পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অগ্রহণয়ণ আসতে সে সময়। বহুকাল ত এ-মুখো হয় নি। মিমু যখন আমাদের কাছে রয়েছে তখন একেবারে সম্পর্ক তুলে দেওয়া ভাল দেখায় না ” তাহার স্ত্রী বলিলেন, “হ্যা, তার গিন্নি আসতে দিলে श्राद्र कि ? शां मञ्जॉल !* মল্পিক-মহাশয় বলিলেন, “লিখে ত দিলাম। তার পর ন। আসতে পারে, আমিই মিঠুকে নিয়ে একদিনের জন্তে যাব।” মুণাল বলিল, “সেই ভাল, দেখি নি ।” মামীম আবীর রান্নাঘরে গিয়া ঢোকাতে, সেও তাহার fপছন পিছন চলিল। রান্না শেখার সখ তাহার অসাধারণ, কিন্তু এই ছুটির দিন-কয়টি ভিন্ন অন্য কোনও সময়ে শিখিবার সুবিধা নাই। সাদাসিধা রান্না প্রায় সবই সে শিখিয়াছে, তবে মামীমার রান্নার স্বাদ যেমন, তেমনটি তাহার হাতে কিছুতেই হয় না । ইহা লইয়া দুঃখ করিলে তিনি বলেন, "আমি দশ বছর বয়সে হাত-বেড়ি ধরেছি রে, আর বুড়ী হতে চললাম, চুলে পাক ধ’রে গেল। আমার রায় যেমন ং’বে, তেীরও এই ক'দিন ক’রেই তেমন হবে ? তাহলে আর ভাবনা ছিল কি ?” অনেক দিন বাবাকে kr মুণালের মামার বাড়ীতে পূজা হয় না বটে, তাই বলিয়া পূজার আনন্দ তাহারী কিছু কম উপভোগ করে না । গ্রামের জমিদার গ্রামেই বাস করেন, র্তাহীদের বাড়ীতে খুব ধুমধাম করিয়াই পূজা হয়। আর একটি বারোয়ারী পূজাও হয় । এক ঘর সাহা মহাজন আছে গ্রামে, তাহারাই এই দ্বিতীয় পূজাটির কর্ণধার হয়। গ্রামের অধিকাংশ লোকই ইহাতে সাধ্যমত চাদা দেয়। জমিদার গ্রামে বাস করায়, এ গ্রামখানির বেশ ঐ আছে। এখানে স্কুল আছে দুইটা, একটা ছেলেদের মিডল ইংলিশ স্কুল, আর একটি পাঠশালা, ইহার আবার দুইটা বিভাগ। একটিতে বালিকারা পড়ে, আর-একটিতে বলিকরা । ইহার জন্য ষােহ ব্যয় হয় তাহা জমিদার মহাশয়ই বহন করেন। এখানে ছোটখাট একটি বাঙ্গারও মাটীৱ ৰাসা ఫిసె4 অাছে, অবশু তরিতরকারি, মাছ-মাংসের জন্তু সাপ্তাহিক হাটের উপরই বেশীর ভাগ নির্ভর কfরতে হয়। হাসপাতালও আছে একটি চলনসই গোছের। এখানকার রাস্তাঘাটের অবস্থা মোটের উপর আশেপাশের গ্রামের চেয়ে ভাল। পুকুরগুলিও মধ্যে মধ্যে পরিষ্কার হয় এবং জমিদার-বাড়ীর সীমানার মধ্যে গোটা-দুই টিউব-ওয়েল থাকাতে মহামারীর প্রকোপ এখানে অনেকটা কম। গ্রামে একটি কাপড়ের দোকান আছে। গ্রামেরই এক ভদ্রলোক ইহা খুলিয়াছেন, ইহার সাহায্যেই তাহার সংসার চলে। প্রায়ই কলিকাতায় যান বলিয়া নানারকম কাপড় র্তাহার কাছে সৰ্ব্বদাই মজুত থাকে, মণিহারী বিভাগও তাহার একটি আছে । তাহা ভিন্ন গ্রামের যে-কেহ যাহা কিছু ফরমাস করে তাহা তিনি কলিকাতা হইতে কিনিয়া আনেন, রেলভাড়া হিসাবে সামান্য কিছু পারিশ্রমিক লন । ইলিশ মাছ হইতে কবিতার বই পর্যন্ত নানারকম ফরমাশই র্তাহার কাছে আসিয়া জুটে। পূজার দিন-পনর আগে কলিকাতায় গিয়া সন্ত অথচ নম্নরঞ্জন অনেক রকম শাড়ী, জাম, ধুতি তিনি কিনিয়া আনেন। পূজার সময় তাহার বিক্ৰী বেশ ভালই হয়, জমিদার বাবুরা বাদে আর সকলেই প্রায় এই দোকামে কাপড় কিনিতে আসে। জমিদারগৃহিণী কলিকাতার মেয়ে, তিনি স্বপ্নং দিন-দুইয়ের জন্য কলিকাতায় গিয়া পূজার বাজার করিয়া আনেন। তবে ঝি-চাকরের জন্ত অনেক সময় এই দোকান হইতেই কাপড় কেনেন । মল্পিক-মহাশয় ধনী মাম্য নহেন, তবে অবস্থা তাহার কিছু অসচ্ছল নয়। র্তাহার গৃহিণী ও হিসাবী মানুষ বলিয়া সংসারে কখনও অকুলান হয় না। মেয়েরা কেহ এখনও বিবাহযোগ্য হয় নাই, কাজেই বাপমায়ের মেরুদণ্ড এখনও ভাঙিয়া পড়ে নাই । পূজার সময় সকলেই কাপড় পায়। ঝি, নাপতিনী, মেথরাণী, কেহই বঞ্চিত হয় না। এখানে বাড়ীর মেয়েদের .দোকানে যাওয়ার প্রথা এখনও চলন হয় নাই, কাজেই মল্পিক মহাশয়কেই প্রায় সমস্ত দোকানটাকে কাধে করিয়া ঘরে বহিয়া জানিতে হয়। গৃহিণী বলেন তাহার কৰ্ত্তার মোটে পছন্দ নাই, ছেলেমেয়েদেরও সেই মত। সুতরাং কৰ্ত্ত এক