পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SPāsFEEs೯ಣ್ಣ জগদীশ চন্দ্র বস্থর মহাপ্রয়াণ । আচার্ষ্য জগদীশ চন্দ্র বস্থর মহাপ্রয়াণে সমগ্র পৃথিবী, ভারতবর্ষ, বঙ্গদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হইল। তিনি গণ্ড কয়েক বৎসর আগেকার মত বৈজ্ঞানিক গবেষণা করিতেছিলেন না বটে—ব্যাধিতে তাহার দেহ অপটু হইয়াছিল ; কিন্তু তিনি পরামর্শ, উপদেশ ও পরিচালনা দ্বারা অনেককে গবেষণার পথে অগ্রসর করিতেছিলেন এবং তাহার দৃষ্টাস্ত হইতে বহু বৈজ্ঞানিক প্রেরণা লাভ করিতেছিলেন । আমাদের বিশ্বাস, বিজ্ঞান-জগতে নিউটন, ভারুইন প্রভৃতি শ্রেষ্ঠ বৈজ্ঞানিকগণের স্থান ষে-শ্রেণীতে, জগদীশ চক্রের স্থানও সেই শ্রেণীতে। ইহা শুধু অবৈজ্ঞানিক আমাদের মত নহে । বৈজ্ঞানিক কেহ কেহও এইরূপ মনে করেন, এবং আমরা মনে করি, যে, যত সময় যাইবে ততই অধিকসংখ্যক বৈজ্ঞানিক তাহার কার্ষোর প্রকৃত মর্ধ্যাদা বুঝিতে সমর্থ হইবেন। ভাস্করাচার্ধ্যের পর বহু শতাব্দী ধরিয়া ভারতবর্ষ বিজ্ঞানজগতে নূতন কিছু করে নাই। জগদীশ চন্দ্রের নানা অবিক্রিয়া বিজ্ঞানে ভারতের নব জাগরণের স্বচনা করে । কেবল সূচনাই যে করে, তাহা নহে। তিনি ভারতীয় প্রতিভার বৈশিষ্ট্যের দ্বারা এরূপ কিছু কিছু বৈজ্ঞানিক তত্ব ও তথ্য আবিষ্কার করেন, যাহা পাশ্চাত্য বৈজ্ঞানিকদিগের অপরিজ্ঞাত –হয়ত অচিন্তা—ছিল। তাহার পূৰ্ব্বে ভারতীয়দিগকে পাশ্চাত্য জাতিসমূহের লোকের স্বপ্নবিলাসী এবং কেবল কাব্যে ও দর্শনে কিছু কৃতী মনে করিত। এরূপ জাতির মধ্যে জন্মিয়, “বৈজ্ঞানিক গবেষণা আমরাও করিতে পারি, এই বিশ্বাস পোষণ করিবার সাহল ও পৌরুষ তাহার ছিল, এবং সেই বিশ্বাস অনুযায়ী কাজ করিবার মত দৃঢ়তা, অধ্যবসায়, ও প্রতিভা তাহার ছিল। তাহার আবিষ্কৃত কোন কোন তত্ত্ব रिन। रत्र गङा दणिब। चौकृङ इहेब षििक्रण७ फेडिन्-७ জীব- বিদ্য বিষয়ে তাহার মহৎ আবিক্রয়াগুলিকে প্রতিষ্ঠিত করিবার জন্ত তাহাৰে বহু বৎসর সংগ্রাম করিতে হইয়াছিল। বিজ্ঞানজগতে তিনি এক জন বড় যোদ্ধা। যদি তাহার কোন কোন মত এখনও সকল বিজ্ঞানবিধ স্বীকার না-করিয়া থাকেন, তাহা হইলে পরে করিতে পারেন । কারণ, মানুষের অক্ষ কোন কোন কাৰ্য্যক্ষেত্রে যেমন কেহ কেহ তাহীদের সমসাময়িকদিগের আগেই এমন অনেক মতের, পথের ও সত্যের সূচনা করেন যাহা গ্রহণ করিবার যোগ্যতা সমসামক্সিকেরা তখনও অর্জন করে নাই, অতীত কালে বিজ্ঞানজগতেও সেইরূপ ঘটনা ঘটিয়াছে ; বস্থ মহাশয়ের কোন কোন গবেষণা সম্বন্ধেও তাহা সত্য হইতে পারে, এবং ভবিষ্যতেও এমন মানুষ জন্মিবেন যাহার অগ্রদূত । এখন কলেজের ছাত্রেরাও গবেষণা করে এবং কিছু কিছু নূতন তত্ত্ব আবিষ্কার করে। জগদীশ চক্স যখন গবেষণা করিতে আরম্ভ করেন, তখন ছাত্রদের কথা দূরে থাক, ভারতবর্ষে তখন বিজ্ঞানীখ্যাপকের প্রধান পদগুলির দখলিকার ইংরেজ অধ্যাপকেরাও গবেষণা করিতে পারিতেন না ও করিতেন না—কেবল মোটা বেতনটা লইতেন । জগদীশ চঞ্জের কৃতিৰে এই জন্ত ভারতবর্ষীয় তরুণ বিজ্ঞানাধ্যায়ীদিগের মনে অপূর্ব উৎসাহের সঞ্চার হইয়াছিল। আচার্ধ্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় তাহার অতি মূল্যবান “আত্মচরিত” গ্রন্থের দ্বাদশ পরিচ্ছেদে লিখিয়াছেন –

  • বসু পরে উদ্ভিদের শরীরতত্ত্ব সম্বন্ধে যে গবেষণা করেন, অথবা জড়জগৎ সম্বন্ধে যে যুগান্তরকারী সত্য আবিষ্কার করেন, তৎসম্বন্ধে বিস্তৃতভাবে বলিবার স্থান এ নয়। সে বিষয়ে কিছু বলিবার যোগ্যতাও আমার নাই। এখানে কেবল একটি বিষয়ে বলাই আমার উদ্বেগু-ভারতীয় বৈজ্ঞানিকের অপূৰ্ব্ব আবিষ্কার

.বৈজ্ঞানিক জগং কর্তৃক কি ভাবে স্বীকৃত হইয়াছিল এবং নব্য বাংলার মনের উপর তাহা কিরূপ প্রভাব বিস্তার করিয়াছিল।” 歌 اان به دست “७कखन विथTाड आहेमदादनार्द्रौ ७वर ब्राखरैनडिक cनष्ठा বাংলা কাউন্সিলে একবার বক্তৃতী-প্রসঙ্গে বলেন, ৰে, আইন এদেশের বহু প্রতিভার সমাধিক্ষেত্রস্বরূপ হইয়াছে।” ১৫৯ পৃষ্ঠা।