পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রবাসা—আশ্বিন, ১৩৩৩ [ ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড প্তম্বেদন-রাউন (বয়স ১৭ বছর) । সাতার জিনিষটা শরীর-চর্চার একটা বিশেষ দিক। যে-জল সাঁতারে-অপটুর পক্ষে মারাত্মক, সাঁতারু অবলীলাক্রমে সে-জলের উপর রাজত্ব করে। আর কিছুর জন্তে না হোক, শুধু বিপদ থেকে উদ্ধার পাবার জন্তেও সকলের সাতার শেখ। দরকার । তা ছাড়া এতে আনন্দও আছে, স্বাস্থ্যও ভাল হয়। সাতারে শরীর যে কী কমনীয় ও সুন্দর হয়— মিস এডাবুলের ছবি থেকেই ত৷ বোঝা যেতে পারে । ডুবমাতার, জলঝাপ এবং দ্রুত সাতার কাটা শিখতে হ’লে ধৈৰ্য্য ধরে বহুদিন সাধনা করতে হয়। তবে পুরস্কার—শরীরের উৎকর্ষ, আর একটি কঠিন বিদ্যায় দখল । বিদ্যাটিতে ফুৰ্ত্তি বড় কম নেই। অনেকে কিন্তু সবল পেশীর চেয়ে সবল স্বায়ু, শরীরের সমতা ও দেহের ওপর অধিকার-বেশি পছন্দ করে।— যেমন, যারা দড়ির উপর হাট ও সাইকেলের কসরৎ p দেথায় । - حو এই থেকেই কেউ যেন না মনে করেন যে, পাশ্চাত্য জগতে খেলাধুলা ও শারীরিক উৎকর্ষ সম্বন্ধে যা-কিছু উদ্ভাবন করবার-সব করা শেষ হ’য়ে গেছে। ভারতবর্ষেও এমন অনেক খেলা আছে যা মোটেই ব্যয়সাধ্য নয়। তবে সেগুলি ক্রমশ লোপ পাচ্ছে। তাদের পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রয়োজন । আমাদের হাডুডুডু ও ডাণ্ডাগুলি খেলার কথা ত’ সকলেই জানেন । ভারতবর্ষে কুস্তির চরম হ’য়ে গেছে । যুযুৎস্থর জন্ম জাপানে। কোরিয়াবাসীরা কি রকম নতুন ধরণের টাগ-অফ-ওয়ার করে তার ছবি দেওয়া গেল। সৌষ্ঠব থাক বা না থাকু খেলাটায় যে নূতনত্ব আছে এটা স্বীকার করতেই হবে । সব শেষে, মানুষ যে-সব খেলাতে পশুকে সাথী করেছে সেইসব খেলার কথা ধরা যাক্ । ‘পলে খেলায় মানুষ ও ঘোড়ার মধ্যে কি আশ্চৰ্য্য মিলনই না সাধিত হয়েছে! ঘোড়দৌড়ে ও ঘোড়ার পিঠে কসরতেও পরস্পরের সেই সহায়তা আমাদের মুগ্ধ করে। খেলাধূলা ও ব্যায়ামে নিছক শরীরের উন্নতি ছাড়া একটি সামাজিক উদ্দেশ্য ও সাধিত হয় । এমন লক্ষ্য লক্ষ্য লোক আছেন যারা মামুষের স্বথে জীবন যাপন করার জন্মগত অধিকারে বিশ্বাস করেন । আমরা যে-সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করলাম তাতে মানুষের মুখ বৃদ্ধি পায়। বৰ্ত্তমান সভ্যতার চাপে মামুষের দৈনন্দিন দুঃখ-দুশ্চিন্ত৷ যে-পরিমাণে বেড়ে যাচ্ছে তাতে আমোদপ্রমোদের প্রয়োজন আরও বেড়ে গেছে। নিরানন্দ ভারতবর্ষে হাসিমুখ দুল্লভ। স্বাস্থ্যহীনতাই এর জন্তে বেশি পরিমাণে দায়ী । তা ছাড়া ভারতবাসীর দুঃখ ভোলবার অবকাশ মেলে না । আরও মনোহর খেলাধুলা ও ব্যায়ামের প্রবর্তন করলে ভারতবাসীর দেহে স্বাস্থ্য ও মুখে হাসি ফিরে আসবে।