পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২২২৩ প্যালেষ্টাইনের কর্তৃপক্ষের মর্জি অনুসারে তারা ইস্পীরিয়াল নীতির অনুসরণ করবে সে-ভয় নেই—ঠেকে শিখেছে তারা । যুরোপীয় বুদ্ধির মারপ্যাচে তারা অভ্যস্ত। তার পর হচ্ছে আরবের চেয়ে দেশে জুদের সংখ্যাবৃদ্ধির প্রসঙ্গ । এ-কথা মনে রাখতে হবে, সমস্ত প্যালেষ্টাইন ট্রান্সজর্ডানিয়ার ভূখণ্ড করায়ত্ত হ’লেও ইহুদীর সমস্ত ঘূচত না—সমস্ত ইহুদী জাতিকে যfদ ঘর বঁtধতে হয় তাহলে দেশ চাই অক্ষত্র এবং অনেক বেশী। ট্রপিক্যাল প্যালেষ্টাইন বা মধ্য-এশিয়ায় বাস করাও অধিকাংশ ইহুদীর পক্ষেই অসাধ্য। আসবেও না তারা, যাই বলুক জায়োনিজম্। নাৎসী অত্যাচারের ফলে অনেকে ভেসে আসছে, তবু এরই মধ্যে ভাঙন ধরেছে, প্যালেষ্টাইন ছেড়ে গেছে এমন পরিবারের বাৰ্ত্ত গোপন থাকে নি। ঐ দেশে চিরদিন থাকা বা জায়োনিজম গ্রহণ করা মোটেই সবার অভিপ্রেত নয়। প্যালেষ্টাইনে ইহুদীরাজ্য (Jewish State) স্থাপন করার অর্থ ষাকে বলে “সিম্বলিক অকুপেশন”—স্বাধীন অস্তিত্বের প্রতীক হিসাবেই ওরা সলোমন-মোজেসের দেশে নূতন করে আত্মপরিচয় দেবে। জাতীয় গৌরব প্রচার করতে চায় শুধু অভিমান আস্ফালন সাম্প্রদায়িকতা বিস্তার ক’রে নয়, উজ্জল মনের স্বত-উৎসারিত স্বষ্টিকাজে। তাদের আঙুরের ক্ষেত চোখ জুড়োয় মরুর বুকে স্বপ্নের সবুজ দুলিয়ে, ভোব-জঙ্গলে সনাতন ভিটে ছিল মশামাছি-ম্যালেরিয়ার, কল্যাণের মন্দির জাগল শিক্ষায়তনে, মানুষের ধোগ্য বিধিব্যবস্থায় । ইংরেজরা উচ্চ হতে অবজ্ঞাকৌতুকে চেয়ে দেখেছিল ; আরবের ভেবেছিল যুরোপ থেকে এসেছে বাছাই-করা উন্মাদের দল, আগুনের দামে তার কাফেরকে জিনসমতানের জলাজমি মরুভূমি বেচে দিয়েছে । আলাদিনের কাণ্ড ঘটল ; ভূষণ্ডীর মাঠে জাগল ইহলোকের সৌধ ••• দেখাদেখি সংস্কার-ভাঙা আরব-পঙ্গীতেও জাগুক কমলালেবুর বাগানে-ঘের আরোগ্যভবন, শিশুশিক্ষালয়, ছেলেমেয়ের একত্রশিক্ষা, আনন-আয়োজনের বিচিত্র অনুষ্ঠান। টেল-আভিভের মেয়র রোকাকু এবং তার সুযোগ্য সহকৰ্ম্মী নেভির সঙ্গে কথা হয়েছিল ; শ্রমিকনেতা লকার দ্ব-চার জনকে ভেকেছিলেন আলোচনার স্বরে—আরব জনসাধারণের মঙ্গল-চেষ্টায় এরা অনুপ্রাণিত এ-বিষয়ে সন্দেহ নেই। প্রবাসী సిరితిa ইহুদী-সভ্যতার আত্মরক্ষার জন্তেই প্যালেষ্টাইনে তার আরবের সাহচৰ্য্য পেতে উৎক্ষক হয়ে আছেন। জেরুজালেম, ১৫ই জুলাই cयांपैरब्र धूब्रश् ि।। ७र्थन७ हेहनौ-त्रांब्रव नांवांशणांभाद्र জের মেটে নি, কিন্তু ভয় নেই ডাক্তার অলসভাঙ্গারের মনে । যে-সব স্থানে ইহুদীর পক্ষে যাওয়া বিপদজনক আমার সঙ্গে চলেছেন পথ দেখিয়ে । দরাজ এর প্রাণ, সাম্প্রদায়িকতার চিহ্নমাত্র নেই । ভারতবর্ষের প্রতি এর গভীর শ্রদ্ধা। সম্প্রতি আমাদের দেশে ভ্রমণকালে কংগ্রেসের কাজ দেখে আগামী ভারতের সন্ধান পেয়েছেন ; শ্রীনিকেতনে পল্লীসংস্কারের ব্যবস্থা তার মনকে খুব নাড়া দিয়েছে । রামানন্দবাবুর সঙ্গে কলকাতায় তার কথা হয়েছিল, কক্ত ভাবে সাহায্য পেয়েছেন বারম্বার বলছিলেন । বাংলার এবং পঞ্জাবের হিন্দু-মুসলমান সমস্ত ওঁকে বিশেষ ভাবিয়েছে, প্যালেষ্টাইনে বসে এই নিয়ে আমাদের আলোচনা অপ্রাসঙ্গিক হয় নি। এখানেও অসাম্যের মূলে আছে অক্ষমের লোভ এবং ধৰ্ম্মের নামে অনেীদার্ধ্য। আছে রাষ্ট্রক অভিসন্ধির গুপ্ত প্রবর্তন । যেদিন আমরা লীডড, রাম্লে, বেন-সেমেন, নাখানিয়া, তুলকারমূ, ব্ৰেনার উপনিবেশ ঘুরে দেখছি তার একদিন পূৰ্ব্বে প্যালেষ্টাইনকমিশনের রিপোর্ট বেরিয়েছে, সমস্ত দেশ উত্তেজনায় টনটনে হয়ে উঠেছে। মসজিদ-সীনাগগের অভ্যস্তরে ধৰ্ম্মের হাওয়া ভারাক্রান্ত, বাহিরের পথে ব্রিটিশ টমির প্রাঙ্কুর্তাব লক্ষ্যণীয়। চায়ের কাফে, মোটরের আড্ডায় ঝুলছে পার্টিশনের রক্তরেখাঙ্কিত ম্যাপ । নিরাল আরব-পল্লীতে গিয়ে দেখি, বাড়ীর চাতালে গাছের ছায়ায় আরব-নেতা বসেছেন স্থানীয় মণ্ডলীকে নিয়ে । বিদ্যালয়, কারখানা, শ্রমিক কেন্দ্রে কারও মূখ প্রসন্ন নয় । ইহুদী-আরবের ভেদ কঠিনতর রূপ নিচ্ছে। নিতে বাধ্য। বিষয়বুদ্ধিকে ঝালিয়ে তুলে স্থায়ী স্বার্থের বিচার আশা করা যায় না। ছুরির আঘাতে দেশ ভাগ করে কমিশন কাকে খুশী করবে ?-সম্পত্তির লোভ ষোল আনা বেড়ে উঠেছে উভয় পক্ষে। কর্তৃপক্ষ ষ্ট্রটজিক (strategic) স্থবিধার অঙ্ক কষছেন, তাদের ক্ষতি নেই। ইস্পীরিয়াল মন্ত্রণাকক্ষের