পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Հ96ԹԵա কিন্তু ওদিকে আবার হয়ত পায়ে বিদেশী জুতা, গায়ে বিলাতী কাপড়ের জামা। যদি গায়েও খঙ্গরের পাঞ্জাবী ওঠে ত পাঞ্জাবীর বোতাম বিলাতী সোনার । অণ্ডতঃ মুখে ত বিলাতী সিগারেট আছেই। কেবল ফ্যাশান বলিয়া এবং কংগ্রেসদলভূক্ত ও কংগ্রেস কৰ্ম্মী ও নেতা হইবার জন্তু খঙ্গর ব্যবহার করিতে হইবে, এইরূপ মনে করিলে খাটি ও সত্যভাবে স্বদেশী হওয়া যায় না। বিদেশী কোন জিনিষই ব্যবহার করিব না, তা তাহাতে যতই না অন্ধবিধা ও অ-ফ্যাশান হউক না কেন—এই ভাব যত দিন না অলঙ্ঘনীয় ব্ৰতস্বরূপ দেশবাসী গ্রহণ করিবে, তত দিন স্বদেশী ভাব প্রচারের অভিনয়ই চলিবে—প্রকৃত কাজ হইবে না, এবং দেশ ও জাতি নিম্ন হইতে নিম্নতর স্তরে নামিয়া চলিবে! কেহ কেহ কেন, অনেকেই বলেন, ষে, অনেক সময় পয়সার অভাবে দেশী জিনিষের পরিবর্তে বিদেশী জিনিষ ক্রয় ৰুরিতে হয়। কিন্তু একখা ঠিক নহে, কারণ স্বদেশী ভাব মনে ফণার্থ জাগ্রত হইলে পয়সার অভাবে জিনিষের অভাবও লোকে সৰু করিবে, কিন্তু সস্তায় বিদেশী ফ্রব্য ক্রয় করিয়া সেই অভাব দূর করিবে না, এবং এই ভাবে অভাব সদ্ধ করায় আত্মপ্রসাদ ও গৰ্ব্ব অনুভব করিবে। যেমন, জুতা ছিড়িয়া গেলে দেশী নূতন জুড ক্রম করিবার অর্থাভাবে ছেড়া জুতা পরিস্থা চালানও সন্মানকর এবং সংশিক্ষা ও স্বরুচির পরিচায়ক, সস্তায় বিদেশী জুতা ক্রয় করিয়া সজ্জিত হইয়া বাহির হওয়া অপেক্ষা। যদি স্বাধীন ও মহাপরাক্রমশালী জাপানদেশবাসী নিজেদের দেশে প্রস্তুত নিকৃষ্ট ছয় টাঙ্কা মুল্যের টেনিস র্যাকেট লইয়া যাহারা অনেক উৎকৃষ্ট ও মূল্যবান র্যাকেট লইয়া খেলে তাহাজের সহিত খেলিতে অগৌরবের পরিবর্তে গৌরব অমুভব করে, ত আমাদের বিদেশ জুতার পরিবর্তে ছেড়া জুতা পরায় লজ্জা না সম্মান অকুণ্ডব করা উচিত ? স্বদেশী যুগে স্বদেশী বস্তু ব্যবহারের জন্ত স্বেরূপ আন্দোলন হইয়াছিল ও জনসাধারণের মধ্যে উৎসাহ দেখা গিয়াছিল তাহা যদি স্থায়ী হইত, ত আজ কেবল বাংলার ইতিহাস নহে সমগ্র ভারতের ইতিহাস অন্ত রূপ হইত। কিন্তু বিলাসী বাঙালী ও অস্থিরমতি ভোগপ্রিয় বাঙালী নেতা তাহ রাখিতে পারিল ৰু। সেই জঙ্ক অনেক শিল্প-ৰাহ তখন আরম্ভ হইয়াছিল, নষ্ট