পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఏశి প্রবাসী-আশ্বিন, ১৩৩৩ [ ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড অচলা” এ আবার একটা স্বীকাৰ্য্য কি ? ইহা মনের সঙ্গে এভট মিশ্রিত যে, ইহাকে স্বতন্ত্র করিয়া স্বত্রাকারে পরিণত করা আয়াসসাধ্য । তদবস্থায় আপেক্ষিক দেশই (space) সাৰ্ব্বভৌম (absolute) রূপে প্রতীত । সাৰ্ব্বভৌম দেশের ধারণ মানব-বুদ্ধির অতীত । পেfতারেী ল্যক্তি পোতের গতি প্রত্যক্ষ করিতে পারায় সে তৎসংশ্লিষ্ট দেশের আপেক্ষিকতা অনুভব করিতে সমর্থ ঈয় । পুথি পার আকারের বিপুলত তাহার গতি প্রত্যক্ষ করিতে দেয় ন। - তন্নিমিত্তই পার্থিব আবর্তনে আস্থ। জন্মাইবার নিমিত্ত, কেপলার, কোপনিকাস, গ্যালিলিপ্ত ও নিউটন এই মনীষী চতুষ্টয়কে অমূল্য জীবন উৎসর্গ করিতে গুইয়াছিল সংস্কার এই প্রকারের ভ্র যাত্মক স্বীকার্য্য দ্বার। গণ্ডীবদ্ধ । সংস্কারাচ্ছন্ন অবস্থায় এইসমস্ত স্বীকার্য্য স্বাকারে পবিণত কর। নিতান্তই কঠিন । এমন-কি, &রুপ তামেক স্বীকার্য্য আছে, সংস্কার বিদূবিভ অবস্থায়ও স্বত্রবদ্ধ করা দুঃই । “পরবর্তিত মাঠ। { reflected ) wroto-( ether ) তরঙ্গ ( vibration ) নেত্রপথে পতনে দৃশন-ক্রিয়ার উৎপত্তি।" প্রচলিত বিজ্ঞানের ইহাই অভিমত। কিন্তু দর্শন শব্দের প্রকৃত অর্থ তাহা নহে । আলোক-তত্ত্ব বিদগণ দর্শন শব্দের সৃষ্টি করেন নাই । আলোকতত্ত্ব আবিষ্কারের বহু পুৰ্ব্ব হইতেই দর্শন শব্দ প্রচলিত । আলোকতত্ত্বে অনভিজ্ঞগণ সৰ্ব্বদাই ভাষায় এশকের প্রয়োগ করিয়া থাকেন। অতএব “দশন” শব্দের অর্থের সঙ্গে আলোকতত্ত্বের কোন সম্পর্ক নাই । প্রকৃত পক্ষে আলোক-তত্ত্ব-বিদগণ দৰ্শন-ক্রিয় অস্বীকারই করেন । তাহারা নুতন ভাবের অপর একটা কিছুকে “দর্শন" নামে অভিহিত করিতেছেন । সাধারণের ধারণা-চক্ষুর এরূপ একটি ক্ষমতা আছে যে, তাহা জড়কে ( matter ) সাক্ষাৎ সম্বন্ধে জ্ঞাত করাইয়া দেয়। এই ক্ষমতা-প্রকাশই দশন । শিশু যখন প্রথম দশন করিতে শিখে, তখন সন্দেহ বলিয় তাহার নিকট আদবেই কিছু ছিল না । আমাদের নিকট ও সাধারণতঃ দর্শনে সন্দেহের একটা কিছু স্থান পায় না। এমন-কি সস্তব অবস্থায় যে-কোন সন্দেহই দর্শনদ্বারা সম্পূর্ণরূপে খণ্ডিত হইয়া থাকে। অর্থাৎ দর্শনজাত জ্ঞান সন্দেহের অতীত। এ নিমিত্তই দর্শনশাস্ত্র দর্শন নাম প্রাপ্ত হইয়াছে এজন্যই “অক্ষি" শব্দ হইতে “প্রত্যক্ষ’ শব্দের স্মৃষ্টি । কিন্তু যে দিন প্রথম আলোকতত্ত্ব অবগত হইলাম, সে-দিন হইতে দর্শন সম্বন্ধে সে-ধারণা দমিয়া গেল । বিজ্ঞান-শাস্ত্রে অনেক বিধিই আবিষ্কৃত হইতেছে । আলোকতত্ত্বের বিধিও একটি বিধি । অবশ্ব অপরাপর বিধির ন্যায় এ বিধিতেও আমাদের আস্থা আছে । কিন্তু তাহ আস্থা মাত্র । “দর্শন লন্ধ বস্তুতে আমাদের আস্থা আছে” বলা চলে না কারণ, আস্তা মাত্রে কিঞ্চিৎ সন্দেহের শঙ্কা থাকিবেই । বৈজ্ঞানিক বিধি পবিবৰ্ত্তনশীল । অতএব আলোক তত্ত্ব অকুযায়ী দর্শনে অবস্থার অতিবিক্ত কিছুই নাই ; দর্শন দ্বাবা বস্তুকে প্রত্যক্ষ ভাবে জানিতাম । বিজ্ঞান এই প্রত্যক্ষ জ্ঞানের ক্ষমতা অস্বীকার করিতেছে। বিজ্ঞান বলে, আকাশ-তরঙ্গের আঘাত্রে পরোক্ষভাবে দৰ্শন-জ্ঞান জন্মে । প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ পরম্পর বিপরীত অর্থে প্রযোজ্য । অথচ বস্তুর উপরে আক্ষি যে-ক্ষমতা প্রকাশে সমর্থ হওয়ায় “অক্ষি" শব্দ হইতে প্রত্যক্ষ শব্দের উৎপত্তি সে-ক্ষমত সংপ্রতি পরোক্ষ রূপে পরিণত । স্বতরাং সেদর্শন আর এ দর্শন কি প্রকারে একই হওয়া সম্ভব হয় ? তবেই আলোকতত্বের আবিষ্কারে নিম্নলিখিত স্বীকার্য্যে ভ্রম উপলব্ধি করায় সংস্কারের গণ্ডী উত্তীর্ণ হওয়া গিয়াছে। দর্শন দ্বারা বস্তুকে প্রত্যক্ষ ভাবে জানা যায় আলোকতত্ত্বে আকাশ নামক একটি পদার্থ পরিকল্পনা (hypothesis) করিয়া তাহার পরিচালনা ঘটিত একটি বিধি গঠিত করা হইয়াছে । অতএব ইহা একটি বিধায়ন । ইহাতে উন্মে:চনার ভাব আছে এই মাত্র । কিন্তু বিধায়না নির্ণয়ই মুখ্য । এপর্য্যস্ত একমাত্র কোপানিকাসের গবেষণাই প্রকৃত পক্ষে উন্মোচন নামে কথিত হওয়ার উপযুক্ত। তবে আলোকতত্ত্ব আবিষ্কারে দ্বিতীয় বার উন্মোচনায় হস্তক্ষেপ হইয়াছে। • ইন্দ্রিয়-সাহায্যে প্রাথমিক জ্ঞানের উৎপত্তি । ইন্দ্রিয়মধ্যে চক্ষুই শ্রেষ্ঠ । অতএব চক্ষু অবলম্বনেই জ্ঞানপথে অধিকতর অগ্রসর হওয়া ঘটে। এনিমিত্তই দৃষ্টিজাত