পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাটির বাসা শ্রীসীতা দেবী

আজই মৃগাঙ্কমোহনের আসিবার দিন। বেল নয়ট দশটার সময় তিনি আসিয়া পৌছিবেন। সকালে উঠাই মল্পিক-মহাশয় বলিলেন, “কাৰ্ত্তিক জেলেটাকে একবার ডাকি, কি বল গো ? একবার পুকুরে জাল ফেলে দেখুক বড় মাছ একটা পায় নাকি ? হাজার হোক এ-বাড়ীর জামাই ত বটে ?” গৃহিণী মুখ বাকাষ্টয়া বলিলেন, “তা ডাক ; জামাই ত শ্বশুরবাড়ীর মান কত রেখেছেন। এ বছর যা বৃষ্টি গেল পুকুর এখনও জলে থৈ থৈ করছে, মাছ উঠবে কি ?” কর্ভা বলিলেন, "উঠতেও পারে এক-আধটা, দেখুক একবার জাল ফেলে। আর দেখ, মিষ্টি আনব নাকি দোকান থেকে " ` গৃহিণী চটিয়া বলিলেন, “অত আর কাজ নেই। ঠাকুরঝি বেঁচে থাকত, কি মেয়েটাকে ওরা একটু ডেকে জিগ্যেস করত, তাহলেও না-হয় কথা ছিল। ঐ মাছ ধরালেই ঢের হবে । মিষ্টি দরকার হয়ত আমি ঘরেই ক'রে দেব। দুধেরও অভাব নেই, গুড়েরও অভাব নেই।” কৰ্ত্তী অগত্যা প্রস্থান করিলেন। মৃগাঙ্ক বহু বৎসর পরে এ বাড়ীতে আসিতেছেন, একটু যত্ন-আন্ধর বেশী করিয়া করিবারই মল্পিক-মহাশয়ের ইচ্ছা ছিল । তিনি জামাই ত २ö अ-दोर्फ़ौब्र, वादशग्नप्ले ना-श्ध्न छांबाहेरघ्नन्न भ७ बङ्कल করেন নাই। কিন্তু গৃহিণী মৃগাঙ্কের নামে একেবারে খড়্গহস্ত, কিছু করিবার নামেই “আদিখ্যেতা” বলিয়া মুখ বাট দিয়া উঠিবেন, কাজেই কর্তা আর বেশী বাড়াইতে ভরসা করিলেন না। কাৰ্ত্তিক জেলেৰে ডাকিয়া পুকুরে জাল কেলিবার আদেশ দিয়া ধীর পদে টেশনের দিকে চলিলেন। . সুগন্ধিকে অভ্যর্থনা করিবার জন্ত অণ্ডতঃ কাহারও ত সেখানে উপস্থিত ধাৰা উচিত ? ষ্টেশনে পৌছিয়া দেখিলেন, ট্রেন আসিতে তখনও विनिপাচ দেরি আছে। প্ল্যাটফর্মের উপরই পায়চারি করিম সময়ট কাটাইয়া দিবেন স্থির করিলেন । ষ্টেশনমাষ্টার ঘরের ভিতর হইতে ডাকিয় জিজ্ঞাসা করিলেন, আবার কে আসছে মল্পিক-মশায় ? ভাগ্নীটি ত সেদিন এসে গেল ?” মল্পিক-মহাশয় হাসিয়া উত্তর দিলেন, “আজ আসছে ভাগ্নীর বাপ ।” - - ষ্টেশনমাষ্টার দুই চোখ বিস্ফারিত করিয়া বলিলেন, “তাই নাকি ? হঠাৎ এত দয়া যে ? বারো বছর বোধ হয় এমুখে হন নি ? মেয়ের বিয়ের-টিয়ের জোগাড় হচ্ছে নাকি ?” ‘. . পরীগ্রামের লোক, সকলেই সকলের হাড়ির খবর রাখে, ইহাতে কেহ কিছু মনে করে না। মল্পিক-মহাশয় বলিলেন, "না, মেয়ের বিয়ের কথা এখনও কিছু ওঠে নি। এমনি মেয়েকে দেখতেই আসছে আর কি ? বহুকাল দেখে নি কিনা !” ট্রেন জাসিবার সিগ গুলি পড়িয়া গেল, কাজেই ষ্টেশনমাষ্টারকে গল্পের মায়া ত্যাগ করিয়া কাজে ছুটিতে श्हेंज । - ক্ষুদ্র পাড়াগায়ের ষ্টেশন, ট্রেন থামে মাত্র এক মিনিট । মানুষ উঠিবার নামিবার সময় পায় না। সঙ্গে একটার বেশী দুইটা পোটুলা থাকিলে যাত্রীর মাথায় আকাশ ভাঙিয়া পড়ে ষে নামাইবে কি করিয়া। প্লাটফর্শ্বও গাড়ীর সিড়ি হইতে প্রায় এক-মাস্থ্য নীচে । নাম-ওঠা করা এক রীতিমত কসরতের ব্যাপার। * গাড়ী থামিবার আগেই মল্পিক-মহাশয় দেখিতে পাইলেন, वृगाक्रमांश्न जांनन निद्रां भूष दाईिद्र कब्रिह भाझेक्रईन দিকে তাকাইয়া আছেন। পাশের একটি কুলী-ছোরাকে