পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

볼 ●धन्वांनी $N988 অষ্টমতঃ, রাশিয়ায় অত্যাচার-অনাচার বাঙ্গ ঘটিতেছে, তাহা যে-সব ক্যাপিটালিষ্ট কমু্যনিষ্টদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, ভাঙ্গাদেরই বিরুদ্ধে। দেশের আপামর জনসাধারণের সঙ্গে ইহার কোন সম্বন্ধ নাই । শ্ৰীকৃষ্ণনারায়ণ চৌধুরী [ न”ोमकैोम्न भछुदा । (लर्थक भठ्ठाञग्न ७झ° श्रएनक कथा বলিয়াছেন, যাহা প্রমাণসাপেক্ষ, সুতরাং বিনা প্রমাণে মানিয়া লওয়া যায় না –প্রবাসীর সম্পাদক । ] “তুই তুমি আপনি সে তিনি” ভায়ের প্রবাসীতে বিবিধ প্রসঙ্গে “তুই তুমি আপনি সে তিনি” প্রসঙ্গ দেখিলাম। গুজরাট ভাষায় ‘আপনি' নাই । গুজরাটীর বাংলা অম্বুবাদ করিতে আঙ্গাজী কোথাও তুমি, কোথাও আপনি, ব্যবহার করিতে হইয়াছে এবং প্রতিবারই ভাবিয়াছি বাংলা হইতে ‘আপনি'কে বিদায় করিয়া দিলে বেশ হইত। গুজরাটীর এক তুমি’ দিয়াই সব কাজ সরে—শুনিতেও কিছু খারাপ লাগে না । উহাদের মধ্যে ‘তুই’ ব্যবহার আছে । আদর করিয়া বা তুচ্ছ করিয়া আমাদের মতই ‘তুই’ ব্যবহার করা হয় । বাংলায় কেবল ‘তুমি' ও 'তুই রাখিলে ভাল হইত। & শ্রীসতীশচন্দ্র দাসগুপ্ত বিদায় শ্ৰীপুষ্পরাণী ঘোষ রোজ, পিনিন ও কর্ডেরা—এদের তিন জনকে সব সময়েই একসঙ্গে দেখা যেত । পাহাড়ের নীচে খামল তৃণে ঢাকা সবুজ গালচের মত নরম ও উজ্জল তিনকোণা এক টুকরো জমি। তার একটা বেণু একেবারে রেল-লাইনের প্রান্তে গিয়ে ঠেকেছে জার সেই কোণে নিশান টাঙানোর ডাণ্ডার মত একটা টেলিগ্রাফপোষ্ট। রোজ ও পিনিনের কাছে এই টেলিগ্ৰাফ-পোষ্ট্রট ছিল বহিজগতের প্রতীক-এক অজানা রহস্যময় জগৎ—ষা মনে ভীতির সঞ্চার করে, অথচ যাকে স্বচ্ছদেই উপেক্ষা করে স্বাগুয়া চলে । শাস্তু ও নিৰ্ব্বিরোধী টেলিগ্রাফ-পোষ্টটিকে বহুদিন ধরে পৰ্যবেক্ষণ করে করে পিনিন এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছিল যে ওটা প্রাণপণে একট। শুষ্ক বৃক্ষে পরিণত হবার চেষ্টা করছে মাজ–ও দেখাতে চাচ্ছে যেন ওর মাথার উপরকার কাচের বাটিগুলি নূতন ধরণের ফরবিশেষ। এই ভেবে সে একদিন নিশ্চিন্ত বিশ্বাসে পোষ্টট বেয়ে উঠে পড়েছিল—তারগুলোর কাছাকাছি পৌঁছে কিন্তু কাচের বাটিগুলি দেখে তার হঠাৎ গীর্জার পবিত্র পাত্রের কথা মনে পড়ে গেল, ভয় পেয়ে সে তখনই দ্রুতগতিতে নেমে পড়ল। মাটিতে নেমে, সবুজ স্বাসের উপর দাড়িয়ে তবে তার সে ভয় গেল । রোজার অত সাহস ছিল না বটে, কিন্তু অজানা বস্তু সম্বন্ধে তারই কৌতুহল ছিল অনেক বেশী। ঘণ্টার পর ঘণ্ট। সে পোষ্টের তলায় বসে থাকত। তারের ভিতর দিয়ে এক অদ্ভুত অপাখিব শৰ ক'রে বাতাস প্রবাহিত হ’ত আর তার সঙ্গে পাইন-বন থেকে ভেসে-আসা মৰ্ম্মভেদী হাহাকারের মত বায়ুনিশ্বন মিশে এক অপূৰ্ব্ব স্বরলহরীর স্বটি করত— রোজা নিবিষ্ট চিত্তে তাই গুনত। সময়ে সময়ে বাতাসের এই আলোড়ন ঠিক গানের মত বোধ হ’ত—রোজার তখন মনে হ’ত যে এক অজানা জগতের মৃন্থগুজন তারের ভিতর দিয়ে আর এক অজানা জগতে ভেসে চলেছে। বহিজগতের বিভিন্ন স্থানের অধিবাসীরা যে পরম্পরের মধ্যে কি বাক্যবিনিময় করছে তা জানবার জন্ত তার বিন্দুমাত্র আগ্রহ বা কৌতুহল ছিল না ; সে শুধু চুপ করে বসে জাবিষ্টের মত এই রহস্যময় স্বরলহরীর মাধুৰ্য উপভোগ করত । কর্ডেরার বয়স হয়েছিল, কাজেই সীদের চেয়ে তার সাংসারিক বুদ্ধিও ছিল অনেক বেশী। সে বহিজগতের