমশঃ } শরীর-গঠন শ্ৰী হেমেন্দ্রনাথ গড়গড়ী “নায়মাত্মা বলহীনেন লভ্যঃ” শ্রীতির এই সত্য কথাটা কি বাঙ্গালী পত্যিই ভুলে গিয়েছিল ? আমার ত তা' বোধ হয় না। শুধু আজ ব’লে নয়, অনেক দিন থেকেই বাঙ্গালীর মনে একটা ঝড় উঠেছে। দুটো ঠিক বিপরীত জিনিষ আমাদের মনকে দখল করবার জন্তে প্রাণপণ চেষ্টা করে আসছে। তাদের এই প্রাণপাত চেষ্ট অধিকাংশ বাঙ্গালী যুবাপুরুষের জীবনে বেশ পরিষ্কার ভাবে ফুটে উঠে আপনার অস্তিত্ব জানিয়ে আসছে। এদুটোর একটা হচ্ছে “বল” আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে “বাবুস্থানী” । কিছুকাল আগেও “বাবুয়ানীটাই” যেন একটু বেশ করে আমাদের সমাজের উপর প্রভাব বিস্তার করেছিল। বঙ্গীয় যুবকদের মধ্যে বেশীরভাগই “মেয়েলিপনার” বড়ই পক্ষপাতী হ’য়ে উঠেছিলেন । র্তাদের চুলের টেরী থেকে পাদ্ধের লপেটা পৰ্য্যন্ত তাদের কোচনি-ধুতির ও গিলেকর চুড়িদার পাঞ্জাবীর উদাস ভাব, তাদের একটু নাকিম্বরে চিবিয়ে চিবিয়ে কথা বলার ঢং এবং সৰ্ব্বোপরি তাদের একটু কুঁজো হ’য়ে চলবার চেষ্ট, যেন বাঙ্গালী ছাত্র-জীবনের একটা অঙ্গ হ’রে দাড়িয়েছিল। প্রবাসেই বলুন, আর আমাদের বাংলাদেশেই বলুন, পথে, ঘাটে, থিয়েটারে, সনেমায়, এই ধরণের বাঙ্গালী দেখতে আমরা এতই অভ্যস্ত হ’য়ে গিয়েছিলাম, যে যদি কদাচিৎ এটা লম্বা-চৌড় লোক