পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఫి839 প্রবাসী సిvరిgg পড়াইয়া দিতেছে, যে, সূর্ধ্যের ভাপ যদি-ব সহ হয়, স্বর্ষ্যের প্রসাদে প্রাপ্ত বালির তাপ বরদাস্ত করা কঠিন। ক্ষেত্র, ক্ষত্রিধৰ্ম্ম ও ক্ষমতা ; জমি ও জোর গ্রীক পুরাণে ধরিত্রীর পুত্ৰ আন্টিয়ুস নামক এক দানবের গল্প আছে । মহাবীর হারকিউলিস তাহাকে মল্লযুদ্ধে পরাস্ত করিতে পারিতেছিলেন না, কারণ যত বার তাহাকে আছাড় দিয়া মাটিতে ফেলিতেছিলেন তত বারই সে মাত মৃত্তিকার ম্পর্শে নুতন বললাভ করিতেছিল । শেষে হারকিউলিস তাহাকে মাটি হইতে তুলিয়া ধরিয়৷ মৃত্তিকার সহিত, সংস্পর্শরহিত অবস্থায় তাহার প্রাণবধ করেন। পঞ্জাবে ও বঙ্গে সাম্প্রদায়িক বিষ বড় প্রদেশগুলির মধ্যে বাংলা ও পঞ্চাবে মুসলমানের সংখ্যাগরিষ্ঠ। উভয় প্রদেশেবই প্রধান মন্ত্রী মুসলমান। পঞ্চাবে প্রবল সম্প্রদায় তিনটি—মুসলমান, হিন্দু, শিখ ; বঙ্গে দুটি-মুসলমান ও হিন্দু। বঙ্গে সাম্প্রদায়িক সমস্যা পঞ্জাবের চেয়ে কঠিন নহে–বোধ হয় অপেক্ষাকৃত সহজ। পঞ্জাবের প্রধান মন্ত্রী অন্যান্ত মন্ত্রীদের ও ভিন্ন ভিন্ন সম্প্রদায়ের নেতাদের সাহায্যে সাম্প্রদায়িক ঝগড়া বিবাদ দূর করিবার চেষ্টা করিতেছেন। বঙ্গের প্রধান মন্ত্রী তাহা করিতেছেন না। সাম্প্রদায়িক ঈর্ষ্যান্বেষকে প্রশ্রয় দেওয়া তাহার অভিপ্রেত না হইতে পারে ; কিন্তু তাহার কোন কোন উক্তি ও কার্ষ্য হইতে উহা প্রশ্রয়, এমন কি উস্কানি, পাইতেছে, ইহা নিশ্চিত । অন্ত মন্ত্রীরা তাহার সহিত একমত কি না জানি না। বিশেষ করিয়া হিন্দু মন্ত্রীদের নিজস্ব ব্যক্তিত্বের - দৃঢ় মতের কোন পরিচয় পাওয়া যাইতেছে না। পরামুগ্রহে ও ভিক্ষা হইতে লব্ধ ক্ষমতায় অনেকে আপাতত: বলীয়ান হইলেও তাঁহাদেরও বুঝা উচিত, ধে, সাম্প্রদায়িক ঈর্ষ্যাম্বেষ হ্রাসে র্তাহাদেরও কল্যাণ, বৃদ্ধিতে র্তাহাদেরও ক্ষতি । বঙ্গে এবং অন্য কোথাও কোথাও পুলিস আগে বঙ্গে বৎসরে একবার দু-বার গবর্ণর কর্তৃক পুলিসের প্রশংসা ঘোষিত হইত। পুলিস বে-আইনী কাজ করিলেও হয় শাস্তি হইত না, নয় গোপনে বিভাগীয় তিরস্কার কিংবা প্রকাশ্যে সামান্ত সাজা হইত। মৃত্তন আইন অনুসারে বাংলায় মন্ত্রিমণ্ডল গঠিত হইবার পর গবর্ণর কর্তৃক পুলিসর গুণগানের পালার এখনও