পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অগ্রহায়ণ অরণ্যক $°బ్రి এক দিন অৰ্দ্ধগুস্ক কাশের বনের ধারে টেবিল-চেয়ার পাতিয়া কাজ করিতেছি, মুনেশ্বর সিং সিপাহী জাসিয়া বলিল—হজুর, নন্দলাল ওঝ। সোনাওয়াল আপনার সঙ্গে দেখা করতে এসেছে । - একটু পরে প্রায় পঞ্চায় বছরের একটি বুদ্ধ ব্যক্তি আমার সামনে আসিয়া সেলাম করিল ও আমার নির্দেশমত একটা টুলের উপর বসিল । বসিয়াই সে একটি পশমের থলে বাহির করিল। তাহার পর থলেটির ভিতর হইতে খুব ছোট একখানি জাতি ও দুষ্টটি স্বপরি বাহির করিয়া সুপারি কাটিতে আরম্ভ করিল। পরে কাটা স্বপারি হাতে রাখিয় দুই হাত একত্র করিয়া আমার সামনে মেলিয়া ধরিয়া সসম্বমে বলিল—মুপারি লিজিয়ে হুজুর। স্ব পারি ও-ভাবে খাওয়া অভ্যাস না-থাকিলেও ভদ্রভার থাত্তিরে লইলাম। জিজ্ঞাসা করিলাম—কোথা হইতে আসা হচ্ছে, কি কাজ ? তাহার উত্তরে লোকটি বলিল, তাহার নাম নন্দলাল ওঝা, মৈথিল ব্রাহ্মণ। জঙ্গলের উত্তর-পূৰ্ব্ব-কোণে কাছারি হইতে প্রায় এগার মাইল দূরে স্বংঠিয়া দিয়ারাতে তার বাড়ী। বাড়ীতে চাষবাস আছে, কিছু স্বদের কারবারও আছে—সে আসিয়াছে তার বাড়ীতে আগামী পূর্ণিমার দিন আমায়ু নিমন্ত্ৰণ করিতে—আমি কি তাহার বাড়ীতে দয়া করিয়া পদধূলি দিতে রাজী আছি ! এ সৌভাগ্য কি ऑशाब्र श्इंtद ? এগার মাইল দূরে এই গ্রীষ্মে রৌদ্রে নিমন্ত্রণ খাইতে ধাইবার লোভ আমার ছিল না—কিন্তু মন্দলাল ওঝা নিতান্ত পীড়াপীড়ি করিতে অগত্য রাজী হইলাম—তা ছাড়া এদেশে গৃহস্থ-সংসার সম্বন্ধে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করিবার লোভও সম্বরণ করিতে পারিলাম না। পূর্ণিমার দিন দুপুরের পরে দীর্ঘ কাশের জঙ্গলের মধ্য দিয়া কাহাদের একটি হাতী আসিতেছে দেখা গেল। হাতী কাছারীতে আসিলে মাছতের মুখে শুনিলাম হাতীটি নন্দলাল *२ाघ्र निtछब्र-उधाभारक लङ्केब्र! माझेtड *ाठेrई प्र! भिघ्नाrछ् । ইতিী পাঠাইবার আবগুক ছিল না—কারণ আমার নিজের মােড়া অপেক্ষাকৃত অল্প সময়ে পৌষ্টিতে পারিতাম।. বাহাই হউক, হাতীতে চড়িয়াই নন্দলালের বাড়ীতে রওনা হইলাম। সবুজ বনশীৰ্ষ আমার পায়ের তলায়, আকাশ যেন আমার মাথায় ঠেকিয়াছে—দুখ, দুর দিগন্তের নীল শৈলমালার রেখা বনভূমিকে ঘিরিয়া যেন মায়ালোক রচনা করিয়াছে—আমি সে-মায়ালোকের অধিবাসী—বহু দূর স্বর্গের দেবতা। কত মেঘের তলায় তলায় পৃথিবীর কত গুrমল বনভূমির উপরকার নীল বায়ুমণ্ডল ভেদ করিয়া যেন আমায় অদৃগু যাতায়াত। পথে চামটার বিল পড়িল, শীতের শেষেও সিরী আর লাল ইসের ঝাকে ভৰ্ত্তি । আর একটু গরম পড়িলেই উড়িয়া পলাইবে । মাঝে মাঝে নিতান্ত দরিদ্র পল্পী । ফণীমনসা ঘেরা তামাকের ক্ষেত ও খোলায় ছাওয়া দীন কুটীর । মৃংঠিয়া গ্রামে হাতী ঢুকিলে দেখা গেল পথের ভূ-ধারে সারবন্দী লোক দাড়াইয়া আছে আমার অভ্যর্থনা করিবার জন্ত । গ্রামে ঢুকিয় অল্প দূর পরেই নন্দলালের বাড়ী। খোলায় ছাওয়া মাটির ঘর আট-দশ খান।—সবই পৃথক পৃথক প্রকাগু উঠানের মধ্যে ইতস্তত্ত: ছড়ানো। আমি बाफ़ौtड क्रिडई ३३ बाअ इ2ा९ दमूकब्र आeबाण ईश्न। চমকাইয়া গিয়াfছ—এমন সময়ে সহাস্তমুখে নন্দলাল ওঝা আসিয়ু আমার অভ্যর্থনা করিয়া বাড়ীতে লইয়ু গিয়া একটা বড় ঘরের দাওয়ায় চেয়ারে বসাইল । চেয়ারখানি এদেশের শিশুকাঠে তৈয়ারী এবং এদেশের গ্রাম মিস্ত্রীর হাতেই গড়া। তাহার পর দশ-এগারে বছরের একটি ছোট মেঘ্নে আসিয়৷ আমার সামনে একখান খাল ধরিল—খালায় গোটাকত্তক আপ্ত পান, জাস্ত স্বপারি, একটা মধুপর্কের মত ছোট বাটিতে সামান্ত একটু আতর, কয়েকটি শুষ্ক থেজুর, ইহা লষ্টয়া fক করিতে হয় আমার জানা নাই—আমি আনাড়ির মত হাসিলাম ও বাটি হইতে আঙ্গুলের আগায় একটু আতর তুলিয়া লইলাম মাত্র। মেয়েটিকে দু-একটি ভদ্র ভাস্থচক মিষ্ট কথাও বলিলাম । মেয়েটি থালা আমার সামনে রাখিয়া চলিয়া গেল । তার পর খাওয়ানোর ব্যবস্থা । নন্দলাল ষে ঘটা করিয়া খাওয়াইবার ব্যবস্থা করিয়াছে তাঙ্গ আমার ধারণা ছিল না। প্রকাও কাঠের পিড়ির আসন পাতা—সম্মুখে এমন আকারের একখানি পিতলের থালা আসিল যাহাতে করিয়া