পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

مسرا وسي ج প্রবাসী 令N°88 হইয়া গেলে যদি কংগ্রেস নীচাশয়তা ও ন্যায়বুদ্ধিহীনতাবশতঃ মোসলেম লীগকে বঞ্চিত করিতে পারেন, তাহা হইলে ভাগবাটোয়ারা হইয়া গেলেও ত ঐ নীচাশয়তা ও স্বায়ুবুদ্ধিহীনতার প্রভাবে কংগ্রেস ভাগ-বাটোয়ারার সমর্থক নিজ অঙ্গীকার ভঙ্গ করিয়া মোসলেম লীগকে বঞ্চিত করিতে পারেন ? এরূপ প্রতারণ নিবারণের উপায় কি ? কংগ্রেসের সততার উপর যদি নির্ভর করা যায়, তাহা হইলে কোন উপায় অবলম্বনের কথtষ্ট উঠে না । যদি কংগ্রেসের সততার উপর নির্ভর করা ন-যায়, তাহা হইলে একমাত্র উপায় এই হইতে পারে, যে, মোসলেম লীগ কংগ্রেসের বা অন্ত কাহারও সাহায্য না-লইয়ু স্বয়ং নিজের পৌরুষে স্বরাজ অর্জন করুন" ও স্বয়ং স্বরাজ ভোগ করুন– কংগ্রেসের বা অন্ত কাহারও তাহাতে ভাগ বসাইবার ন্যায্য দাবী থাকিবে না ; মোসলেম লীগ তাহাদিগকে কিছু নাই দিলেন ? তাহার হাত পাতিবে না ।” $s. সকলের, না সংখ্যাগরিষ্ঠদের স্বাধীনতা মিঃ জিন্ন বলিয়াছেন, কোন দেশের স্বাধীনতার মানে তথাকার সংথ্যাগরিষ্ঠদের ( 'মেজরিটি'র ) শাসন ও স্বাধীনতা নহে, তাহার অর্থ সংখ্যাগরিষ্ঠ সংখ্যালঘু সকলেরই স্বাধীনতা । কোন দেশের স্বাধীনতার মানে নিশ্চয়ই তথাকার সংখ্যাগরিষ্ঠ সংথ্যালধিষ্ঠ সকলেরই স্বাধীনতা । কিন্তু গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা ও শাসনপ্রণালী ( যাহা মি: জিন্না এবং মোসলেম লীগও চান ) অনুসারে প্রত্যেক গণতান্ত্রিক দেশুে_সংখ্যাগরিষ্ঠদেরই শাসন প্রচলিত। সংখ্যাগরিষ্ঠ কথাটির গণতান্ত্রিক অর্থ বুঝিলেই সংখ্যালঘু কোন ধৰ্ম্মসম্প্রদায় বা শ্রেণীর আশঙ্কা দূরীভূত হইতে বা খুব কমিতে পারে। গণতান্ত্রিক শাসনপ্রণালীতে এক-একটি ধৰ্ম্মসম্প্রদায়ের জন্ম বা জাতিগত বা বৃত্তি অমুযায়ী কোন সমষ্টির জন্ত ব্যবস্থাপক সভায় কতকগুলি আসন নিদিষ্ট থাকে না । তথাকার ব্যবস্থাপক সভায় হিন্দু সদস্ত এত, মুসলমান সদস্য এত, খ্ৰীষ্টীয় সদস্য এত, বৌদ্ধ সদস্য এত, এরূপ নির্দিষ্ট থাকে না । রাজনৈতিক অর্থনৈতিক প্রভৃতি মত অনুসারে কোন বার প্রতিনিধি-নিৰ্ব্বাচনের পর কোন রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক মত অবলম্বী সদস্য বেশী হয়, কোন বার বা কম হয়। এই জন্ত যাহারা ব্যবস্থাপক সভায় কোন বার সংখ্যালঘু তাহারা তাহার পর সংখ্যাগরিষ্ঠ হইতে পারে। এই জন্ত ও এই প্রকারে, মিঃ জিন্না সংখ্যাগরিষ্ঠদের দ্বারা যে অত্যাচারের সম্ভাবনার কথা বলিয়াছেন, তাহ' নিবারিত হয়, এবং তাহ কখন ঘটিলেও স্থায়ী হইতে পারে না"। পক্ষাস্তখে, ধৰ্ম্মসম্প্রদায় অনুসারে ব্যবস্থাপক