পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

وصS سوا প্রবাসী 莎°88 চোখে পড়ল গাজা ষ্টেশন। খেজুরগাছ, উটের সারি, তরমুজের ঝাকা গুনে চলেছি, অগণ্য বালির দিগন্ত পেরিয়ে লীডায় এসে পৌছলেম। দেখি ডক্টর অলসভ্যাঙ্গার উপস্থিত; বললেন, এখান থেকে মোটরে গেলে অনেকটা সুবিধে । এক ঘণ্টার পথ টেল-আভিভ । প্যালেষ্টাইন, ‘ডেড সী'র তীরে লৌহদানব মিশর এবং জুডিয়ার বালি ভেঙে এ পর্য্যন্ত এনেছে, দেখলাম দু-ভাগ হয়ে গড়িয়ে চলল জেরুজেলেম এবং হাইফা-র দিকে । এর পরে প্যালেষ্টাইন, লেবানন কোথাও ট্রেন ব্যবহার করতে হয় নি, মোটরের সুন্দর পথ সৰ্ব্বত্র ; ফিরেছি মিশরের এরোপ্লেনে, পাইলট ইংরেজ । মনে রাখতে হবে পথ কেবল ইংরেজ-ফরাসীর বানানো নয় ; তুরস্কের আমলে, প্যালেষ্টাইনের পথঘাটের দশার কথা না বলাই ভাল। যেখানেই য়িহুদী কৰ্ম্মীর দল এসেছে, পাহাড় কেটে বানিয়েছে ..চওড়া রাস্ত, দু-পাশে লাগিয়েছে গাছ। তারই ছায়া দিয়ে চলল আমাদের মোটর জাফ পেরিয়ে টেল-আভিভের দিকে । পথের কথাটা ছোট নয়, দেশের সত্তাকে ঐক্য দেয় পথের বঁাধন, এক যুগ থেকে উদ্ধার করে অন্য যুগে। ভারতীয় পথ ছিল ঘোড়া গরুর গাড়ীর যুগে, বাধন ছিল ঢিলে, গতি মন্থর। ফিরবে না সে যুগ । ইংরেজ এনেছে রেলওয়ে, যথেষ্ট নয় ; তা ছাড়া দেশের মৰ্ম্মে লোহার লাইন পৌছবে সাধ্য নেই। পথও গড়েছে, শহরে ঘাটে ব্যবসা চালাবার মত, শাসনবিধানের জন্তে যেটুকু দরকার। পথের দৌড় গ্রামে গ্রামে পঙ্ককুণ্ডে অবসান, ধুলোয় অবলুপ্ত বোঝা যায় আস্ফালন সত্বেও বিদেশী রাষ্ট্রের গ্রন্থি শিথিল । সমস্ত দেশকে অধিকার ক’রে নূতন সভ্যতার ধারা শিরা-উপশিরায় বইয়ে দেবার চৈতন্যশক্তি নেই রাষ্ট্রিক শাসনকেন্দ্রে । নবীন ভারতের পথ-বানিয়ের দল জাগবে দেশেরই সমাজ থেকে। পর-রাজ্যের পথ প্রাণের চলাচলের কাজে ঠিকমত লাগে না, বিশেষ উদ্দেশুসাধনের জন্তে প্রহরী বসিয়ে অন্তের মাটিতে তার রক্ষার আয়োজন। ইস্পীরিয়্যাল সভ্যতা স্থাপনের প্রণালী এই ; পথ-নিৰ্ম্মাতা চলে বন্দুক ব্যারাকৃ সৈঙ্কবাহিনী সামনে পিছনে রেখে । আবিসিনিয়ায় যুগান্তরের পথ কাটছে বলে ফাসিষ্ট দম্ব্যদলের আস্ফালন ; এই বিশিষ্ট সভ্যনীতি রাস্তার সিমেন্টের জন্তে চায় নরকঙ্কাল, এবং যারা পথে চলবে তাদেরই মারবার জন্তে বিষবাষ্প । জনকয়েক নব্য রোমান সাম্রাজ্যের দূত অত্যাশ্চর্ধ্য এই পথে ধুলো উড়িয়ে আনাগোনা করবেন লুঠের সন্ধানে। এ পথ টেকে না । আধুনিক কালের য়িহুদীরা প্যালেষ্টাইনে এসেছে বিনা অস্ত্রে, এনেছে হাত, দু-চারটে হাতিয়ার এবং গড়বার বুদ্ধি। যুরোপে সৰ্ব্বস্ব বিকিয়েও মানবত্বের আদর্শটুকু সঙ্গে রেখেছে ; ধ্বংসের উন্মাদন নেই বলে বীৰ্য্য na, দেখাতে পারল মরুভূমিতে ক্ষেত বানিয়ে, শহর তুলে ; এর

  • মধ্য দিয়ে থে-পথের পত্তন হচ্ছে মনে হয় তার সঙ্গে দেশের নাড়ীর যোগ আছে । আরব-পল্লীর প্রাণ যদি জাগিয়ে
  • থাকে, য়িহুদী নয়, আরবী নয়, সাম্যধৰ্ম্মী নূতন প্যালেক্টিনিয়ান

সভ্যতা গড়বার কাজে দুই সম্প্রদায়কে মেলাতে চায়, তবেই জানব এরা মামুষের পথ বানাচ্ছে। মনে হয় বার্লিনের প্রান্তে এসে পৌছচ্ছি—রাতারাতি উঠেছে টেল-আভিভের এই শহর মনসাগাছের সঙ্গে পাল্পী দিয়ে, বালির রাজ্যে ঝকঝকে বাড়ীর সারি দেখা যায়।