পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৌষ মিউজিয়মের ঘরে ঢুকেই দেখা গেল বৌদ্ধ ও হিন্দু যুগের মন্ত্র লেখা ও দেবমূৰ্ত্তি আঁকা ছোটবড় অনেক মাটির চাকৃতি। মন্দিরে পূজা দেবার সময় ভক্তরা এগুলি হাতে ক'রে এনে মন্দিরে উৎসর্গ ক’রে যেতেন। সেই সব মন্দির ও সুপ থেকে তা কিছু কিছু উদ্ধার পেয়ে এখানে সংগৃহীত হয়েছে । এর অক্ষর সব দেবনাগরীর মত, বোধ হয় অষ্টম থেকে ১১শ শতাব্দীর লেখা । সিঙ্গাপুরে বাস্তবে যে সব বাড়ীর ছাচ জামরা প্রায় দেখতে পাই নি, মালয়বাসী ও বলিদ্বীপবাসীদের সেই সব বাড়ীর নানা রকম ছাচ মিউজিয়মে দেখলাম। বাশের বেড়ায় গড়া ও পাতায় ছাওয়া বাড়ীগুলি চারি দিকে চারিটি বাঁশের খুঁটির উপর বসানো, শূন্যে যেন টাঙানো রয়েছে। বেড়াতে গালা ও রং দিয়ে নানা রকম ছবি আঁকা। বাড়ীতে ঢোকবার জন্তে একটি করে মইয়ের মত সিড়ি। ছাদের ছাউনি উপরে দুই পাশে তৃতীয়ার টাদের ছুটি শিঙের মত অথবা হাউীর উৎক্ষিপ্ত গুড়ের মত বেঁকে আছে। ঘরের ভিতর মালয়দেশীয় আসবাবপত্র সাজানো । দ্বীপপুঞ্জ, মালয় ও অন্যান্ত দেশের যে মাটির বাসন ছাড়ি কুজ ইত্যাদি রয়েছে তাতে ছু-রকম ধরণ খুব চোখে পড়ে। এক পারস্ত দেশীয় সরু লম্বা গলা আতরদানের মত পাত্র আর এক মোট বেঁটে বড় গলা ভারতীয় মাটির হাড়ির ধরণ। ভারতীয় ধরণের গুলি ঠিক আমাদের বাংলার হাড়ির মত নয়, তার চেয়ে বেশী বেটে কিন্তু স্থাগু। মাটির বাসনগুলির উপর স্বন্দর নক্সাকাটা। সমুদ্রের ধারে এই সব মামুষের বসতি ব'লে অনেক মাটির বাসন, কাস-পিতলের বাসন, এমন কি বাজনার পর্যন্ত নৌকার মত গড়ন। একটি তামার বাসন ঠিক ময়ুরপঙ্ক্ষী নৌকার মত। কাস পিতল ও তামার অনেক বাসন আমাদের দক্ষিণ-ভারতের পূজার বাসনের মত। কতকগুলি দীপবৃক্ষ দক্ষিণ-ভারতের দ্বীপবৃক্ষ বলেই মনে হয়। এগুলি সবই হয়ত ভারতীয়দের জানা । তাড়াতাড়িতে এদের তলার লিখনগুলি মনে রাখতে পারি নি। সব চেয়ে আশ্চর্ঘ্য ও ভাল লাগল একটি বড় জলের বড় দেখে । আমরা বাংলা দেশের গ্রামে যে ঢালাই ঘড়াতে মেয়েদের সর্বদা নদী ও জাপান ভ্ৰমণ جه بهوتي পুকুর থেকে জল নিয়ে যেতে দেখি, ভারতবর্ষের জার কোথাও তা জামার চোখে পড়ে নি। এইখানে দেখলাম বাঙালী মেয়েদের সেই ঘড়া কোথা থেকে এসে হাজির । হয়েছে । জাভার পুতুলের ঘরটি দেখলে মুখ হয়ে দাড়িয়ে যেতে হয়, সহজে সেখান থেকে নড়তে ইচ্ছা করে না। এই জাতীয় পুতুলের দুই একটি নমুনা শান্তিনিকেতনের কলাভবনে আছে। এখানে দেখলাম অভিমন্ত্য, স্বভদ্র, অর্জুন, কৃষ্ণ, ঘটোৎকচ, ভীম, যুধিষ্টির, দুৰ্য্যোধন সব সারি সারি সাজসজ করে দাড়িয়ে। আকৃতি-প্রকৃতি দেখে মনে হয় ঘটোৎকচ, ভৗম ও দুৰ্য্যোধন এদের কাছে খুব নামজাদ । তাদের চেহারা সবচেয়ে বড় আর ভয়ঙ্কর ৷ ভীম নখ দিয়ে শক্ৰকে ছিন্নভিন্ন ক'রে ফেলেন ব'লে তার দুই হাতে রক্তরঞ্জিত বড় বড় লাল নখ। এদের ছাড়া শিখওঁী, সৈরিষ্কী धड्रङि चांद्र झहे फ्रांद्र खरनद्र बैि श्रांरछ । खांडांब्र ইতিহাসগ্রসিদ্ধ অনেক বীর এবং তাদের অনুগত ভৃত্যদের কাল্পনিক মূৰ্ত্তিও অনেকটা অৰ্জুন প্রভৃতির মত ক'রে গড় আছে। তবে তারা যে মহাভারতের চরিত্র নদ উী দুই জাতীয় পুতুলের খানিকট বিভিন্ন রকম গড়ন ও পোষাক মুকুট ইত্যাদি দেখে বেশ বোঝা যায়। এই পুতুলগুলির দুটি বিভাগ আছে। এক সত্যকার কাঠ, গাল ও রংচং দিয়ে গড় মূৰ্ত্তি কাপড়চোপড় পরিয়ে সাজানো, আর এক ছায়াবৃত্যের জন্ত ছাচের উপর চামড়া ফেলে চ্যাপ্টা ক'রে কাটা মূৰ্ত্তি। এই দ্বিতীয় শ্রেণীর পুতুলগুলির শরীরের বেড় পুতুলের মত মোট নয়, পেষ্ট বোর্ডে একে কেটে নেওয়া ছবির মত এরা চ্যাপ্টা। চামড়াতে কাটবার পর তার গায়ে গহনা কাপড় অস্ত্রশস্ত্র মুকুটের রং অনুযায়ী রং দিয়ে স্থপৃগু করা হয়। এগুলির কারুকার্ষ্য স্বল্প ও স্বন্দর । ছায়ানাচওয়ালারা এগুলিকে কাঠিতে আটকিয়ে নাচের জায়গায় একটা বড় কলাগাছের কাওে বিধিয়ে দাড় করিয়ে রাখে । তার পর যার যখন নাচের পালা আসে, . তাকে তখন হাতে ক'রে তুলে নিয়ে ঘোরায় । ছায়াগুলি অবশু পুতুলের চেয়ে অনেক বড় হয়ে পড়ে। बिफेखिइरष, छांभफ़ॉब्र न्नाभ्रे भूङ्कण, भूटून काफ़ेबांब्र शळ, নকল কলা গাছে-গুজে-রাখা ইত্যাদি সবই দেখা যায়।