পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ]." দেবতার দান SAMAMMMMAMAAA AAAA AAAA SAAAAA AAAA AAAAMeAAA AAAA AAAA AAAAMMAeAMMMMMeMMAAA AAAA AAAA AAAA SAAAAA AAAA AAAA AAAAA মধ্যে কোনো তুলনা চলে নাকি? আমি ত যত শীগগির যেতে পারি, ততই আমার পক্ষে ভাল। বাঙালীর বিধবার অদৃষ্ট ত যা। আর তুমি ত রাজরাজেশ্বরী, একশ বছর পরমায়ু হ’লে তবে তোমায় মানায়। তোমার কি এমন করলে চলে? তোমার স্বামীর মত স্বামী এদেশে ক’টা মেয়ের আছে ? কুলে, শীলে, ধনে, বিদ্যায়, চরিত্রে, কারো নীচে তিনি যান না । তার জন্যে ত তোমায় বেঁচে থাকতে হবে, তুমি ছাড়া তার আছেই বা কে ?” জমিদার দেবেন্দ্রনাথ রায়ের নাম নানা কারণেই জেলার সৰ্ব্বত্রই খুব বিখ্যাত। ধনের খ্যাতি ত তাহার ছিলই, তাহা ছাড়া মানেরও অন্ত ছিল না। এতটা সম্মান যে তিনি কেবল অবস্থার খাতিরেই লাভ করিয়াছিলেন তাহ নয়। তাহার বিজ্ঞা ও চরিত্রের খ্যাতি তাহার ধনের খ্যাতিকেও Cप्लेन ছাড়াই গিয়াছিল জমিদারবংশের সন্তান হইয়াও ধারন্থগঞ্জ জুমোদগুলিতে তাহার মোটেই রুচি ছিল না। নিজের লেখাপড়া আর জমিদারী দেখা-শোনার কাজেই তাছার দিনরাতের বেশীর ভাগ কাটিয়া ফাইত। ইন্দিরা সৰ্ব্বাংশেই তাহার উপযুক্ত স্ত্রী হইতে পারিয়াছিল। সৌন্দৰ্য্যলক্ষ্মী ইন্দিরারই মত, তাহার শ্ৰী ছিল অনিন্দ্যস্কন্দ্রর। সে দরিত্র ঘরের মেয়ে হইলেও, তাহাকে সম্বাস্তুৰংশ হইতে আগ্রহ করিয়াই বৰূপে বরণ করা হইয়াছিল, এমনই ছিল তাহার রূপগুণ ও স্বশিক্ষার খ্যাতি। তাহার চরিত্রের মাধুর্ঘ্যও ছিল অসাধারণ। কয়েক মাসের মধ্যেই ইন্দিরার স্বামী-সৌভাগ্যের কথা লোকের গল্প করিবার জিনিৰ হইয়া উঠিল। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই নিৰ্ম্মল আকাশে মেঘসঞ্চার হইতে লাগিল। ইন্দিরার সন্তান হইল না। প্রথম প্রথম সকলে আশা করিতে কটা করিল না, কিন্তু ইন্দিরার ত্রিশ বৎসর পার হইয়া ধাওয়ার পর সে নিজে আর কোনো আশাই রাখিল না। তাহার স্বাস্থ্যও নষ্ট হইতে আরম্ভ করল। প্রথমে তাহাকে দেখিলে মনে হইত যেন ফুটন্ত গোলাপটি; এখন ক্রমে সে যেন মূদিতপ্রায় শ্বেতপদ্মের রূপ ধারণ করিতে লাগিল। দেবেক্সের প্রাণপণ চেষ্টা সত্বেও সে দিন দিন স্বল্পভাবী ও জগুমনী হইয়া উঠিতে লাগিল। টেক্সের বিধবা ভাইৰ লীলা ছিল এই কার্ষে তাহার প্রধান সাহায্যকারিণী । কিন্তু তাহারও চেষ্টাতে বিশেষ কিছু ফল হইতে দেখা গেল না। দেবেন্দ্র পিতামাতার একমাত্র সম্ভান হইলেও তার পরিবারটি ছিল মস্ত বড়। ধনের খ্যাতি ছিল বলিয়া আত্মীয়, অনাত্মীয়, কুটুম্ব সকলেই তাহার উপর ভর করি। থাকিত। কার্ধ্যের মধ্যে বেশীর ভাগ ছিল, জমিদারের সকল কার্য্যের সমালোচনা করা, এবং অযাচিতভাবে র্তাহাকে উপদেশ দেওয়া । এখন এই দলটির জিহ্বা একেবারে বেশী রকম উত্তেজিত হইয়া উঠিল। এতবড়, বনিয়াদী বংশ, একি এমন করিয়া লুপ্ত হইতে দেওয়া চলে ? দেবেস্ত্রের আর-একবার বিবাহ করা একান্ত উচিত; তাহাতে ইন্দির না হয় খানিকটা কষ্টই পাইবে। ইন্দিরারও অবহু কষ্ট পাওয়া উচিত নয় ; হিমুনারী সে, তাহার ত হাসি-মুখে স্বাৰ্থত্যাগ করা উচিত। সে যদি স্বামীকে কৰ্ত্তব্য পালনে বাধা দেয়, তাহা হইলে তাহার ভাগ্যে নিশ্চিত অনস্ত নরক। দরিদ্রের মেয়ে সে, এমন স্বামী যে পাইয়াছে, ইহাই তাহার জন্মজন্মাস্তরের স্বকৃতির ফুল। সে কৃেথিায় স্বামীকে কৰ্ত্তব্য করিতে উৎসাহ দিৰে, না সে-ই হইয়া দাড়াইল অস্তুরায় । প্রথম প্রথম এইসব কথা ইন্দিরার কানে যাইত না । দেবেন্দ্র আর লীগার প্রাণপণ চেষ্টা ছিল যাহাঁতে এই সদুপদেশ ও মন্তব্যগুলি ইন্দিরার কান পৰ্য্যস্ত না পৌছায়। কিন্তু লোকের মুখকে কতদিন আর সংযত রাখা সম্ভব! ক্রমে ইন্দিরাও শুনিল । প্রথমে তাহার যেন হৃৎপিও স্তৰ হইয়া গেল। এরা বলে কি ? তাহার স্বামী আবার বিবাহ করিখেন; সে বাfচয়া থাকিতেই ? তাহার স্বামী যে তাহার একমাত্র দেবতা, একমাত্র আনন্দের সম্পদ। র্তাহাকে কি সে অস্তের সঙ্গে ভাগাভাগি করিয়া ভালবাসিতে পরিবে ? ন, ইহা তাহার পক্ষে সম্ভবই নয়। কিন্তু ক্রমে কথাগুলা তাহার সহিয়া গেল। এমন-কি, এই কথার মধ্যে সে উচিত কথাও খুজিয়া পাইতে লাগিল । স্বার্থত্যাগই ত তাহার এখনকার জীবনের লক্ষ্য হওয়া উচিত। সে সামান্ত একটা স্ত্রীলোক বইত নয়, সে কেন স্বামীর কর্তব্য পালনে ৰাখা হইৰে ? এত বড় সাপ্ত