পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

نه ها প্রবাসী—অাখিন, ১৩ee [ २७* छांगं, »म १९ স্বনাম পাইবার আশা বৃথা । তাহাতেও সব সময় কৃতকাৰ্য্য হওয়া যায় না। কারণ এক শ্রেণীর মানুষ আছে, তাহাদের জন্য যতই ত্যাগ করা যায় ততই যেন তাহাদের উপকারীর প্রতি বিদ্বেষই বাড়িতে থাকে। শক্রকে তাহারা ক্ষমা করিতে ন পারিলেও ভুলিয়া থাকিতে পারে, কিন্তু উপকারীকে তাহারা ভুলিতে পারে না বলিয়াই ক্ষমা করে না। ইন্দিরার দয়ায় যাহারা লালিত-পালিত হইতেছিল, অধিকাংশই তাহদের মধ্যে মনে মনে তাহার অমঙ্গলই কামনা করিত। কাহারও বা এই বিদ্বেষ ভাবে ও ভাষায় পরিস্ফুট ছিল, কাহারও বা ছিল না ; এমন-কি অনেকে নিজের কাছেও এই কামনাকে স্বীকার করিত না । কিন্তু দরিদ্র ঘরের মেয়ে জাসিয়া আজ তাহদের উপর অধিশ্বরী হইয়া বসিয়াছে, এ জাল মিটিবার নয়। ইহাদের মধ্যে অনেকে কেবলমাত্র ইন্দিরার স্বপারিশের জোরেই টিকিয়াছিল, নয়ত অক্ষমতা এবং আলস্যের প্রতি দেবেন্দ্রের যে খুব করুণা ছিল তাহা বলা যায় না । ইন্দিরার দুঃখে কিন্তু ইহাদের চোথে এক ফোটাও জল দেখা দিবে না, এ কথা সে আজ হাড়ে হাড়ে বুঝিতে পারিল। সে এখন মহা দ্বিধায় পড়িয়া গেল। স্বামীর কাছে বিবাহের কথা তুলিলে, তিনি অত্যন্ত বিরক্ত হন। আবার নিশ্চিন্ত হইয়া বসিয়া থাকিলেও সংসারের সকলের কাছে দুর্ণামের ভাগী হইতে হয়। স্বামী কথনই তাহাকে স্বার্থপর ভাবিয়া দোষী করিবেন না, এও কি সে একেবারে নিশ্চয় করিয়া জানে! এ জগতে একেবারে নিশ্চয় কিছু কি আছে ? এমনও কিছু কি আছে যার সীমা নাই, শেষ নাই ? দেবেক্সের প্রাণঢাল, স্বার্থলেশশূঙ্গ ভালবাসারও একদিন অবসান ঘটিতে পারে, তখন তিনি কি ইঙ্গিরাকে দোষী করিবেন না ? সে যে নিজের স্বার্থকেই স্বামীর স্বার্থের চেয়ে বড় করিয়া দেখিয়াছিল ভাবিয়া মনে মনেও কি বিরক্ত হইবেন না ? তাহ ছাড়া বংশের প্রতি এবং পরিবারের প্রতিও সত্যই মামুষের একটা কৰ্ত্তব্য আছে, তাহাও উপেক্ষা করিবার নয়। ইন্দির এ বংশের . বধু হইয়া জাসিয়া যথেষ্ট স্বর্থ-স্বাচ্ছদ্য ভোগ করিয়াছে। ४थन १थन हेक्षांब्र छछ उTांशं चौकांग्न कब्रियांब्र गभग्न আসিল, তখন যদি সে ভয়ে পশ্চাৎপদ হয়, তাহা হইলে সে অপরাধই করিবে । স্বামীর কাছে আবার তাহার বিবাহের প্রস্তাব করাই সে স্থির করিল। কিন্তু কথা তুলিবামাত্র দেবেন্দ্র এমন ভয়ানক বিরক্ত হইয়া উঠিলেন যে, সে ভয় পাইয়াই চুপ করিয়া গেল । স্বামী হয়ত কোনোকালেই আর ষিবাহ করিবেন না, ইহা সে বুঝিল, কিন্তু বুঝিয়াও স্বর্থী হইতে পারিল না। সে যে নিজের কৰ্ত্তব্য করিতে পারিল না, ইহাতে তাহার মনে একটা অশাস্তি থাকিয়া গেল । তাহার স্বাস্থ্য ক্রমেই ভাঙিয়া পড়িতেছে দেখিয়া দেবেন্দ্র বায়ু-পরিবর্তনের ব্যবস্থা করিতে লাগিলেন। কিন্তু দেবেন্দ্রের পরিবারটি বড় সহজ ব্যাপার ছিল না। এটা তিনি কিছু পরেই বুঝিতে পারিলেন। হঠাৎ সকলে কেমন করিয়া জানি না বুঝিতে পারিল যে, ইন্দিরার অনুরোধ সত্ত্বেও দেবেন্দ্র আবার বিবাহ করিতে অস্বীকার করিয়াছেন। এখন তাহারা ইন্দিরাকে ত্যাগ করিয়া সদলে দেবেন্দ্রকে আক্রমণ করিল। দেবেন্দ্রের রাত-দিনের মধ্যেও আর শাস্তি রহিল না, বিশ্রামও রহিল না। দেবেন্দ্র চিরকালই দেরি করিয়া বাড়ী ফিরিতেন, এখন আরো দেরি করিতে আরম্ভ করিলেন। খাওয়া-দাওয়া চুকিয় গেলেই তিনি ভিতব বাড়ী হইতে পলায়ন করিতেন। রাত্ৰে খাইয়াই গভীর নিদ্রার ভাণ করিয়া শুইয়া পড়িতেন, পাছে ইন্দিরাও তাহার শত্রুপক্ষে যোগ " দেয়। স্বামীর সহিত ব্যবধান ইন্দিরার যেন দিনের পর দিন বাড়িয়াই চলিল। লুকাইয়া চোখের জল ফেলা তাহার নিত্য কৰ্ম্ম হইয়া দাড়াইল, জীবনটা মনে হইতে লাগিল যেন একটা ঘোরতর দুঃস্বপ্ন। ' ' সন্ধ্যার সময় জানলার ধারে বসিয়া ইন্দিরা আপনার দুর্ভাগ্যের ভাবনাই ভাবিতেছিল। লীলা বাহির হইতে ডাকিয়া বলিল, “কাকীম, কি করুছ ?” -- ইন্দির বলিল, “করব আর কি, মা ? আমার করবার বিশেষ কিছু ত নেই ? ভিতরে এসে না ?” লীলা ভিতরে আসিয়া ইন্দিরার চেয়ারের পাশে মাটিতেই বসিয়া পড়িল। বিধবা হওয়ার পর অন্ত সৰ বিলাস-ক্রব্যের সঙ্গে খাট-চেয়ারও সে ত্যাগ করিয়াছিল,