পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পালিতা-মাদারের খুটির গায়ে বাখারির সঙ্গে ঝুলানে বালাটি দেখা যাইতেছে সৰ্ব্বশেষে পাতার নাগাল পাইলে কয়েক জন তাহা কামড়াইয়। ধরিয়া থাকে। অপর কৰ্ম্মীরা তাহদের পা কামড়াইয়া ধরে। তখন উপর দিক হইতে শিকল ক্রমশঃ খাটো করিতে করিতে নীচের পাতাকে টানিয়া কাছে আনিয়া, কীড়ার সাহাধ্যে মূল বাসার সহিত অত্যন্ত শক্ত করিয়া গাখিয়া দেয়। हेशाग्न भारनालै ७थानै । भृङ कोप्लेश्रङत्र, भाल्ल कैप्टेि, পাখীর পালক প্রভৃতি সংগ্ৰহ করিয়া বাসায় লইয়া যায় এবং অবসরমত সকলে মিলিয়। তাছা চাটিতে থাকে। অল্পাঙ্গ পিপড়ের ডিম ও উই ইতাদের উপাদেয় খাদ্য, নালসোরা সুকৌশলে উই ধরিয়া থাকে। উইয়েরা কখনও অনাবৃত স্থানে যাতায়াত করে না, সৰ্ব্বদাই অন্ধকারে থাকিতে ভালবাসে । এই জগুই মাটির সুড়ঙ্গ গাঁথিতে গাঁথিতে অগ্রসর হইয় থাকে। শিবপুর বোটানিক্যাল গাডেনে নালগোদের উই-শিকার প্রত্যক্ষ করিয়াছিলাম। প্রকাণ্ড একট। গাছের গুড়ির চতুর্দিক বেড়িয়। অসংখ্য সুড়ঙ্গ নিৰ্ম্মাণ করিয়৷ উই ক্রমশঃ উপর দিকে . উঠিয়া গিয়াছে। এই সৰ গাছে নালগো পিপড়ের অভাব নাই। आशब्र थामा नरभtश्द्र बालाग्न मण दैषिद्रा उंगठूद्र नौ८5 ॐानाम করিতেছিল। নীচে আসিয়া অনেকে দল ছাড়িয়া বেশ দূরে ন৷ গেলেও আশেপাশে ইতস্তৰ খাদ্য-অন্বেষণে ঘোরাঘুরি করিয়৷ পঞ্চশস্য יצר*B\ বেড়ায়। উইয়ের সন্ধান পাইয়া ইহাদের গোটাই পিপড়ে মাটির সুড়ঙ্গের ধারে আসিয়া ধারালো চোয়ালের সাহাষ্যে খানিকটt অংশ ভাঙিয়া দিল, এবং এক পাশে চুপ করিয়া দাড়াইয় অপেক্ষা করিতে লাগিল । উইয়ের তৎক্ষণাং সেই ভগ্ন স্থান মেরামত করিতে আসিবা মাত্রই একটা নালসে তাহার ধারালো চোয়ালের সাহায্যে একটাকে কামড়াইয়া ধরিয়া একেবারে শূন্যে তুলিয়৷ বাসার দিকে লইয়া পলায়ন কৰিল । অপর নালসোট। তখন আবার শিকারের আশায় সেই ভগ্নস্থানে আসিয়া ওং পাতিয়া ब्रश्लि । জীবস্তু ফড়িং বা ঐ জাতীয় কোন কীটপতঙ্গকে একবার ধরিতে পারিলে আর বৃক্ষ নাই । একটা পিপড়ে কোন রকমে একবার শিকার কামড়াইয়া ধরিলেই হইল ; দেখিতে দেখিতে দলের অন্যান্ত পিপড়েরা আসিয়া চতুর্দিক হইতে তাহাকে ঘিরিয়া ফেলিবার চেষ্টা করিতে থাকে। দংশন-যন্ত্রণায় অস্থির হইয়া শিকার উড়িয়া পলাইবার জন্য প্রাণপণে ধস্তাধস্তি করে ; কিন্তু পিপড়েরাও তাহাকে কাবু করিবার জন্য দ্বিগুণ উৎসাহে বলপ্রয়োগ করিতে থাকে। ডান চাপিয়া ধরিতে না পারিলে শিকার সহজেই উড়িয়া যাইতে সমর্থ হয় ; সে অবস্থায়ও কিন্তু পিপড়েরা কামড় ছাড়ে না । অন্যাস্থ্য পিপড়ের আদিয়া তখন সে পিপড়েটার প! অথবা কোময় কামড়াইয়া টানিয়া রাখিতে চেষ্টা করে, এ অবস্থায় ক্রমশঃ একটা পিপড়ের শিকল গাথিয়া তোলে। অনেক সময় দেখা যায় ফড়িং উড়িয়া যাইতেছে আর তাঙ্গার লেজ অথবা পা কামড়াইয়ু ধরিয়া দুই-তিনটা নালসো শ্বিকলের মত ঝুলিতেছে । নালসে পিপড়েদের প্রকৃতি এতই উগ্র যে, শত্রুই হউক, মিত্রই হউক বাসার কাছে আসিলে কাহারও নিস্তার নাই ; প্রবল দুৰ্ব্বল নিৰ্ব্বিশেষে দলে দলে ছুটিয়া আসিয়ু আক্রমণ করিবে। প্রাণের ভয় যেন ইহাদের মোটেই নাই। একবার আক্রমণ করিলে কিছুতেই পিছু হটিবে না। শত্রুর আক্রমণে সঙ্গীরা দলে দলে প্রাণ হারাইতেছে দেখিয়াও ইহারা যেন মোটেই বিচলিত হয় না, বরং চতুগুণ উত্তেজনার সহিত মরণ পণ করিয়া লড়াই সুরু করিয়া দেয়। একবার শক্রকে কামড়াইয়া ধরিতে পারিলেই হয়—কিছুতেই আর কামড় ছাড়িবে না। মস্তক হইতে দেহ বিচ্ছিন্ন হষ্টয়া গেলেও, মস্তকটি সেই একই ভাবে মরণ-কামড় দিয়া শত্রুর দেহসংলগ্ন হইয়া থাকে। শত্রুর আগমনের আশঙ্কা হইলেই দেহের প্রাস্তদেশ হইতে এক প্রকার বিষাক্ত রস পিচ কিরির মত ছুড়িয়া মারিতে থাকে। এই রসের বিষাক্ত উগ্র গন্ধে অনেকে দূর হইতেই পৃষ্ঠপ্রদর্শন করে । লড়াই সুরু হইবার মুখে ইষ্ঠার শীরের পশ্চাদেশ উৰ্দ্ধে তুলিয়া, সম্মুখের পী উচু করিয়া এমন উত্তেজিত অবস্থায় মুখ ৷ করিয়া ছুটির আসিয়া দলে দলে বাসার উপর সার ৰাধিয়া দাড়ায় যে অতি বড় শত্রুও অগ্রসর হইতে ইতস্তত: করিতে বাধ্য হয়। উত্তেজিত জনতা যেমন জিগির দিয়া সকলের প্রাণে উৎসাহের সঞ্চার করে, প্রবল উত্তেজনার সময় ইহারাও তেমনি শরীরের পশ্চাদেশ পাতার উপর কিয়া এক প্রকার অদ্ভুত শৰ উৎপাদন করে। বাসার সম্মুখে কান পাতিয়া রাখলে তখন এক প্রকার অস্ফুট খল খল আওয়াজ শুনিতে পাওয়া ৰায় । • -