পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] উন্মোচন S) :) সে মিষ্ট তিক্ত কটু প্রভৃতি আস্বাদ গ্রহণ করে । এই #fānisyfsē ( perception ) fort-izis zēni বস্তুত্বের উপলব্ধি (conception) জন্মায় । বিভিন্ন বস্তুর (object) সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্ব ক্রমশঃ তাহদের ধৰ্ম্মে অভিজ্ঞতা প্রদান করে । এই অভিজ্ঞতা হইতে বস্তুর ধৰ্ম্ম-সংক্রাস্ত কতকগুলি বিধি আমরা পাইয়া থাকি । এখান হইতেই বিধায়নার অরম্ভ । জ্ঞানের প্রসারে বিধির সংখ্যা ক্রমশঃই বাড়িয়া যায়। বিভিন্ন বিধির সংমিশ্রণ নূতন নূতন বিধি উৎপন্ন করে । এই বিধিসমূহের পর্ষnয়াকুযায়ী সমাবেশেই প্রারব্ধ বিজ্ঞান গড়িয় উঠে। কিন্তু জ্ঞানচিকীযুর চিন্ত৷ ইহাতেই পরিতৃপ্তি লাভ করিতে পারে না । সংশ্লেষণের (synthesis) ন্যায় বিশ্লেষণও চিন্তার ভোগ্য । জগৎ হইতে সে ঘাত প্রতিঘাত ইন্দ্রিয়ে প্রবেশ করে, তৎসম্বন্ধে আলোচনাই সংশ্লেষণের বিষয় । এই সংশ্লেষণের জটিলতায় অনেক সময়ে চিন্তার অসামঞ্জস্য পরিলক্ষিত হয়। সন্দেহের উৎপত্তি। সন্দেহই বিশ্লেষণের স্বষ্টিকৰ্ত্ত । সংশ্লেষণে চিন্তাধার কারণ-(cause) রূপিনী ঘটনা দৃষ্টে ফলস্বরূপ কার্য্যে (effect) উপনীত হয় । সন্দেহে বিচার কাৰ্য্য হইতে কারণ মুখে প্রত্যাবৰ্ত্তন করে। যখন এই সংশ্লেষণ ও বিশ্লেষণের পুনঃ পুনঃ চিন্তা বিভিন্ন ঘটনাবলির কাৰ্য্য-কারণ-সম্বন্ধ সুস্পষ্ট করিয়া বুদ্ধি সম্যক্ পরিমার্জিত করে, তখন আর বিশ্লেষণের গণ্ডী সে প্রাথমিক জ্ঞান ঠেকাইয়া রাখিতে পারে না । জাগতিক ঘাতপ্রতিঘাতের অনুভূতিই প্রাথমিক জ্ঞানের জনয়িতা। এই জ্ঞানের গণ্ডী যাবতীয় চিন্তাজাত সন্দেহের মীমাংসা প্রদানে সমর্থ নহে। এমতাবস্থায় উক্ত গণ্ডী বিশ্লেষণ-চিস্তায় ক্রমশঃই আহত হইতে থাকে । মানবের স্বভাবজাত জ্ঞানে ভ্রম প্রদর্শিত হয়। তখন সে অনুভব করিতে পারে যে, জাগতিক ‘ ঘাতপ্রতিঘাতে তাহার নিজত্বকে ভাসাইয়। লইতেছে। এই অবস্থায় যে জাগতিক স্রোতে সে একসঙ্গে মিশ্রিত হইয়া ভাসিঙেছে, তাহাকে উপলব্ধি করার নিমিত্ত উক্ত প্রকারের বিশ্লেষণই একমাত্র উপায়। উপরোক্ত জ্ঞানের গণ্ডী সংস্কার নামে অভিহিত । পোতারোহিগণের বহির্মুখে দৃষ্টি পতিত না হইলে তাই। হইতে তাহার। পোতের গতি লক্ষ্য করিতে পারে না । অস্থভূতিতে পোতকে স্থির বলিয়াই মনে হয়। আপেক্ষিক গতির বিশ্লেষণে আমরা এজাতীয় অনুভূতির ব্যাখ্যা প্রদান করিতে পারি। চলিষ্ণু বস্তুকে স্থির বলিয়া উপলব্ধি আমাদের স্বভাবজাত জ্ঞানে একট। আঘাত দেয় । এখান হইতেই সংস্কারে আঘাতের স্বত্রপাত । এ-জাতীয় ক্রিয়ার ক্রমোৎকর্য সাধনেই আমরা পার্থিব শতি অনুধাবনে উপস্থিত ફકં | বিধায়ক গবেষণার প্রথম অবস্থ একমাত্র সংশ্লেষণচিন্তায় পূর্ণ। কিছু দূর অগ্রসর হইলেই সন্দেহ বিশ্লেষণচিম্বা অনিয়া দেয়। বিশ্লেষণ চিন্তু প্রসারিত হইলে কিছুতেই সংস্কারে আবদ্ধ থাকিতে পারে না। তবে সাধারণ বিশ্লেষণ-চিন্তু হইতে উন্মোচনার বিশেষত্ব এই যে, উন্মোচনীয় সমগ্র বিজ্ঞান-জগতে একটা যুগান্তর আনয়ন করে । সাধারণ বিশ্লেষণ ব্যক্তিগত সংস্কারে অল্পাধিক আধাত প্রদান করিয়াই ক্ষান্ত । কিন্তু উন্মোচন চিরাগত সংস্কারজাত বিজ্ঞানের ভিত্তিভূমি চূর্ণবিচূর্ণ করিয়া ফেলে ; নূন্তম বৈজ্ঞানিক যুগের নিমিত্ত নুতন ভিত্তি সংস্থাপন করে ; বৈজ্ঞানিক আলোচনার ধারা একেবারে পরিবর্ধিত হইয়া যায়। বিজ্ঞানজগতে আমূল পরিবর্তন সাধন না করিয়া উন্মোচন প্রতিষ্ঠিত হইতে পারে না। বিজ্ঞান-শাস্থের প্রারম্ভে কতকগুলি বিধি স্বীকার করিয়া লণ্ডয়া হয়। এই বিধির সত্যতা সম্বন্ধে তৎকালে মনে কোন সন্দেহই জাগে না। যাবতীয় বৈজ্ঞানিক বিধির সত্যত এইসমস্ত স্বীকার্য্যের উপরই নির্ভর করে । এইরূপ স্বীকার্ধ্যে সন্দেহ হওয়াই উন্মোচনার উৎপত্তি। স্বীকার্য্যগুলির সত্যতা খণ্ডিত হইলেই আমূল পরিবর্তন করিয়া বিজ্ঞানের শৃঙ্খলা পুনর্গঠনের আবগুক হইয়া পড়ে। জাগতিক যে ঘাতপ্রতিঘাত আমার নিজত্বকে ভাসাইয় দেয়, তাহা লক্ষ্যপথে পতিত না হওয়াতেই উক্ত প্রকারের ভ্ৰমাত্মক স্বীকার্য্যের উৎপত্তি। কোপানিকাসের পূৰ্ব্বে পৃথিবীকে অচলারূপে স্বীকার করিয়াই জ্যোতিগণনার স্বচন । এজাতীয় স্বীকার্য্য জ্যামিতিক স্বীকার্য্যের মত স্বত্র(proposition) বদ্ধ নহে । তৎকালের ভাষায়—“পৃথিবী