পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আগ্রহণয়ণ বাবার সহিত ঝগড়া করিয়া তখন সেকেও ইয়ারেই মেডিকেল কলেজের পড়ায় ইস্তফা দিয়াছি। টাকার টানে বই ক’খানা বেচিয়া কিছু নগদ টাকা হাতে পাইলাম কিন্তু সে-টাকায় বেশী দিন চলিল না। টাকা বাড়াইবার রাস্ত জানি না, অথচ টাকা উড়াইবার রাস্তা মূখন অভ্যস্ত তখন টাকা যে বেশী দিন টিকিবে না, তাহাতে আর আশ্চৰ্য্য কি ! মেসের ঘরট ছাড়িয়া দিলাম। কোথায় মাখা গুজিব জানা নাই। দিনের বেলা তেলে-ভাজা বেগুনী খাইয়া পেট ভরিয়! জল থাইতাম । বাছিয়া বাছিয়া যে-দোকানে একেবারে আঠার মত আলকাতরার মত তেল সেখান হইতে বেগুনী fকনিতাম । সে-তেল হজম করিতে সমস্ত দিন কাটিয়া যাইত । ক্রমে বেগুনী কিনিবার পয়সাও ফুরাইয়। আসিল । কাপড়-জাম বেচিতে লাগিলাম। দেখিলাম, ইfহার অtয়ও অক্ষয় নয়। শেষে একদিন না-থাইয়া ঘুরিতে খুfরতে ময়দানে এক গাছতলায় বেঞ্চে ক্লাস্ত হইয়া শুইয়া পড়িলাম। উঠিয়া লেপি সন্ধ্যা হইয়াছে। চৌরঙ্গীর মালোগুলা জলিতেছে যেন দৈত্যপুরীর মশালের মত । মাথার মধ্যে যেন হাতুড়ি পিটিতেছে। পেটের মধ্যে গাড়িষ্টুড়িগুলা ব্যথায়ু ছেড়াছড়ি করিতেছে । উঠিয়া বমিতেই গা পাক দিয়া এক ঝলক বমি হইয়া গেল। বমি ইহঁতে কতকটা সুস্থ বোধ করিলাম । সাকুলার রোডের কাছাকাছি ধৰ্ম্মতলার ফুটপাথে একটা বারান্দার তলায় ক'দিন রাত কাটাইয়াছি। জায়গাট কয়েক দিনে দুর্দিনের পরিচিত বন্ধুর মত একটা আশ্রয় হইয়াছিল। কোথায় দুগ্ধফেননিভ কোমল বিছানা আর কোথায় কলিকাতার ধূলি-মলিন ফুটপাথ । ধ্যাকুল হইয় পা ছুটাইলাম। কিন্তু পা আর চলিতে টায় না । তা ছাড়া পেটের যন্ত্রণাটাও পদে পদে অসন্থ হইয়া উঠতেছে। কোনও রকমে ওয়েলিংটনের মোড়টা পার হইলাম ; কিন্তু আর চলিল না। পেটে বেমওক। একটা মেচিড় খাইয়া মাথা ঘুরিয়া বসিয়া পড়িলাম। একবার ক্ষীণ একটা চেতনায় যেন মনে হইল পরণের কাপড়টা নোংরা হইয় ***ों } डfब्र श्रृंद्र यांद्र खांम मांझे । পাকের ফুল किरू श्झेरल कि श्ञ, अमभरघ्न डांशंब्रझे अछ । SoNరి যখন জ্ঞান হইল তখন অবাক হইয়া চারি দিকে চাহিতে লাগিলাম। কিছু যেন বুঝিয়া উঠিতে পারিলাম না। কিসের একটা তীব্র দুর্গন্ধ নাকে প্রবেশ করিতেছিল। ভাল করিয়া চাহিয়া দেখি একটা স্যাংসেতে খোলার ঘরের এক কোণে একটা ছেড়া মাছুরে পড়িয়া আছি। গন্ধটা এত তীব্র যে আমি হাত দিয়া নাক ঢাকিয় উঠবার চেষ্টা করিলাম । সাধ্য কি ! সমস্ত শরীর ষেন টুকরা টুকরা হইয়া চূর্ণ হইয়া গিয়াছে । এমন সময় ঘরের ভিতর একটি মেয়ে প্রবেশ করিল । পরণে তুহার মাত্র ছিন্ন একটি ঠোট । তাহাতে লজ্জা নিবারণ হয় এই অর্থে ধে লজ্জাকে লজ্জিত করিয়া বিদায় দেওয়া হইয়াছে। লজ্জিত হইয়াই অন্য দিকে মুখ ফিরাইলাম। মেন্থেটি কিন্তু কিছুমাত্র সঙ্কোচ করিল না। বলিল, “এই যে গে, বাৰু চোখ মেলেছ। কি বঁাচনটাই বেঁচেছ ।" তাড়াতাড়ি উঠতে চেষ্টা করিলাম। মেয়েটি অসঙ্কোচে ধরিয়া আমাকে শোয়াইয়া দিয়া বলিল, “উঠে না, উঠে না । আবার ভাৰ্ম্মি যাবে। খুব ক্ষিদে পেয়েছে, নয় । আনছি গো একটু পালো গরম কবে ।" বলিয়া দ্রুতপদে চলিয়া গেল । মেয়েটির বয়স বেশী নয়, ছাব্বিশ, সাতাশ হইবে । যৌবনের ভগ্নাবশেষ এখনও সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হয় নাই। ছিপছিপে দীর্ঘ দেহ–সাবলীল স্বচ্ছন্দ। ভাবিতে লাগিলাম স্বপ্ন দেখিতেছি না ত ? এ কোথায় আসিলাম ? স্বপ্ন ষে নয় তাহা ঐ দুর্গন্ধই জানাইয়া দিতেছে। পচা নর্দমার ময়লাপচা দুৰ্গন্ধ । পিসীমার বাড়ী যাইতে একটা বস্তির ভিতর দিয়া শর্টকাট করিতে হুইত—এ গন্ধ আমার একেবারে অপরিচিত ছিল না। চারি দিকে চাহিয়া দেখিলাম ; হইতে পারে। ভাঙা খোলার ঘর, এক কোণে র্কাথা মাদুর জড়ানো আর একটা নোংর বিছানা রহিয়াছে। বাহির হইতে কাংস্ত-কণ্ঠে একটা কলহের কোলাহল আকাশ ফাড়িয়া ক্ষেপিয়া উঠিল । এখনি একটা খুন হইয়া যাইবে নিশ্চয়। ভারি অস্বস্তি বোধ হইতে লাগিল । উঠিয়া পলায়ন করি, তাহারও ক্ষমতা নাই। তাই নিরুপায় হইয়া কান পাতিয়া পড়িয়া রহিলাম । হঠায় শুনিলাম, কে নারীকণ্ঠে ভাৰিতেছে,"ও সদ্ধ বলি, জাছিস্ লা ?”