পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাৰ্ত্তিক মিসিনরি সাহেবের। ইহার পূৰ্ব্বে গদ্যরূপে ধৰ্ম্মপুস্তক তরজম করিয়াছিলেন কিন্তু ঐ তরজমা ইংল্পগুীয় ভাষার রীত্যকুযায়ী হওয়াতে এতদ্ধেশীয় লোকেরদের বোধগম্য হইত না । অপর মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার রাজাবলিনামকগ্রন্থ অর্থাৎ ভারতবর্ষের ইতিহাস প্রকাশ করিয়াছিলেন ঐ গ্রন্থ পাঠকবর্গের উত্তমরূপে অবগত থাকিবেন অতএব তদ্বিষয়ক আমারদের কিছু লেখার প্রয়োজন নাই । বাবু কাশীপ্রসাদ ঘোষ ঐ গ্রন্থের শব্দবিন্যাসের নিল করিয়া কহেন ষে তাক নিরাবিল বাঙ্গলা নতে এবং গ্রন্থের বিবরণের বিষয়ে কহেন যে তাহাতে অনেক অমূলক বিষয় লিথিয়াছেন কিন্তু ইহাও কহেন যে এ সকল দোষ সত্ত্বেও ঐ গ্রন্থ অতিশয় উপকারক ও আবশ্লাক । “পরে পুরুষপরীক্ষানামক এক পুস্তক মুদ্রিত হয় তাহার অভিপ্রায় এই যে ইতিহাসের দ্বারা নীতি ও সদাচারের বিষয় বিস্তারিত হয় । ১৮১৫ সালে তল্লামে বিখ্যাত সংস্কৃত পুস্তক হইতে তরজমা করিয়া হরপ্রসাদ রায় নামক পণ্ডিত তাহ প্রকাশ করেন । বাবু কাশীপ্রসাদ ঐ পুস্তকেরও নিমাপূর্বক কহেন যে রাজাবলি তই তেও ইeার কথার বিশ্বাস অপকুষ্ট । “অপর কতেন ষে মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার ও তরপ্রসাদ রায়ের পুস্তক প্রকাশ ইওনের পর যে প্রথম বঙ্গলা ভাষায় নিরাবিল পুস্তক প্রকাশ হয় তাহ রামমোহন রায় কর্তৃক রচিত অনেক ক্ষুদ্র গ্রন্থ দেখা যায় । অনস্তর ফিলিক্স কেরি সাহেব ইংগ্রণ্ড দেশের বিবরণ তরঙ্গম করিয়া প্রকাশ করেন তাঃাতে কাশীপ্রসাদ ঘোষ বিস্তুর দোষে't খ* করিয়াছেন।”-“সংবাদপত্রে সেকালের কথা”, ১ম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ, ৫৯-৬• পৃষ্ঠ । অতএব রামমোহন রায়ের সমসাময়িক শ্রযুক্ত কাশsSS SDDDDD DBB SBBBBB BBDS DK BBBDD রায় প্রথমে লেখেন । শিক্ষাবিষয়ক গবেষণার্থ ইউরোপ যাত্রা শাস্তিনিকেতন কলেজের প্রিন্সিপ্যাল ডক্টর ধীরেন্দ্রমোহন সম ইংলণ্ডর ডার্টিংটন হল ট্রষ্ট ফও হইতে এবটি গবেষণা যেনে শিপ পাইয়া ইউরোপ যাত্রা করিয়াছেন। বৃত্তিটি ও ৪ বৎসরের জন্য। তাহার গবেষণার বিষয় সাধারণ শিক্ষার ক্ষেত্রে বুস্তিশিক্ষণ ও শ্রমশিল্পশিক্ষার স্থান ( Place of Vocational and Industrial Training in General Education ) । তাহাকে সম্ভবতঃ বিছুদিন ডেস্মার্কে ও পাচে ষ্টাইনে থাকিতে হইবে। শিক্ষাক্ষেত্রে এইরূপ গবেষণার প্রয়োজন আছে । শান্তিনিকেতনে হলকর্ষণ ও বৃক্ষরোপণ উৎসব এ বৎসরও শান্তিনিকেতনে, নিকটবর্তী সাঁওতাল গ্রামের শঠ, হলবর্ষণ ও বৃক্ষরোপণ উৎসব হইয়াছিল। রবীন্দ্রনাথ বিবিধ প্রসঙ্গ-অর্ণগুণমান জেলে-বন্দীদের পুনরানয়নের কথা st'S স্বয়ং উস্থিত ছিলেন। সাওতাল পুরুষ ও নারীরা ইহাতে সানন্দে যোগ দিয়াছিল । সভ্যতার প্রায় আদিম স্তরের মানুষের সহিত সংস্কৃতির উচ্চতম শিখরে উপনীত কবির মিলন জগতে অপুৰ্ব্ব । গান্ধী জয়ন্তী ভারতবর্ষে রাষ্ট্রনীতিক্ষেত্রে বর্তমান সময়ে মহাত্মা গান্ধী যাহা করিয়াছেন, আর কাহারও কাজের সহিত তাহার তুলনা হয় না। সাহসের সহিত হিংসার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ও যোগ ইতিহাসপ্রথিত । অহিংস সাহস যে হইতে পারে এবং কিরূপ হইতে পারে, মহাত্মা গান্ধী বৰ্ত্তমান সময়ে তাহার একটি চুড়ান্ত দৃষ্টান্তস্থল। ভিক্ষা ব্যতিরেকে রাষ্ট্রীয় অধিকার ও পূর্ণ স্বাধীনতা লাভের একটি উপায় নির্দেশ করিয়া এবং স্বয়ং তাহা অবলম্বন করিয়া তিনি পরাধীন ভারতীয় জাতির আত্মসম্মানবোধ জাগাইয়া দিয়াছেন। অস্পৃশু ও অনাচরণীয় বলিয়া ভ্রান্ত ধারণ বশতঃ যাহাদিগকে হীন করিয়া রাখা হইয়াছে এবং যাহাদের নিজেদের সম্বন্ধে নিজেদের ধারণাও হীন, গান্ধীজী তাহাদিগকে মনুষোচিত মধ্যাদা দিবার জন্য বর্তমান সময়ে সৰ্ব্বাপেক্ষা অধিক শক্তি প্রয়োগ ও প্রভাব বিস্তার করিয়াছেন । রাষ্ট্রনীতি ক্ষেত্রেও তিনি সত্য কথন ও সত্য আচরণের সমর্থন করিয়া এবং তদ্বিষয়ে স্বয়ং যথাসাধ্য দৃষ্টাস্ত দেখাইয়ী ভারতবর্ষের ও জগতের হিত করিয়াছেন । তাহার জন্মদিন' আগতপ্রায় । এই সময়ে তাহার প্রতি শ্রদ্ধা ও প্রীতি প্রদর্শন এবং র্তাহার বাঞ্ছিত কাৰ্য সম্পাদন তাহার অনুরাগী সকল ব্যক্তির কর্তব্য । • আণ্ডামান জেলে-বন্দীদের পুনরানয়নের কথা আণ্ডামানে বঙ্গের যে-সব বন্দী তথাকার জেলে আবদ্ধ থাকে, তাহাদিগকে দেশে আনিবার কথা গবন্মেণ্ট পক্ষ ব্যবস্থাপক সভার কয়েক জন সদস্যের সহিত আলোচনা করিয়াছেন । স্বরাষ্ট্রসচিব বলিয়াছেন, তাহাদিগকে দেশে ফিরাইয়া আনা স্থির হইয়াছে । তাহারা জেলের নিয়মভঙ্গাদি করিলে তাহাদিগকে নির্জন কক্ষে একা রাখা আবশ্বক হইবে। যথেষ্টসংখ্যক নির্জন কক্ষ এখন নাই, ৪৫ মাসে তাহার ব্যবস্থা হইয়া যাইবে । তথন সকলকেই আন চলিবে । বন্দীদিগকে তাহা হইলে দেশে খুব মুখে রাখিবার প্রলোভন দেখান হইতেছে ! যাহন হউক, নির্জন কক্ষের বিভীষিকা সত্বেও তুাহাদের-দেশে প্রত্যাগমন বাঞ্ছনীয়। তাহার দেশে ত ফিরিয়া আসিবে। তাহদের মুক্তির ও প্রায়োপবেশকদের অন্যান্য দাবীর কি হইল ?