পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পথচলা ঐসুশীলকুমার দে এতদিনে বুঝি পথচলা মোর হ’ল শেষ কণ্ঠে আমার ছিল অবনীর মণিহার, ফিরি’ তব পথে, বিফল বিপথে ঘুরি’ ; হ’ল বুকে জাল যৌবন-জয়মালা ; ভাসে আশে-পাশে দূরের স্বরের কলরেশ, কাটে না ত দিন, শুধু দিন গণি অনিবার হারানো পুরানো স্থখ আসে বুক জুড়ি । • সকালে বিকালে সাজায়ে বরণডালা । পুরাতন পথে নূতন পথের অবসান, আজ বুঝি তাই ছুয়ে গেল তব পদতল প্রদোষের রাগে জাগিল প্রাতের প্রীতি ; গহন-গমনে মগ্ন মনের বেদী ; পুরাতন গান হয়ে গেল যেন নব গান, দুখের অতলে উদিল মুখের শতদল বিকশিত হ’ল স্মৃতিরসে বিস্মৃতি । আলোকে অমল, আঁধারের বাধা ভেদি । গানের সঙ্গে এনেছি প্রাণের প্রীতি-ভাষ,— বহুদিন পরে হেরিস্থ সে-রূপ বরাভয়— ফিরাক সকলে, তুমি ফিরায়ে না আঁখি ; শ্রাস্তির শেষ ভ্রাস্তির অভিশাপে ; আঁধারে মিলাক অঁাধার-দিনের ইতিহাস,— নিজ আঁখিজলে মুছিলে নিজের পরাজয় হয় নি ত শেষ, সকলি রয়েছে বাকি । দহি মোর পাপ নিজের তপের তাপে । ঘরে ছিল যাহা, পখে খুজি তাহা সারাদিন,– হরের নয়ন মোহে কি স্মরের শরাসন ? হারায় নি কিছু, সঞ্চিত ছিল সবি ; . সতী বুঝি জাজ গৌরীর রূপে জাগে ; চোখের হাসিটি দেখি নি চোখের ধারালীন, দিগম্বরের শ্মশানে ধেয়ানে ভরা মন, ছায়ার আড়ালে দেখি নি ছায়ার রবি । বিষ-নীল মাখি নির্মীল নুতন রাগে ! তোমা’ পানে আমি ছিন্থ দিনস্বামী উদাসীন, ওগো বিমানিতা, পরাজয় মাঝে করি জয়, আপনার ভুলে ভুলিয়া সকলহারা ; so দেহ-অস্তরে নূতন দেহটি ধরি, আপন মনের মোহের মাধুরী-স্বধ-লীন, দিলে অভিনব এ কি আজ তব পরিচয়,— ছিল না আগল, ছুটেছি পাগলপারা। জাগিল আতন্থ তন্থর গরিমা ভরি’ ! আপনার মাঝে রচি আপনার কারাগার গরলের জালা ধরিয়া, তবুও ধরি’ প্রাণ সাগর-স্বপ্ন বৃথা গোম্পদে গড়ি’ ; - নিঃশ্বের ক্ষুধা বিশ্বের স্থধা মাগে ; জানি না আড়ালে দাড়ীয়ে ছয়াচর পারাবার জাজ বুঝি তার নাহি পিপাসার পরিমাণ,— পাষাণ-সোপানে খসিছে আছাড়ি পড়ি !" 鹦 তাপসী প্রিয়ার মাখিটি আঁখিতে লাগে।