পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাকের ফুল স্ত্রীজীবনময় রায় সেদিন চায়ের আসর তেমন করিয়া জমিতেছিল না । বৃষ্টির আর যেন বিরাম নাই। প্রধান অtডডাধারী সমর-দা আড় শ্লষ্টয়া পড়িয়া একখান দৈনিক খবরের কাগজ লইয়া বিজ্ঞাপন পড়িতেছিলেন । হেবো না আসিলে তাহার খোয়াড়ী ভাঙ্গে না । পতিতপাবন একটার পর একটা বিড়ি ধরাইয়া ম্বরটাকে দুৰ্গন্ধময় করিয়া তুলিয়াছে। বসাক বলিল, “বাব, থাবে ত একেবারে গাজা খেলেই পার ? তার তবু নিজস্ব একটা ক্যারেক্টার আছে।” পতিতপাবন সিগারেট খায় না। বলিল, “দেশের দুটো গরীব লোক এর থেকে অন্নবস্ত্রের অভাব মোচন করে, তা বুঝি সহ হয় না ? এই বিড়ির কল্যাণে কত চোর-ছ্যাচড়ের হাত থেকে আজ বেঁচেছ তার খেয়াল আছে ? এরা যদি fবড়ি না পাকাত, ত, এরাই তোমার পকেট মারত অভাবে ’ড়ে । তথন বদমায়েস ব'লে তোমরাক্ট আবার এদের জেলে পুরতে।" বলিয়া গরীবের কল্যাণার্থই বোধ করি ধন ঘন বিড়িতে টান দিতে লাগিল । বসাক ঝাজিয়া উঠিয়া বলিল, “বিয, বিষ, একেবারে সেকো। পকেট মারলে তৰু দুটো পয়সার উপর দিয়ে গেল ! এ একেবারে প্রাণে মারা । ফাসি দেওয়া উচিত সব বিড়িওয়ালাদের ধরে, আর তাদের সঙ্গে তোমাদেরও— যারা বিড়িখোর । অধঃপাতে দিলে জাতটাকে স্বাস্থ্যনশি, অর্থনাশ,—প্রাণনাশ...” “দাড়াও, উত্তেজিত হয়ে না। কাগজের ধোয়া খোটের পক্ষে সৰ্ব্বনাশ। এত থাইসিস্ কেন বেড়ে গেছে জান ? তব কাগজের ধোয়ায়—সিগারেট ! সৰ্ব্বনাশ করলে এই সিগারেট, দেশের লোককে ডি-গ্রাশঙ্গালাইজড করে তুললে । বিড়িতে স্বদেশীর অগ্নিদীক্ষা । বিড়িতে *মিউনিজম, বিড়িতে হিন্দু-মোসলেম ইউনিট। আবদুল্লার পীিমার্ক বিড়ি দেখেছ —জাতীয় কংগ্রেসের চেয়েও ويصصصوا جة ' ওঙ্গের । দেশকে তা একতা-স্বত্রে বেঁধেছে। এক দিকে গান্ধীমার্ক ধোয়া মোছলমানে টানছে আবার আবদুল্লার ছোয়া হিন্দুতে টানছে । জাতীয় পতাকায় চরকার চেয়ে বিড়ির দাবী অনেক বেশী ... “থাক থাক, বিড়ি খেতে দেখলেই মনে হয় লোকট। কুচক্রী, ধূৰ্ত্ত, বত্তির বাসিন্দা। স্নাম্কোয়াটাসের ছাপ মারা বিড়িখোরদের মুখে •••• *్క “সাবধান ; তোমার বুর্জোয়া নাকটা বঁচিয়ে কথা বল। ঐ বস্তির পক্ষ চিরে আজ লাল শালুকটি হয়ে ফুটেছ । এখনও ওসব চাল মারা ছাড় । নইলে, হেঁ হেঁ রবিঠাকুরের কবিতা পড়েছ ? সেই নিয়ে নেমে এসে নছিলে নাহিরে পরিত্রাণ অপমানে হতে হবে পঙ্ক মাঝে সবার সমান ।” সমর-দা ধড়মড় করিয়া উঠিয়া বসিলেন। বলিলেন, “তোমরা মারামারি ক’রে মরছ । কিন্তু সত্যি বল ত পতিত, ঐ এক নামটা ছাড়া তোমার ঐ বস্তির সঙ্গে কোন পরিচয় আছে কি না 7 ঘরে বসে ইংরেজী বইয়ের দু-ছত্র পড়ে তোমরা ওদের যেমন ক’রে কল্পনা কর তার সঙ্গে বস্তির বাস্তব জীবনের কিছুই মিল নেই জেনে । তোমাদের এথিকস, ইকনমিক্স, সোঙ্গল সায়ান্স, সিভিকস্-এর ওরা কিছুমাত্র ধার ধারে না। সম্পূর্ণ একটা আলাদা জগৎই দুটো বিড়ি কিনে যাদের কৃতাৰ্থ করছ, তারাও গরীব, কিন্তু এদের খুব কম লোকই বপ্তির বাসিন্দা। ওদের অবস্থান, ওদের সমাজ, ওদের জীবন, সে একটা অভিনব জগৎ । এই ধনৈশ্বৰ্য্যপূর্ণ, মডার্ণ কমফর্টস্-এর প্রদর্শনী কলকাতার শহরের মনুষ্যলোক থেকে মানবদেহ ধারণ ক'রে ওরা একেবারে স্বতন্ত্র জীব। এক ড্রেনের ধেড়ে ইদুরদের জীবপ্ল-ব্যাপারের সঙ্গে মেলে ওদের কতকট। তৰু ইছরেরাও বুঝি এত দুঃস্থ নয়। কারণ, উদ্বৃত্ত পৰ্যাপ্তের ,