হইয়া গেল এবং বাঙালীর প্রবাসী 劃 ३Ne5छ আজ এই ভাল বেকার-সমতত্তেজনক উপস্থিত। এই ত্রিশ বৎসর ঐ স্বদেশীব্রত পালন করিয়া আসিলে জামরা আজ সমৃদ্ধিশালী, সৰ্ব্বঅভাবমুক্ত, দেহে ও মনে সবল ও উৎসাহপূর্ণ, সৰ্ব্বকার্ঘ্যে তৎপর ও সমর্থ আত্মবিশ্বাসপূর্ণ, দেশের অর্থ দেশে রাখিয়া দেশের কল্যাশসাধনে ও দেশের ভবিষ্যৎ উজ্জল করিতে সমর্থ হইতাম,—তৎপরিবর্তে আজ আমরা দুৰ্ব্বল, নিশ্চেষ্ট, আত্মবিশ্বাসহীন, দ্বারে দ্বারে ক্ষুদ্র চাকরি ভিক্ষায় রত, জগতের সন্মুখে কেরাণীবাবু বলিয়া পরিচিত। অামাদের বিশ্ববিদ্যালয়-লঙ্ক শিক্ষা জন্ধের নিকট এবং আমাদের নিজেদের নিকটও ধিক্কারের বস্তু হইয়াছে। কারণ ইহার দ্বারা স্বাবলম্বন-বৃত্তি জাগে না ; ইহার দ্বারা কার্ষ্যের প্রেরণা আসে না ; চিন্তাশীলতা স্বজিত ও বর্ধিত হয় না ; উচ্চ আদর্শ ধরিয়া জীবন যাপন করিবার দৃঢ়ত আসে না। কোনও প্রকারে গ্রাসাচ্ছাদনের ব্যবস্থা করিতে পারিলেই আমরা সন্তুষ্ট । তাহা হইলেই আমরা গৃহে ফিরিয়া তাস-খেল, রহস্তালাপ, রাসলীলা-কীৰ্ত্তন, বিলাতী সিগারেট সেবন, মাথায় টেরির বাহার ও পয়সা জুটিলেই সিনেমাতে গিয়া বাইজী ও বাইজীদের নায়কদের মৃত্যকলাপ দেখা-ইত্যাদি করিয়া জীবন ধন্থ মনে করি। আমরা সত্যই এরূপ কড়াপড়া হইয়া গিয়াছি এবং আমাদের বিবেকও এরূপ নিস্তেজ হইয়া গিয়াছে যে মূখন বিলাতী সিগারেটের ধূম নাক-মুখ দিয়া-নির্গত করি বা বিলাতী বায়স্কোপ দেখিবার জন্ত এই নিধন দেশের অর্থ বিদেশীর হন্তে তুলিয়া দিই, তখন আমাদের উচ্চশিক্ষা সত্বেও আমাদের বিবেক একবারও জাগিয়া উঠে না, আমাদের দেশের কথা, আমাদের ম্ৰিয়মাণ ক্ষুধাৰ্ত্ত দেশবাসীর কথা আমাদের মনে করাইয়া দেয় না । মহাত্মা গান্ধী বা আচাৰ্য্য প্রফুল্লচন্দ্রের নেতৃত্ব স্বীকার করা এক কথা—তা না করিলে যে দেশের লোক মানিবে না—জার তাহাদের আদর্শ ধরিয়া জীবন নিৰ্ব্বাহ করা আর এক কথা । দেশের শিক্ষিতদের, ইস্কুল কলেজের শিক্ষকদের, ছাত্রদের ও দেশনেতাদের এইরূপ অবস্থা হইলে যদি বিদেশী এক ছোট কিন্তু উদ্যমশীল জাতি আমাদের পৃষ্ঠে শারদীয় পূজা উপলক্ষ্যে নূতন জুতার উপহার দেয়, ত আশ্চৰ্য্যই বা कि, बांब्र बांभीरभद्र डाशरङ गणिअङ झहेबांद्रशें दां क्ि আছে ?