পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

"ার্ভিক উপকথণ ১৭ দেহরক্ষা করিলেন। মৃত্যুকালে তার বাকুরোধ হওয়াতে টাকার অঙ্কটা কাহাকেও বলিয়া যাইতে পারিলেন না । শ্ৰাদ্ধ-দিবসে বহু ভালোক চণ্ডীমণ্ডপে সমবেত হইয়াছিলেন। রামকান্ত চণ্ডীমণ্ডপের দাওয়ার নীচেয় দাড়াইয়া হাতজোড় করিয়া মুণ্ডিত মস্তক পিতামহকে উদেশ করিয়া বলিল, একটা নিবেদন আছে দেবতা। আপনারাও অমুগ্রেহ ক'রে কান দিন।' পিতামহ বলিলেন, ‘বোস না, রামকান্ত-জা ।" রামকান্ত তেমনই হাতজোড় করিয়া হাসিয়া বলিল, “বহুখ কাজ, দেবতা, বসবার জো নেই। আপনারা হয়ত জান না, গোবিন্দ, মুরারির লেখাপড়া দ-ঠাকুর না থাকলে চুলোয় যেত। এবার কম ট্যাকাটা দিয়েছে বেরাঞ্জন । বউদের গায়ে গহন নেই, মাটির নীচেয় ষ পোতা ছিল তা বই কিনে, মাইনে দিয়ে কাবার । ওনারে বললাম, কি হবে, দেবতা ? দেবতা হাসলে। বললে, ভয় কি আমকান্ত, ট্যাক আমি দেব । একটা নয়, দশটা নয়, তিন কুড়ি ট্যাকা, শুনে রাখ দেবতারা, তিন কুড়ি ট্যাক বেরাভনের কাছে ধারি। ‘কথাটা শুনিয়ে আমার ধৰ্ম্মে আমি খালাস।” কথা শেষে দাওয়ার উপর মাথা ঠেকাইয়া সকলকে প্ৰণাম করিয়া রামকান্ত ক্রতপদে সে স্থান পরিত্যাগ করিল। বছর-খানেক বেশ ভাল ভাবেই কাটিল । গোবিন্দ ভালভাবে এনট্রান্স পাস করিয়াছে ও উচ্চশিক্ষার জগু কলিকাতায় যাইবে স্থির হইয়াছে। মুরারি হঠাৎ পড়া ছাড়িম্বা দাদাদের সঙ্গে কাজে লাগিয়াছে। গোবিন্দ্র ছেলে ভাল, পড়াশুনায় যথেষ্ট মনোযোগ। উচ্চশিক্ষার জন্ত ফেনি সে দেশ ছাড়ে সে-নিটা নাকি পাড়ার সকলেরই বেশ মনে ছিল। কৃষ্ণ ও খামকান্ত কিছুতেই অনুমষ্টি निरव न, ब्रांमकांडe छाहेरक हाफ़िरउ ब्राडौ श्ब नाहे, **२ण चाभाब्रनिडाभरश्ब कषाञ्च फेशप्नद्र अडिलांब्र पूछू বাধন শিথিল হইয়াছিল। পিতামহ বলিলেন, "জান ত রামকান্ত-দ, বাবা লেখাপত্নী শেখা কত পছন্দ করতেন ? আমার ছেলেকেও আমি কলকাতায় পাঠাচ্ছি ; এক নৌকোয় বাবে, একত্বে থাকবে, ভাবনা কি ? - রামকান্ত চোখের জন্তু মুছিতে মুছিতে শুধু প্রশ্ন করিতে লাগিল, ‘হ্যাগ ঠাকুর, লেখাপড়া শিখে ওটা করবে কি ? দারোগ হবে ? পিতামহ হাসিয়া বলিলেন, ‘দারোগার ওপরও ত হতে नांदव्र । छछ भTांखिरहेकँ ।’ রামকান্তর তিন ভাই ই করিয়া পিতামহের পানে চাহিয়া হয়ত বা তার কথাটা হৃদয়ঙ্গম করিবার চেষ্টা করিল এবং কয়েক মিনিট চুপ করিয়া থাকিয় কহিল, সে কারে কয় ? , পিতামহ বুঝিলেন উহাদের সরল অন্তরে উচ্চপদের মধ্যাদাবোধ জাগাইয়া" দেওয়া কতটা কঠিন ! তাই তিনি ঈষৎ হাসিয়া বলিলেন, “ওই দারোগারই মতন ' অমনি গুম ও কৃষ্ণ সমস্বরে আপত্তি তুলিল, সে হবে না, ঠাকুর। গোবিন্দরে আমরা দারোগ হতে দেব না। তার চেয়ে লোহা-পেটাটা মন্দ কি ? গোবিন্দ সকাতরে পিতামহের পানে চাহিয়া বলিল, “আপনি ওদের বুঝিয়ে বলুন। লেখাপড়া না শিখলে জীবনই আমুর বুখাr রামকান্ত কৃথিয় উঠিল, জীবনই রেরখা । কেন রে গোবিন্ধ, জীবন বেরখা কেন ? আমরা তা হ'লে মুক্লখ্য মনিষ্যি—’ পিতামহ অতিকষ্টে ক্রুদ্ধ রামকান্তকে শান্ত করিয়া গোবিন্দর পড়ার অনুমতি আদায় করিলেন । " রামকান্ত কহিল, টাকা ? এই পড়নেই ট্যাকার ছেরাঙ্ক, আবার ট্যাকা—’ গোবিন্দ বলিল, “মাস মাস আপনাদের কাছ থেকে কিছু নেব না, শুধু রাহ-খরচটা দিয়ে দিন । রামকান্ত রাগিয়া বলিল, “ভারি আমার পুরুষের • জাগরে, কিছু চাই নে ! এতদিন খেইয়ে পইরে বেচিয়ে রাখলে কে ? নেকাপড়ার ছেরাঙ্গ জোগালে কে ? আমি, न छूहे ? दण cनधक्शब्रांभ, दन सनि ?’ গোবিন্দ্র নতমুখে বলিল, “আপনাদের ঋণ আমি জীবনে শুধতে পারব না। ' ' রামকান্ত চক্ষা গলায় বলিতে লাগিল, “শোন, ঠাকুর, শোন। নেকাপুড়া শিখে গাছ-গকটা কি বলে শোন। ওরে, নেমকহারাম,-ভায়ের কাছে আবার ঋণ কি রে ? বড়ভাই পিতৃতুলি অ কানিলুr