পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

N○●総 প্রবাসী S\లి83 কাপড়ের দোকানেও দেখলাম চীনা মহিলারা ভিড় ক’রে জিনিষ কিনছে, জাপানী মেয়েও দু-চার জন আছে। বড় ঘরের চীনা মেয়েদের পোষাক একটু রংচঙে এবং বড় বড় খোপায় লাটিমের মত বড় বড় সোনার ফুল গোজ । ফুলগুলি এত বড় ষে সোনার জল করা বলেও সন্দেহ হয়, তবে সত্য কি তা জামি জানি না। সাধারণ পথচারিণী চীন মেয়েদের সব নিৰ্ব্বিচারে এক পোষাক—ঠাংঠেঙে কালো পাজামা, নীল কোট আর বিনা সিখিতে কপাল বার ক'রে টেনে পিছনে চুল বাধ, কারুর গোড়ালি কি হাটু পৰ্য্যন্ত লম্বা বিমুনি ঝুলছে, কারুর শক্ত ঢিপি থোপা। দুইচার জনের আগাগোড় সব পোষাকই কালো। রাস্তার tরে একটা বাগানওয়ালা পাঠশালায় দেখলাম পুরা কালো পোষাক প'রে চীন শিক্ষয়িত্রী একপাল নানা দেশের ছেলে মেয়েকে খোলা হাওয়ায় কিছু নাচ ড্রিল কিংবা থেল শেখাচ্ছেন। - এত চীনার ভিড় এবং চীনা সাইন-বোর্ড দেখে যা মনে হয়, মাস কুকের বই খুলে দেখছি তা প্রায় সত্য । সিঙ্গাপুরের ৫৬৭,৪৫৩ অধিবাসীর মধ্যে ৪২১,৮২১ জন হচ্ছে চীনদেশীয় । এটা যাদের দেশ সেই মালয়বাসীরা মাত্র ৭১,১৭৭ জন । সিঙ্গাপুরে এসেছি ভরা শীতে মাঘ মাসের ৭ তারিখে, অথচ শীতের নামমাত্র নেই। প্রাচীনের যে মালয় উপদ্বীপকে চিরবসন্তের দেশ বলেছিলেন তা মিথ্যা নয়। এই শীতে গাছের পাত, মাঠঘাট সবুজে সবুজ, আর মলয় পবন হুহ ক’রে বইছে। সারা বছরে এখানে শীত-গ্রীষ্মের বিশেষ প্রভেদ হয়। না, ধাৰ্ম্মোমিটারে তাপ থাকে গড়পড়তায় ৮৬ ডিগ্রি। দেশটা এত যখন সবুজ, বৃষ্টি নিশ্চয়ই যথেষ্ট হয় । মালয় উপদ্বীপের গভীর অরণ্য পৃথিবীতে স্ববিখ্যাত। এখানকার পথঘাটও আশ্চৰ্য্য সুন্দর। পৃথিবীতে এত ভাল পথ নাকি কোথাও নাই। এই মুন্দর পথে গভীর অরণ্যের ভিতর দিয়ে বেড়ানো अभ१कांग्रैौtनद्र ७कफै; भश त्रांनtभद्र छिनिश् । जांभांद्दमब्र ভাগ্যে সেটা হয় নি। পথের ধারে ঘরবাড়ীর বেশীর ভাগই আধুনিক ধরণের, মাঝে মাঝে দুই-একটা বাড়ীর খোলার ছাদ মালয়-ধরণে দু-ধারে গুড় তুলে আছে। শহর ছাড়িয়ে গেলে জলে জায়গায় মালয়-ধরণে চারিট খুঁটির উপর শূন্তে দাড়-করানো পাতার কি কঞ্চির ঘর দুই-চারটা দেখতে পাওয়া যায়। মাস্থবের থাকবার অনেক ভাল বাড়ী পাকা হ’লেও এই রকম চার ধারে চারটা ছোট খামের উপর দাড়-করানো, মেযেটার সঙ্গে মাটির ছোওয়া লাগে না, মেঝের তলা দিয়ে মানুষ হামা দিয়ে চলে যেতে পারে। এতে ঘর ভ্যাম্প হয় না এই একটা মস্ত সুবিধা । হাইকোর্টের বাড়ীর সামনে লাটবেলাটের মূৰ্ত্তির মত উচু খামের উপর দাড়িয়ে কালে একটি নাস্থসন্থস্থল পাখরের হাতী। সিনেমা হাউস, টাউন হল প্রভৃতি আমাজের দেশের মত। সাধারণ বাড়ী অধিকাংশ লাল টালি-ছাওয়৷ বাংলো । পোষ্ট অফিস আর বাজার সেরে আসবার সময় পথে খুব কলার দোকান দেখলাম। আমাদের সহযাত্ৰিণী কিছু কলা কিনে সবাইকে খাওয়ালেন। কলার চেয়ে এখানে ম্যাঙ্গোষ্টিন ও আনারসই প্রসিদ্ধ। অনেকে ঝুড়ি ক'রে করে কিন্‌ছে দেখা গেল। এখানকার আনারস টিনে বন্ধ করে সারা পৃথিবীতে চালান দেওয়া হয়। দোকানে নানা রকম অৰ্কিড ফুলেরও খুব ঘটা। জাহাজ ষেদিন যেদিন দাড়ায় সেদিন ডাঙা থেকে সেই দেশের ফুল ও ফল কিছু সংগ্ৰহ করে। আঞ্জ ফিরে দেখা গেল খাবার টেবিলে অকিড ফুল ও ম্যাঙ্গোইন ফল খুব সুন্দর "ক’রে সাজিয়ে রেখেছে। এখানকার যাদুঘর র্যাফেলস্ মিউজিয়ম বড় একটা দেখবার জিনিষ। আমাদের হাতে সময় খুবই কম, তবু একবার সেখানে ঘুরে আসবার লোভ সম্বরণ করা গেল না । শোনা যায়, ঘবদ্বীপ, বালি, সুমাত্রা না গিয়েও যদি সেখানকার শিল্পকলা ও জীবনযাত্রার নমুনা দেখতে হয় তবে এই মিউজিয়মে তা অনেকটা দেখতে পাওয়া যায়। বাস্তবিক এখানে মালয় উপদ্বীপ ও এই সব দ্বীপের বহু মূল্যবান সংগ্রহ আছে। ভারতবাসীরা পুরাকালে এই সব দেশে যে সৰ্ব্বদা যাওয়া-আসা করতেন তার অনেক ঐতিহাসিক প্রমাণ এখানে সংগ্রহ করা রয়েছে। আমি ঐতিহাসিক নই, এ সব নিয়ে কোনও মত প্রকাশ করতে যাওয়ার ভরসা আমার নুেই, কিন্তু ভারতবর্ষের ছোটবড় কত জিনিথের সঙ্গে এখানকার জিনিষের সাদৃগু দেখে এবং কত প্রাচীন खांश्ब्रजैश्च षिनेिष ४ंषiनि ५डtिण ब्रटिष् ८शेषं चानिग्धं शं ।