পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S○の প্রবাসী ○\288 বিহারী ও বাঙালী ছাত্রদের প্রতি ব্যবহার মজঃফরপুরের ভূমিহার ব্রাহ্মণ কলেজ সরকারী কলেজ । উহার ছাত্রেরা কলেজে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে। প্রথমে লাইব্রেরিয়ান পরে প্রিন্সিপ্যাল উহা সরাইয়া দেন । একটি ছাত্র উহা দখল করে । প্রিন্সিপ্যাল ( ইনি ভারতীয় মমুন্য ) তাহা কাড়িয়া লন ও ছাত্রটিকে প্রহার করেন । ইহাতে খুব বিক্ষোভ হয়। অনেক ছাত্র প্রায়োপবেশন করে। বিহারের শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ সৈয়দ মামুদ্র অবিলম্বে মজঃফরপুর গিয়া ব্যাপারটি সম্বন্ধে নিজেই অনুসন্ধান করিতে অঙ্গীকার করায় উপবাসী ছাত্রর উপবাস ত্যাগ করে। প্রিস্প্যিাল কংগ্রেস-পতাকাটি ছাত্রদিগকে ফিরাইয়া দিয়াছেন । রাজশাহীর ব্যাপারটা অন্য রকমের । কিন্তু সেখানেও প্রিন্সিপ্যালের হুকুম লইয়া হিন্দু ছাত্রদের মধ্যে বিক্ষোভ দেখা দেয় । বিহার ও বাংলা উভয় প্রদেশেই শিক্ষামন্ত্রী মুসলমান । রূসভেণ্ট কর্তৃক স্বৈর শাসকদের নিন্দ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট সম্প্রতি একটি বক্তৃতায় একাধিপতিদের স্বৈর শাসনপ্রণালীর ( dictatorshipএর ) তীব্র সমালোচনা ও নিন্দ করিয়াছেন, এবং গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক শাসনপ্রণালীর প্রশংসা করিয়াছেন । তিনি স্থায্য কথাই বলিয়াছেন। আমেরিকায় শাসনপ্রণালী গণতান্ত্রিক। ব্রিটেনেরও শাসনপ্রণালী গণতান্ত্রিক । কিন্তু এই উভয় দেশ অন্যত্র গণতান্ত্রিক শাসনপ্রণালীর উচ্ছেদের চেষ্টায় বাধা দিতেছেন না, বা দিতে পারিতেছেন না। জাপান চীনের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রকে গ্রাস করিবার নিমিত্ত যুদ্ধ করিতেছে। কেহ তাহাতে বাধা দিতেছে না, বা বাধা দিতে পারিতেছে না । রামমোহন রায়ের বিরুদ্ধে মোকদ্দমার দলিল । রামমোহন রায়ের জীবনচরিতসমূহে লিখিত আছে, যে, তাহাকে নানাপ্রকার নির্ধাতন সহ কfরতে হইয়াছিল k মিথ্যা কুৎসা প্রচার ত ছিলই, তাহার আত্মীয়েরা ও অন্যেরা তাহার ও র্তাহার পুত্র রাধাপ্রসাদের নামে অনেক মোকদমা করিয়া তাহাকে অপদস্থ ও সৰ্ব্বস্বাস্ত করিতে চেষ্টা করিয়াছিল । কোন কোন প্রকার নির্যাতনে তাৎকালিক অনেক ইংরেজ কৰ্ম্মচারীর যোগ ছিল। তখনকার মিলিটরী সেক্রেটরী কর্ণেল ইয়ং দার্শনিক জেরেমি বেস্থামকে'লিথিয়াছিলেন, যে, এই কৰ্ম্মচারীরা সাজার