পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪২২ আসিয়া বাস করিতে আরম্ভ করিয়াছিলেন এবং হিন্দু সমাজের সহিত ঘোরতর বিবাদে রত ছিলেন। সালের ব্যাপটিষ্ট মিশনারী সোসাইটির বিবরণে লিখিত ठूद्देश्नरक्ष “He is said to be very moral ; but is pronounced to be a most wicked man by the strict Hindus.” অর্থাৎ, রামমোহন রায় আতি বিশুদ্ধ চরিত্রের লোক বলিয়। কথিত হয়েন। কিন্তু গোড় হিন্দুর তাহাকে অতি দুষ্ট লোক বলেন । নিরপেক্ষ সমাজে র্যাহার এইরূপ মুখ্যাতি ছিল, ষে নিৰ্ভীক পুরুষ শৈব বিবাহ এবং শাস্ত্রাঙ্গুমোদিত মদ্যপান সমর্থন করিয়া গিয়াছেন, f তিনি ষে রাজারামের জন্ম সম্বন্ধে সত্য গোপন করিবেন ইহা মনে করা অসম্ভব । দুর্ভাগ্যের বিষয় রাজ রামমোহন রায়ের চরিতকারগণ b & তাহার বিরোধী জনশ্রুতি এমন ভাবে উল্লেখ করিয়াছেন, যাহাতে সহজেই পাঠকের মনে বিশ্বাস উৎপন্ন হয় । চন্দ্রশেখর দেব রাজারাম সম্বন্ধে প্রথমতঃ গুজবের উল্লেখ করিয়া তাহার পর রামমোহন রায়ে নিজের কথা উল্লেখ করিয়াছেন । কিশোরী5াদ মিত্র রামমোহন রায় জমিদারী খরিদ করিবার টাকা কোথায় পাইলেন এই সম্বন্ধে গুজবের উল্লেখ করিয়া, “ষদি এই কথা সভ্য হয়” (if this assertion is true ) or of Malatatata রায়ের চরিত্রে দোষারোপ করিয়াছেন ; এই কথা যে মিথ্যা হইতে পারে, এমন ইঙ্গিত মাত্রও তিনি করেন নাই । রাজা রামমোহন রায়ের চরিতকারগণের মধ্যে একমাত্র মিস কলেট রাজারামের সম্বন্ধীয় অপবাদের তীব্র প্রতিবাদ করিয়াছেন । পূৰ্ব্বোল্লিখিত দেশীয় জীবনচরিতকারগণ ষে রীতিতে রামমোহন রায়ের অপবাদের উল্লেখ করিয়াছেন, তাহা এই মহাপুরুষের প্রতি নিৰ্ম্মমতার পরিচয় দেয়। রামমোহন রায়ের অপবাদ সম্বন্ধে এদেশের অধিকাংশ শিক্ষিত লোকের মধ্যেও বিশ্বাসের প্রবৃত্তি বা ঔদাসীগুই • “মিস্ মেরী কাপেন্টারের উদ্ধত 1 Last days of Raja Rannтоһип IRoy, р, 29. t “काग्रtइब्र गश्ङि भमाvitन विदङ्मक विsांब ।” প্রবাসী さN●88 লক্ষিত হয়। এইরূপ ঔদাসীন্তের কারণও মমতার ( sympathyর ) অভাব । এদেশের শিক্ষিত লোকের রামমোহন রায়কে খুব প্রশংসা করিতে পারেন, তাহার কীৰ্ত্তিকলাপ স্মরণ করিয়া গৌরব অমুভব করিতে পারেন, কিন্তু তাহাকে যেন ঠিক আপন জন মনে করেন না । ইহার কারণ কি ? রাজা রামমোহন রায়ের প্রতি এইরূপ মমতার অভাবের কারণ, তাহার মধ্যে এমন সকল গুণের মিলন দেখা যায় যাহা এদেশের লোকের মধ্যে আর কোথাও দেখা যায় না ; মৃতরাং তাহাকে আপনার জন বলিয়৷ চেনা যায় না । এক দিকে তিনি শাস্ত্রনিষ্ঠ ব্রাহ্মণপণ্ডিত । রাজা রামমোহন রায় কেবল উপনিষৎ এবং বেদান্ত দর্শন নহে, পুরাণ, তন্ত্র, রঘুনন্দনের নিবন্ধাfদ সকল শাস্ত্র আলোচনা করির নিরাকার উপাসনা প্রতিষ্ঠিত করিয়াfছলেন । "ব্ৰাহ্মণ সেবtধ”তে প্রামাণ্য হিন্দু শাস্ত্রের প্রতি তাহার গভীর অমুরাগের পরিচয় পাওয়া যায়। শাস্ত্রনিষ্ঠ ব্রাহ্মণপণ্ডিতেরা শাস্ত্রকেই ভ্রম-প্রমাদশূন্ত উপদেশ-বাক্যের একমাত্র আকর মনে করেন। তাহারা নুতন নুতন অবতার বা ঈশ্বরামুগুহাঁত সাধু-মহাত্মার মুখের নিত্য নূতন আদেশ-উপদেশের প্রামাণিকতা স্বীকার করেন না । এদেশের গোড়া ব্রাহ্মণ-পণ্ডিতেরা চৈতগুকে কখনও অবতার বলিয়া স্বীকার করেনু নাই, বৰ্ত্তমানে বোধ হয় রামকৃষ্ণ পরমহংসকেও করেন না। শাস্ত্রনিষ্ঠ রামমোহন রায় নিরাকার ব্রহ্মোপাসনা প্রচারে রত হইয়া বরাবর শাস্ত্রের প্রমাণই উদ্ধৃত করিয়াছেন, কখনও সাক্ষাৎ ঈশ্বরের বাণীর বা উপদেশের দোহাই দেন নাই । তিনি কখনও অতীন্দ্রিয় বস্তুর জ্ঞান দাবী করেন নাই। ইংরেজীতে যাহাকে বলে মিষ্টিক ( mystic ), তিনি তাহা ছিলেন না । এইরূপ ধৰ্ম্মসংস্কারক পাণ্ডিত্যের জন্ত প্রশংসা ভিন্ন এদেশের লোকের নিকট আর কিছু পাইতে পারেন না। র্তাহার অপবাদে কাহারও কিছু আসে-যায় না। সুতরাং শক্রপক্ষে বাহাই কেন বলিয়া থাকুক না, তাহা লইয়। পূৰ্ব্বে কেহু মাথা ঘামান কৰ্ত্তব্য মনে করেন নাই । এক দিকে রাজা রামমোহন রায় যেমন শাস্ত্রনিষ্ঠ ব্রাহ্মণ পণ্ডিত ছিলেন, জার এক দিকে তিনি যুক্তিনিষ্ঠ ইউরোপীয় তন্ত্রের পণ্ডিত ছিলেন। কর্ণেল ফিটজক্লেরেন্স ( পরে