পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওষ্ঠ সংখ্যা ] সংস্কারের উন্মোচনেই উন্মোচনার প্রারম্ভ । আপেক্ষিক ও সাৰ্ব্বভৌম দেশের পার্থক্য দৃষ্টি দ্বারাই তুলনা করা হয়। সত্য বটে, দেশ ইন্দ্ৰিয়াতীত পদার্থ ; কিন্তু জীব তাহার আধারের গতি নিরীক্ষণেই আপেক্ষিক দেশ অনুভব করে । পাখিব-গতি-জাত আপেক্ষিক দেশ অনুভবেঅসমর্থতা হেতুই পৃথিবীকে অচলা বলিয়া মানবের ধারণা ছিল । কোপানিকাস এই দৃষ্টিজাত সংস্কারই উন্মোচন করিয়াছেন । এইরূপে প্রথম উন্মোচনায় দৃষ্টিশক্তিতে দেশ-সংক্রান্ত আপেক্ষিকতা জাত ভ্ৰম দূরীভূত ६ ईध्रांCछ् ! ংস্কারের প্রথম গণ্ড ভ্রান্ত দৃষ্টি হইতে জাত। কিন্তু দ্বিতীয় গণ্ডী দৃষ্ট-ক্রিয়া-স ক্রান্ত ভ্রান্ত ধারণা হইতে উৎপন্ন। প্রথম স্তরের উন্মোচনায় বাহ বস্তুতে দৃষ্টি-জাত ভ্রম হিদুরত ইয়াছে। দ্বিতীয় স্তরে দৃষ্টশক্তিজাত ধারণায় পুস্থ পুস্থরূপে ভ্রম প্রদর্শিত হইবে । আলোক তত্ত্বে অবগত হইয়াছি সে, বস্তুকে আমরা প্রত্যক্ষভাবে জানি না । পুনশ্চ আকাশ তরঙ্গ বস্তুকে যে-ভাবে অক্ষি-গোচর কবায়, তাছাও ভ্ৰমাত্মক । বস্তুপমূহ বিভিন্ন বর্ণে রঞ্ছিত । বর্ণ বস্তুর ধৰ্ম্মরূপে চক্ষুতে প্রকাশিত । অথচ বর্ণসমূহ fবভিন্ন শ্রেণীর আকাশ-তরঙ্গের পরাবৰ্ত্তন হইতে উৎপন্ন । আকারের উৎপত্তিও তদ্রুপই । একটা বস্থ দেখিতে সম্পূর্ণ মস্তণ ; অথচ তাহার সৰ্ব্বত্রই সংখ্যাতীত ছিদ্রে পবিব্যাপ্ত , কেবল নিয়তই কণারাশি ইতস্ত ই বিক্ষিপ হয় । প্রবেশ করে . এতদবস্থায় বস্তুর অর্থ; ই ই ই কোন নিৰ্দ্দিষ্ট তাহাই মঙ্গে বস্থ হইতে প্র!" পমর’য় সুত নূতন কণা তাহাতে পরিবেষ্টন স্থিরতা-বর্জিত BBBB BB BB BBBB BBB BS BSKBBB KDS সক্ষ পতিত হয়, তাহ প্রতীত অনুভূতি মাত । বস্তুতে এই অত্নভূতির অতিরিক্ত কিছুই নাই কারণ বস্তু কোন নিদিষ্ট স্থায়ী কণারাশিব সমষ্টি মঙ্গে । সতত পরিবর্তনশীল ঘনীভূত কণারাশি হইতে পাবা বৰ্ত্তিত আলো অক্ষি-পথে প্রবিষ্ট হইয়। স্বে-মূৰ্ত্তি উৎপন্ন করে তাছাই বস্তু নামে অভিহিত স্পশাদিও এই মুঠিকেই অতু ভব করায় । রাসায়নিক সংযোজন (combination) ও বিয়োজনে উন্মোচন৷ సెళి (decomposition) স্পষ্টই পরিলক্ষিত হয়, আমি সমূহের বিভিন্ন প্রকারের সমাবেশে arrangement) fifes ধৰ্ম্মের উৎপত্তি ঘটে। অম্লজান ও ওজনের (ozone) ধৰ্ম্মবৈষম্য ইহার উদাহরণ-স্থল। কারণ, ইহার একই জাতীয় আস্তিমের সমাবেশে উৎপন্ন । এসমস্ত আলোচনায় পরিষ্কার দেখা যাইতেছে, বিভিন্ন অবস্থায় আকাশ-তরঙ্গের বিভিন্ন প্রকারের ঘাত প্রতিঘাত চক্ষু-পথে পতিত হইয়৷ স ততই ভ্ৰমাত্মক অনুভূতি প্রদান কমে। ইতস্তত: প্রত্যক্ষীভূত বস্কমা ই এক-একটি প্রতীত ভ্রাত্মক মূৰ্ত্তি মাত্র । এই ভ্ৰমাত্মক মুক্ট অবলম্বন করিয়াই আমরা জ্ঞান-পথে অগ্রসর হই। দর্শন ও বিজ্ঞান ইহারই উপরে স্থাপিত। এই প্রতীতিকে প্রতীতিরূপে অবগত হইয়া প্রত্নতত্বের অনুসন্ধানই উন্মোচনার ক্রিয়। কিন্তু এখনও দ্বিতীয় স্তরের উন্মোচনার কিছুই হয় নাই । সত্য বটে, প্রত্যক্ষ দৃষ্টিতে ভ্রম প্রদশিত হইয়াছে । আকাশ তরঙ্গের পরিকল্পনা তত্ত্বে পরিণত হইয়াছে । কিন্তু বস্তুত্বের কিরূপে উৎপত্তি ? আকাশ-তরঙ্গের প্রকৃত স্বরূপ কি ? কি ভাবে ইহার পরাবৰ্ত্তন ঘটে ? সমস্তই আমাদের অপরিজ্ঞাত । মূলক্ষণ, আস্তিম ও অলক্ষ্যাস্তিমের আবিষ্কার সাধিত হইয়াছে । কিন্তু তাহাদের সমাবেশ সম্বন্ধে আমরা কিছুই অবগত নহি । কোপার্নিকাস পার্থিব গতির আবিষ্কার করিলেন । গ্যালিলিও, কেপলার ও নিউটন সেই আবিষ্কারের উপরে নিৰ্ভৰ করিয়া জোতির্বিজ্ঞানকে নৃক্ষন বিধিসমূহে শৃঙ্খলিত করিলেন । এষ্টরূপে প্রথম গুবেব উন্মোচনায় পার্থিব সচল ভ্রা ঘটিত যাবতীয় সন্দেহ মীমাংসিত হইল । পক্ষান্তরে আকাশ ও মূলকণা প্রভৃতি আবিষ্কারের পরে উল্লিখিত প্রশ্ন গুণি স্বতঃই অtসিয়া উপস্থিত হয় । সুতরাং প্রশ্নসমূহের সম্পূর্ণ ধীমাংস ব্যতীত দ্বিতীয় স্তরের উন্মোচন পরিসমাপ্ত হইতে পারে না , uকfন নিদিষ্ট বিধির প্রাপ্তিতেই বিধায়ক গবেষণার শেষ হয় । বিধিটি আয়ত্ত করার নিমিত্তই গবেষণা । একটি বিধির সমাধানে তন বিধি গঠনের উপকরণ পাওয়া অসম্ভব নহে । তৎসাহায্যে নূতন বিধি গঠনের নিমিত্ত গবেষণা চলিয়াও থাকে • কিন্তু প্রত্যেক বিধি গঠনের গবেষণাই পরস্পর