প্রতি এই কারণে ঈর্ষ্যাম্বিত ছিল, যে, তিনি কাল আদমী হইয়াও "মনের wfeston" (“in the march of mind”) stolদিগকে পশ্চাতে ফেলিয়া গিয়াছিলেন । কর্ণেল ইয়ং লিথিয়াছেন, এই সব মোকদ্দমায় রামমোহন জয়ী হইয়াছিলেন, কিন্তু পরিশ্রম, উদ্বেগ ও ঝঞ্চাটে তাহার স্বাস্থ্য ভাঙিয়া গিয়াছিল । এই সকল মোকদ্দমার আবশ্যকমত দলিল এবং রামমোহনের বৈষয়িক জীবনসম্পৰ্কীয় কতকগুলি কাগজপত্ৰ সংগৃহীত হইয়াছে । আরও সন্ধান লওয়া হইতেছে। কাগজগুলি প্রধানতঃ ইংরেজী । কিছু বাংলাও আছে। তিনটা মোকদ্দমার পারসী রায়ও পাওয়া গিয়াছে । ইংরেজী অনুবাদসহ সেগুলিও প্রকাশিত হইবে। যে বহিতে এই সকল কাগজ একত্র সন্নিবিষ্ট হইবে, তাহার ছাপা অনেক দূর অগ্রসর হইয়াছে। শ্ৰীযুক্ত রমাপ্রসাদ চন্দ মহাশয় ইহার একটি ভূমিকা লিখিবেন । রামমোহন রায়ের গদ্য --> সকল দেশেই গদ্য লিখিত হইবার পূৰ্ব্বে মানুষ গন্তে কথা বলিত। সুতরাং গদ্যের স্বষ্টি কোন দেশে কোন মানুষ করিয়াছে, এরূপ প্রশ্ন নিরর্থক । পুস্তক-রচনায় গদ ব্যবহৃত হইবার পূৰ্ব্বে ব্যক্তিগত চিঠিপত্রে ও আদালতের দলিলে তাহা ব্যবহৃত হইয়া থাকিবার সম্ভাবনা । প্রথম লিখিত বাংলা গদ্য গ্রন্থ কোনটি এবং তাহার রচয়িতা কে, জান গেলেই বাংলা পুস্তক রচনাতে কে আগে গদ্য ব্যবহার করিয়াছিলেন, জান। যাইবে । রামমোহন রায়, বা অন্ত কেহ, যে বাংলা গদ্যের স্থষ্টিকৰ্ত্ত নহেন, তাহা বলাই বাহুল্য। প্রথম বাংলা গদ্য বহিও তিনি লেখেন নাই । তাহা হইলে গদ্যলেখক বলিয়া রামমোহন রায়ের প্রশংসা কি কারণে করা হয় ? বিখ্যাত ইংরেজী লেখক শ্ৰীযুক্ত কাশীপ্রসাদ ঘোষের এতদ্বিষয়ক মন্তব্য হইতে তাহা বুঝা যাইবে । ১৮৩০ সালের ৬ই ফেব্রুয়ারির ‘সমাচার দর্পণ" হইতে এই মন্তব্য উদ্ধৃত হইতেছে । “বাঙ্গল গ্রন্থ ও গ্রন্থকারক । লিটিরেরি গেজেট নামক সস্বাদপত্রের সংপ্ৰতি প্রকাশিত সংখ্যক পত্রে শ্রযুত বাবু কাশীপ্রসাদ ঘোষ বাঙ্গল গ্রন্থ ও গ্রন্থকারকের বিষয়ে এক প্রকরণ মুদ্রাঙ্কিত করিয়াছেন, পাঠকবর্গের উপকারার্থে তাহার স্কুল বিবরণ আমরা তজমা করিয়াছি এবং শ্রীরামপুরের বিষয়ে তাহাতে যাহা প্রস্তাব করিয়াছেন তদ্বিষয়ে আমরা দুই এক বিবেচ্য কথা প্রকাশ করিতেছি । “বাৰু কাশীপ্রসাদ ঘোষ ঐ প্রকরণের আরম্ভে কহুেন ষে পদ্যাপেক্ষ গদ্য রচনায় এতদেশীয় লোকেরদের মনোযোগের অরত। ছিল এবং কেবল গত ত্রিশ বৎসরাবধি বাঙ্গল ভাষায় গদ্যরচনায় গ্রন্থ প্রকাশ হইতেছে। “ কিন্তু তিনি লেখেন ষে ঐরামপুরের