পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীগুরুনানকজন্মোৎসব ঐীক্ষিতিমোহন সেন কার্ষিকী পূর্ণিমায় গুরু নানকের জন্মোৎসব হইয়া গেল। কিন্তু সত্যই কি তাহার জন্ম সেই তিথিতে ? মহাপুরুষদের জন্ম বা তিরোধান তিথি অনেক সময় ভক্তগণের স্থধোগ অনুসারে পাfলত হইয় থাকে । তাই দেখা যায় প্রায়ই তাহাদের জন্ম ও তিরোধান তিথি পূর্ণিমা। পূর্ণিমা তথনকার দিনে প্রায় সকলেরই উৎসব-fতথি ছিল বলিয়া সৰ্ব্বত্রই কোনো-না-কোনো পূর্ণিমাকে আশ্রয় করিয়া জন্মতিথি বা তিরোধান-ভিথির উৎসব অনুষ্ঠিত হইয়া থাকে । ভাই মণি সিংহ প্রভৃতি পুরাতন সব ইতিবৃত্তরচয়িতাদের মতে শুরু নানকের জন্ম বৈশাখ মাসের অক্ষয়তৃতীয়া বা শুক্লাতৃতীয়া তিথিতে । এই পুণ্য দিনটিও এই ভাবেই ভক্তরা নির্ণয় করিয়াছিলেন কি না জানি না, তবে পুরাতন জন্মসার্থীগুলিতে এই দিনটিই পাই । ভক্তদের লিখিত বিবরণ অনুসারে দেখা যায় ১৮১৫ ১৮১৬ খ্ৰীষ্টাব্দেও শুরু নানকের জন্মস্থান নানকানাতে বৈশাখের অক্ষয়তৃতীয়াতেই ঐগুরুর জন্মোৎসব অনুষ্ঠিত হইত। প্রচলিত শিখধর্মে সকলে কান্তিক-পূর্ণিমাই মানেন। তাহারা ভাই সম্ভোষ সিংহ স্থত, গুরু নানকের কুলপুরোহিত ইরদয়াল কৃত, কোষ্টিকে প্রমাণ মনে করেন। এই কোষ্টি নাকি গুরু অঙ্গদ পাইয়াছিলেন। তবে সকলে এই প্রমাণ স্বীকার করেন না। ঐ পৈর মোখার জন্মসার্থী নাকি ঐ বালী কথিত । তাহার উপর সকলের প্রত্যয় নাই। কাঞ্জিকপূর্ণিমার পক্ষে ইত খজান সিংহ অনেক বিচার করিয়াছেন। উয়র রচিত শিখধর্মের ইতিহাস, প্রথম খণ্ড, তৃতীয় স্বায় ব্য। কীৰ্ত্তিক মাসে জন্মভিখির কথাটি পাওয়া যায় পরবর্তী ** छद्मनाशौटऊ । मांना कांब्रटन छग्रङि२िछे बनणाहेब्र 5ওয়ার প্রয়োজন পরে ঘটিয়াছিল বলিয়া এইরূপ হয়। শিখরে যেমন মহাতীৰ্থ নানকান সাহেব ও অমৃতসর, তেমনি পরবত্তী সম্প্রদায় নিরঞ্জনী বা হগুলিীদের তীর্থস্থান হক্টল জান্দিয়ালাতে। জান্দিয়ালা অমৃতসর হইতে মাত্র পাচ-ছয় ক্রোশ দূরে। ভক্ত হগুলি হইতে এই সম্প্রদায়ের নাম । অথচ তিনি এই সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা নহেন । হণ্ডাল ছিলেন গুরু অমরদাসের ভক্ত শিবা। পূৰ্ব্বাশ্রমে তিনি ছিলেন মা'বা জাঠ। হগুলি অতিশয় কৃচ্ছাচারী সাধক fছলেন। শিশুর মত সরল ছিল তাহার চিত্তটি। চুপচাপ তিনি হয় নিরস্তুর জপ করিতেন, নয় নিশাৰ সকলের সেবা করিতেন। কাহারও প্রতি র্তাহার ৰেঘৰুদ্ধি ছিল না। অনাড়ম্বর সহজ সেবাই ছিল তাহার সাধনা ৷ ইইারই বংশে বিধিটাদের জন্ম। বিfধর্চাদষ্ট তাহার পূর্বপুরুষ হণ্ডালের নামে হওলি নামে নূতন সম্প্রদায় প্রবর্ধিত করেন। .. বিধিচাদ নাকি পূৰ্ব্বে স্ব্য ছিলেন। পরে বন্ধু অদলীর কথায় তিনি পঞ্চম ਾਂ ঐ অজুনের ( জন্ম ১৫৬৩) কাছে ধান ও দীক্ষা গ্রহণ করেন। পরে মতভেদ হওয়ায় তিনি স্বীয় পূৰ্ব্বপুরুষ ভক্ত হওালের নামে নূতন সম্প্রদায় প্রবর্তিত করেন । তাহাতে তিনি নিজ ধারাকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্তু শিখ-সম্প্রদায়কে অনেক স্থলে নিন্দ করিয়াছেন । বলা বাহুল্য, শিখরাও বিধিটাদকে যথেষ্ট নিমা করিয়াছেন। ১৬৫৪ খ্ৰীষ্টাব্দে বিধির্চাদ পরলোকগমন করেন। তাহার স্ত্রী ছিলেন মুসলমানবংশীয় । শিখরা বলেন, তিনি বিধিটাদের পরিণীত পত্নী ছিলেন না । সেই স্ত্রীর গর্ভে তাহার পুত্র দেবীদাসের জন্ম । ১৬৪০ খ্ৰীষ্টাৰে বিধিটাদের প্ররোচনায় যে নূতন “জন্মসার্থী’ হইল, শিখর বলেন তাহাতে নানা মিছা কথা প্রবেশ করাইয়া দেওয়া হইল। হণ্ডালীরা নাকি ধৰাসাধ্য পুরাতন সব জন্মসান্ধী নষ্ট করিয়া ফেলিয়া তাহাজের মৃত্তন জন্মসার্থী প্রতিষ্ঠিত করিতে চাহিলেন। তাহারাই জানাইলেন গুরু নানকের জন্ম কাঞ্জিক মাসে । এখন প্রশ্ন এই, যে, সাধারণ শিখরা এই নূতন ব্যবস্থাকে