পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আগ্রহায়ণ মধ্যপ্রদেশের মধ্যভারতী’তে এইরূপ জীবনী বাহির হইয়া थां८क । কলিকাতা যদিও এখন আর ভারতবর্ষের রাজধানী নাই, তথাপি ব্যবসা বাণিজ্য ও কলকারখানা পরিচালন উপলক্ষ্যে ভারতবর্ষের সব সম্প্রদায়ের যত লোক কলিকাতায় থাকিয়া উপার্জন করে, ভারতবর্বের অন্ত কোন প্রদেশে তত করে না । অ-বাঙালীর বঙ্গে—বিশেষতঃ কলিকাতায়— যত উপার্জন করে, বাঙালীরা বঙ্গের বাহিরে কোথাও তত উপার্জন করে না। উপার্জক হওয়া একাস্ত আবগুক । কিন্তু উপার্জন বিখ্যাত বাঙালীরাও বঙ্গের বাহিরে খুব বেশী করিতে না পারিলেও, তাহাদের অনেকের অন্ত প্রকার এরূপ কৃতিত্ব আছে, যাহা সৰ্ব্বসাধারণের জ্ঞাতব্য ও স্মরণীয়। বঙ্গের বাহিরের কাগজগুলি বিখ্যাত ও অবিখ্যাত এইরূপ অনেকের জীবন-কথা প্রকাশিত করিয়া বাঙালী সমাজের ধন্যবাদভাজন হইতেছেন । *প্রবাসীসম্মেলনী’ নাগপুরের বিপিনকৃষ্ণ বক্ষ মহাশয়ের জীবনচরিত প্রকাশ করিতে আরম্ভ করিয়াছেন। ইহা সম্পূর্ণ হইলে পুস্তকাকারে প্রকাশ করা উচিত। দিল্লীতে বাঙালী দিল্লী ব্রিটিশ আমলে ভারতবর্ষের রাজধানী হইবার আগে হইত্তেই অনেক বাঙালী সেখানে থাকিতেন ও র্তাহাদের মধ্যে কেহ কেহ প্রসিদ্ধিও লাভ করিয়াছিলেন ; এবং প্রসিদ্ধি লাভ না করিলেও অনেকে নানা দিকে কৃতী হইয়াছিলেন। তাহাজের কাহারও কাহারও জীবন-কথা কোন-না-কোন কাগজে প্রকাশিতও হইয়াছে । দিল্লীতে রাজধানী স্থাপিত হওয়ায় নয়া দিল্লী নিৰ্ম্মিত হইয়াছে, পুরাতন দিল্পীও বিদ্যমান আছে। রাজধানী স্থাপিত হওয়ায় এখানে নানা প্রদেশের লোকের সমাগম বুদ্ধি পাইয়াছে। ফেডারেগুনের পরিকল্পনা যখন কার্ধ্যে পরিণত হইবে, তখন নয়। দিল্লীর গুরুত্ব আরও বাড়িবে। কারণ, তখন ফেডারাল ব্যবস্থাপক সভা ও ফেডার্যাল ব্যবস্থা-পরিবঙ্গের অধিবেশন এখানে হইবে, .বর্তমান সময় অপেক্ষা অধিকসংখ্যক ব্যবস্থাপকের সমাগম এখানে হইবে, দেশৰ ৰূপতি ও তাহাজের দর্শগরী లిటికా*)\e ৰিকি প্রসঙ্গ—দিল্লীতে বাঙালী ררס প্রভৃতি নরেন্দ্র-মগুল” স্থাপিত হইবার পর হইতে এখন পৰ্য্যস্ত ষত আপিড়েছেন তাহা অপেক্ষাও বেশী আসিবেন, এবং ব্যবসা বাণিজ্য বুদ্ধি হেতু অন্তবিধ লোকেরও সমাগম বাড়িবে। ফেভারেগুনের পরিকল্পনা কার্ধ্যে পরিণত হইবার পূর্বেই ফেডার্যাল আদালত স্থাপিত হওয়ায় তছুপলক্ষ্যেও নানা প্রদেশের কতকগুলি লোক কোন-নাকোন কারণে ও উপলক্ষ্যে এখানে আসিবেন। রাজধানীর বেসরকারী ও সরকারী নানা কাজে যত লোক ব্যাপৃত আছেন ও পরে থাকিবেন, তাহাদের মধ্যে অন্যান্ত প্রদেশের লোক যেমন আছেন ও থাকিবেন, বাঙালীরও লেইস্কুপ খাকা আবগুক, ইহা যেন আমরা জুলিয়৷ না যাই । আমাদের দেশের গবষ্মেন্ট বিদেশী বলিয়া সরকারী কাজকৰ্ম্ম সম্বন্ধে রাষ্ট্রনীতিক্ষেত্রে-নেতৃস্থানীয় লোকদের ও র্তাহাদের সহকৰ্ম্মী ও অমুকৰ্ম্মীদের যে মনের ভাব ছিল ও এখনও আছে, গবয়ে স্ট যতই দেশী হইতে থাকিবে, ততই সেই ভাব পরিবর্তিত হওয়া অনিবার্ধ্য। কিন্তু তাহ পরিবর্তিত হউক বা না হউক, কোনও সরকার কাজে নিযুক্ত থাকিয়া কোন বাঙালী যদি প্রশংসনীয় যোগ্যতা ও কৃতিত্ব প্রদর্শন করেন, তাহা সৰ্ব্বসাধারণের গোচরীভূত হওয়া অবশুষ্ট আবশুক । তাহাদের রাজনৈতিক মতামত তদুপলক্ষ্যে व्रांप्लां5 नदृश् । আমরা এখন প্রবাসী বাঙালীদেরই কথা বলিতেছি, বিশেষ করিয়া দিল্লীপ্রবাসী বাঙালীদের কথা হইতেছে । তাহাজের মধ্যে কেহ কেহ স্থায়ী ভাবে দিল্পীর বাসিন্দা, কেহ কেহ বা অস্থায়ী ভাবে নির্দিষ্ট কোন সময়ের জন্ত তথায় বাস করেন | বৰ্ত্তমান সময়ে রাজকাৰ্য্য উপলক্ষ্যে ধে-সকল বাঙালী প্রসিদ্ধি লাভ করিয়াছেন, তাহাজের মধ্যে সৱ নৃপেন্দ্রনাথ সরকারের নাম সৰ্ব্বাগ্রে করিতে হয় । তাহার যোগ্যতা সৰ্ব্ববাদিম্বীকৃত। তিনি শেষ ষে আইনটির প্রণয়ণে বিশেষ যোগ্যতা প্রদর্শন করিয়াছেন, তাহা বীমা-সম্পৰ্কীয় আইন । এই আইনের পাণ্ডুলিপি রচনা এবং ব্যবস্থাপক সভায় ইহার আলোচনার সময় তর্কবিতর্কে ঐযুক্ত স্বশীল সেনের কৃতিত্ব প্রশংসনী। সরকার মাশর ইতিপূৰ্ব্বে কোম্পানী আইন