পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఇSo মান, তাহদেৱ সৰছে একটি সরকারী রিপোর্ট প্রতি বৎসর গুৰYশিত হয় । বৰ্ত্তমান বৎসরে প্রকাশিত রিপোটের ২৫ পৃষ্ঠায়, ধে-সকল ভারতীয় ছাত্র ডক্টর ( D. Sc., M. D. বা Ph. D. ) উপাধি পাইয়াছেন, তাহাদের একটি তালিকা আছে । মোট ৪৩ জন এরূপ উপাধি পাইয়াছেন। তাহাদের মধ্যে ১২ জন বাঙালী । ৩৫ কোটি ভারতীয়ের মধ্যে বাঙালী ৫ কোটি অর্থাৎ এক-সপ্তমাংশ । সে অনুপাতে বাঙালী ডক্টর উপাধি কম জন পান নাই, বেশী জনেই পাইয়াছেন। উক্ত ১২ জনের মধ্যে ২ জন মুসলমান, ১০ জন হিন্দু। ৩৫ কোটি ভারতীয়ের মধ্যে বাঙালী হিন্দু ২ কোটি। এই সংখ্যা ছুটিও বিবেচনা করিলে হিন্দু বাঙালী যুবকদের কৃতিত্ব নিন্দনীয় নহে। ইহা হইতে মনে হয়, বাঙালী যুবকদের বুদ্ধির হ্রাস হয় নাই । আমরা বরাবরই প্রতিযোগিতা-পরীক্ষায় বাঙালী পরীক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে পরীক্ষকদের কাহারও কাহারও প্রতিকূল মনোভাবের অস্তিত্ব অনুমান করিয়া আসিতেছি । কখন কখন তাহী লিখিয়াও থাকিব । বাঙালীর প্রতি বিরূপতা বাচনিক ( viva wooe ) পরীক্ষাতে বাঙালীদের পক্ষে বেশী অনিষ্টকর হইতে পারে। বাঙালী কোন পরীক্ষার্থী সকল বিষয়ের প্রশ্নপত্রের লিখিত উত্তর দিয়া সন্তোষজনক নম্বর ( mark ) পাইয়াও বাচনিক পরীক্ষায় পরীক্ষকের বিরূপতায় বিফলমনোরথ হইতে পারে। আবার অন্য কোন পরীক্ষার্থী কোন কোন বিষয়ে লিখিত উত্তরের জন্ম কম নম্বর পাইয়া থাকিলেও বাচনিক পরীক্ষকের সদয় পক্ষপাতিত্বে বাচনিক পরীক্ষায় খুব বেশী নম্বর পাইতে পারে। । গত ৫ই অক্টোবর সিমলায় ব্যবস্থাপক সভায় প্রশ্নোত্তরের সময় এইরূপ একটি ঘটনা প্রকাশ পায়। এলাহাবাদের লীডার কাগজের ৮ই অক্টোবরের সংখ্যায় প্রকাশিত তাহার সিমলার সংবাদদাতার চিঠি হইতে তাহ জানা যায়। চিঠিতে আছে, যে, একটি প্রশ্নের উত্তরে প্রকাশ হইয় পড়ে, যে, এক জন নিৰ্ব্বাচিত ইণ্ডিয়ান সিবিল সার্ষিস পরীক্ষার্থী প্রবন্ধরচনায় পূর্ণ নম্বর দেড় শতের মধ্যে কেবল দশ পান, কিন্তু বাচনিক পরীক্ষায় তিনি পূর্ণ নম্বর তিন শতের মধ্যে ২৮০ পান । এই নির্বাচিত ব্যক্তিটি কে তাহা জানা যায় নাই। অস্ত রকমও কাহারও কাহারও ভাগ্যে ঘটে। অর্থাৎ হয়ত কোন ( বাঙালী ) পরীক্ষার্থী প্রবন্ধরচনায় দেড় শতের মধ্যে এক শত চল্লিশ বা ত্রিশ পাইয়াছেন, কিন্তু বাচনিক পরীক্ষায় তাহাকে দেণ্ডস্থ হইল তিন শতের মধ্যে ফুড়ি বা দশ ! বাচনিক পরীক্ষায় কে কি উত্তর দিল তাহা ত লেখা থাকে ন, স্বতরাং নম্বর ঠিক দেওয়া হইয়াছে কি না সে-সম্বন্ধে কোন তদন্ত হইতে পারে না । 