সময় যায় নাই বোধ হয় । কিন্তু পুলিসের কুলোকের বিচারকের দ্বারা নিদিত হইলেও, বেআইনী কাজ করিয়াছে বলিয়া প্রমাণিত হইলেও, আগে যেরূপ ব্যবহার গবন্মেণ্টের নিকট হইতে পাইত এখনও সেইরূপ পাইতেছে । যাহাদিগকে চাকরি হইতে বরখাস্ত; করিয়া অতিরিক্ত আরও কিছু শান্তি দেওয়া উচিত, তাহারা দিব্য আরামে চাকরিতে বহাল আছে । সৰ্ব্বসাধারণের wires; offers (in the public interest) of oil হইতেছে । এই মিথ্য কথাটার মহিমা অপার । পুলিস না হইলে কোন দেশের শাসনকার্য্য চলে না জানি, পুলিস কৰ্ম্মচারীদের মধ্যে সংলোক আছেন তাহাও জানি । কিন্তু, যে-হেতু বেআইনী দুনীতি দমন পুলিসের কাজ, এই জন্য পুলিসের কোন লোক সেই রকম অপরাধে অপরাধী হইলে অন্য ঐক্লপ অপরাধীর চেয়ে তাহার বেশী বই কম শাস্তি হওয়া উচিত নয়, রেহাই পাওয়া ত কোন মতেই উচিত নয় । বঙ্গে পুলিসের সম্বন্ধে সরকারী সাবেক মনোভাব কায়েম আছে । কিন্তু কংগ্রেসী মন্ত্রিমণ্ডল দ্বারা শাসিত প্রদেশগুলিতে পুলিসের কুলোকদের দ্বারা জুলুম অত্যাচার অভদ্রতা নিবারণের চেষ্ট হইতেছে এবং সঙ্গে সঙ্গে তাহাদের ন্যায্য ক্ষমতা ও কাৰ্য্যকারিতা সংরক্ষণেরও চেষ্ট হইতেছে । অন্ত অনেক বিষয়েও বাংলার চেয়ে কংগ্রেস-শাসিত প্রদেশগুঞ্জিতে: দেশহিত সাধনে উদ্যোগিতা অধিক দেথা যাইতেছে । চিনি উৎপাদন ও রপ্তানী-নিয়ন্ত্রণের চুক্তি গত মে মাসে চিনি উৎপাদন ও তাহার রপ্তানী নিয়ন্ত্রণের আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে একটি চুক্তি হয়। তাহাতে, ভারতবর্যের প্রকৃত কোন প্রতিনিধি ছিল না, ভারতগবন্মেন্টের মিঃ মীক নামধারী এক জন ইংরেজ কৰ্ম্মচারীকে ভারতপ্রতিনিধি সাজান হইয়াছিল । চুক্তির একটা কথা এই, যে, ভারতবর্ষ হইতে ব্ৰহ্মদেশ ভিন্ন অন্য কোথাও ভারতীয় চিনি রপ্তানী হইতে পরিবে না । এই চুক্তিটা ভারতীয় ব্যবস্থাপক সভার দ্বারা অনুমোদন করাইবার চেষ্টা ব্যর্থ হইয়াছে । ইংরেজ সদস্যেরাও অনুমোদনের বিরুদ্ধে ভোট দিয়াছিলেন। এখন রাষ্ট্রপরিষদ যদি অনুমোদন করে, তাহ হইলেই ভারত-গবন্মে স্টের মুখ .রক্ষা হয়। ভারতবর্ষে সবাই নিজেদের জিনিষ পাঠাইয়া ধনী হইতে পরিবে, কিন্তু ভারতবর্ষ অন্য দেশে নিজের উন্থত সস্তা জিনিষ রপ্তানী করিতে পারিবে না, ইহা অতি চমৎকার ੇਿ ! ‘’ -