সভায়, সদস্যপদের বা আসনের সংখ্যা নির্দিষ্ট হইলে ও সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায় অধিকতম সৃংখ্যক আসন পাইলে, তাহাদের দ্বারা অত্যাচার সম্ভবপর হয়। বঙ্গদেশের হিন্দুরা এবং বিবেচক নিরপেক্ষ মুসলমানের ইহা বুঝিতে পরিবেন। গণতান্ত্রিক শাসনপ্রণালী ও গণতান্ত্রিক প্রতিনিধিনিৰ্ব্বাচনপ্রণালী প্রবৰ্ত্তিত না করিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠদের দ্বারা সংখ্যালঘুদের উপর অভ্যাচার নিবারণের আর একটা উপায় অবলম্বিত হইতে পারে। তাহা সংখ্যাগরিষ্ঠদিগকে সংখ্যালঘুতে পরিণত করা এবং সংখ্যালঘু কয়েকটি লোকসমষ্টিকে সংখ্যাগরিষ্ঠে পরিণত করা। ভারতশাসন আইনে এই উপায় অবলম্বিত হইয়াছে । ভারতবর্ষে হিন্দুরা ংখ্যাগরিষ্ঠ । অন্ত সকল জাতি ( রেস ও সম্প্রদায়ের লোকদের মোট সংখ্যার চেয়ে হিন্দুদের সংখ্যা বেশী । তাহারা শতকরা ৭০ জনের উপর । কিন্তু ভারতবর্ষীয় ব্যবস্থাপক সভায় দেশী রাজ্যগুলির রাজাদের সমষ্টি, ভারতপ্রবাসী ইংরেজদের সমষ্টি, ও ভারতীয় মুসলমান প্রভৃতির সমষ্টিকে হিন্দুদের সমষ্টির চেয়ে অনেক বেশী আসন দেওয়া হইয়াছে, সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুদিগকে সংখ্যলঘুতে পরিণত করা হইয়াছে । হিন্দুদের দ্বারা অত্যাচার হইবে, এইরূপ আশঙ্ক। করিয়া যে তাহাদিগকে সংখ্যালঘুতে পরিণত করা হইয়াছে তাহা নহে। প্রধানত: তাহারাই স্বাধীনতা চায় এবং স্বাধীনতার জন্ত সৰ্ব্বস্বপণ প্রাণপণ করে এই জন্য তাহাদের প্রভাব ও ক্ষমতা কমাইবার নিমিত্ত ব্যবস্থাপক সভায় তাহাদিগকে কম আসন দেওয়া হইয়াছে । আর যদি সভ্য সভ্যই তাঁহাদের দ্বারা অত্যাচারের আশঙ্ক করা হইয়া থাকে, তাহা হইলে অঙ্ক যাহাfদগকে কৃত্রিম উপায়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ করা হইয়াছে, তাহীদের দ্বারা কি অত্যাচার হইতে পারে না । হিন্দুর অত্যাচারী হউক বা অত্যাচার করিবার স্বধোগ প্রাপ্ত হউক, ইহা আমর। চাই না। কিন্তু তাহারা অত্যাচরিত হউক, বা তাহাদের উপর অত্যাচারের সম্ভাবনা ঘটুক, ইহাই কি বাঞ্ছনীয়, ন, এরূপ ব্যবস্থা স্থায়ী হইতে পারে ? t অত্যাচার নিবারণের প্রকৃষ্ট উপায় মিঃ জিন্ন সংখ্যাগরিষ্ঠদের দ্বারা অত্যাচার চান না, কংগ্রেসওয়ালার চান না, আমরাও চাই না । কোনও অত্যাচারই একদিনের জঙ্কও কাহারও উপর ষাহাতে না হইতে পারে, এমন কোন শাসনপ্রণালী এপর্য্যস্ত আবিষ্কৃত হয় নাই। অত্যাচার না-হওয়া শেষ পৰ্যন্ত নির্ভর করে অত্যাচার বাহাদের দ্বারা হইতে পারে তাহাজের স্বায়বুদ্ধি, মানবিকতা ও মানব-ভ্রাতৃত্ববোধের উপর এবং যাহাদের উপর অত্যাচার হইতে পারে তাহানের অত্যাচার-অসহিষ্ণু