4. ། དེས་མ་ वाइ दाँश्ब्रि श्हेब्वाँध्छ,• डाँइ नैौदछ कूि फेङ्कङ | প্রবাসী Nes Bھ The question hour revealed that a selected I. C. S. candidate who secured only 10 out of 150 marks, in essay, got 280 out of 300 marks in the viva, voce, thus strengthening the non-official suspicion that these tests were not fair to those who sat for thern, and that the viva voce was becoming a source of ឆៃយុំា to the competitors’ rights. “আনন্দমঠ” ও “রাজসিংহ” বঙ্গের বাঙালীরা কেহ কেহ বঙ্কিমচক্সের “আনন্দমঠ” ও “রাজসিংহ পড়িয়া ঐ দুটি বহি মুসলমানবিদ্বেষপূর্ণ এই ওজুহাতে ঐ দুটি সরকারী নিষিদ্ধপুস্তক-তালিকার অন্তভূত করিবার প্রস্তাব করেন। পরে জন্য অনেক বাঙালী মুসলমান, র্যাহারা উহা পড়েন নাই, তাহাদেরও দাবী ঐক্কপ হইয়াছে এবং অবাঙালী যে-সব মুসলমান বাংলা জানেন না র্তাহীদের অনেকে উহাতে সায় দিয়াছেন । অতীত কালে খ্ৰীষ্টিয়ানরা সমালোচনা-অসহিষ্ণু ও কুৎসা-অসহিষ্ণু ছিলেন কি না তাহা এখন আলোচ্য নহে ; কিন্তু আধুনিক সময়ে দেখিতে পাই, তাহারা বাইবেলের সমালোচনা ও নিন্দ, খ্ৰীষ্টের সমালোচনা ও নিন্দা—এমন কি গালাগালিও—বন্ধ করিবার নিমিত্ত আইনের আশ্রয় গ্রহণ করেন মা। প্রয়োজন বোধ করিলে তাহারা উত্তর দেন। এইরূপ আচরণের ফলে বাইবেলের ও খ্ৰীষ্টের. সম্বন্ধে অ-খ্ৰীষ্টিয়ানদেরও ধারণ মন্দের দিকে না-গিয়া ভালর দিকেই গিয়াছে। মুসলমান-সম্প্রদায় এরূপ সমালোচনা-সহিষ্ণু নহেন। র্তাহীদের মনের ভাব বিবেচনা করিয়া এরূপ আশা করা যায় না, যে, কোন পুস্তকে কোরানের, মোহম্মদের এবং সম্প্রদায় হিসাবে মুসলমান-সম্প্রদায়ের সমালোচনা বা নিমা তাহারা বরদাস্ত করিবেন। এরূপ আশাশীলতা লইয়া জামরা “আনন্দমঠ” ও “রাজসিংহ” সম্বন্ধে কিছু লিখিতেছি না। আমরা কেবল ইহাই বলিতেছি, যে, “ আনন্দমঠ ও *রাজসিংহ” উপস্কাস ছুটিতে কোরানের কোন নিন্দ বা সমালোচনা নাই, মোহম্মদের কোন নিন্দ বা সমালোচনা নাই, সম্প্রদায় হিসাবে সাৰ্ব্বকালিক মুসলমান-সম্প্রদায়ের নিন্দ বা সমালোচনা নাই। সুতরাং এই দুটি বহির উপর র্তাহাদের খড়গহস্ত হওয়া উচিত নহে। নিজ সম্প্রদায়ের ভালমন্দ কোন মানুষেরই সমালোচনা সেই সম্প্রদায়ের লোকদের পক্ষে প্রীতিকর নহে। কিন্তু সেই রকম জিনিষ থাকিলেই, কোন কাব্যে উল্লিখিত কোন চরিত্র কোন সম্প্রদায়ের লোকদের বা কোন লোকের বিরুদ্ধে কিছু বলিলেই, সেই কাব্য পুড়াইয়া দিতে হইবে, ইহা যুক্তিসঙ্গত নহে। মুসলমানদিগের পক্ষে অপ্রীতিকর কোন কোন জিনিষ এই ছুটি পুস্তকে আছে, জানি। কিন্তু তাহা সত্বেও আমাকুর ধারণ এই যে, বহি দ্বখানি মুসলমান বিদ্বেষপ্রস্থঃ নহে।